বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
নিবিড় অন্তরতর বসন্ত এল প্রাণে।
পাঠ ও পাঠভেদ:
২৭৯
নিবিড় অন্তরতর বসন্ত এল প্রাণে।
জগতজনহৃদয়ধন, চাহি তব পানে॥
হরষরস বরষি যত তৃষিত ফুলপাতে
কুঞ্জকাননপবন পরশ তব আনে॥
মুগ্ধ কোকিল মুখর রাত্রি দিন যাপে,
মর্মরিত পল্লবিত সকল বন কাঁপে।
দশ দিশি সুরম্য সুন্দর মধুর হেরি,
দুঃখ হল দূর সব-দৈন্য-অবসানে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায় নি।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
১৩১৩ বঙ্গাব্দ। [সূত্র
: গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচী/প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়]
গানটি রবীন্দ্রনাথের
৪৫
বৎসর বয়সের রচনা।
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
কাব্য-গ্রন্থ , দশমভাগ ( ইন্ডিয়ান প্রেস। ১৩২৩ বঙ্গাব্দ)।
প্রথম সংস্করণ [সিটি বুক সোসাইটি, ১৩১৫ বঙ্গাব্দ। ব্রহ্মসঙ্গীত। পৃষ্ঠা: ৩৭৪-৩৭৫] [নমুনা প্রথমাংশ শেষাংশ]
দ্বিতীয় সংস্করণ [ইন্ডিয়ান প্রেস (১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩১৬ বঙ্গাব্দ)। ব্রহ্মসঙ্গীত। বাগেশ্রী বাহার-ঝাঁপতালল। পৃষ্ঠা: ৩৫০ [নমুনা]
গীতবিতান
প্রথম খণ্ড (বিশ্বভারতী, ১৩৩৮)
দ্বিতীয় খণ্ড (বিশ্বভারতী ১৩৪৮)
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। প্রকৃতি ২৭৯। উপবিভাগ: বসন্ত ৯২
গীতিচর্চ্চা (পৌষ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
ধর্ম্মসঙ্গীত (ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৩২১)। গান।
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি ৪র্থ ভাগ (বৈশাখ ১৩১৫ বঙ্গাব্দ)। বাগেশ্রী-বাহার-ঝাঁপতাল। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
স্বরবিতান চতুর্বিংশ (২৪) খণ্ডের (শ্রাবণ ১৪১৬ বঙ্গাব্দ) ১৬ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৪৪-৪৫।
পত্রিকা:
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৮২৮ শকাব্দ, ১৩১৩ বঙ্গাব্দ)। বাগেশ্রী-বাহার-ঝাঁপতাল।
বঙ্গদর্শন (১৩১৪ বঙ্গাব্দ)।
সঙ্গীত-প্রকাশিকা পত্রিকা (১৩১৫ বঙ্গাব্দ)। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
ভাঙা গান: এটি একটি ভাঙা গান। মূল গানটি অনন্তলাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত।
মূল
গান: [বসন্ত। ঝাঁপতাল]
সরস সুন্দর রব বসন্ত ঋতু আয়ে
জগত জনকী মনমেঁ চৈন সুখ ছায়ে॥
সকল বন উপবন প্রফুল্ল ফুল সাজে
কুঞ্জ কানন কুসুম পর ভ্রমর রাজে॥
মত্ত কোকিল মধুর শাখা পর গাবে
দশ দিশ সুগন্ধ শীতল পবন ধাবে।
ঐসে ঋতুরাজ সংসার সুখদাই
রৈন দিন সকল বিরহিগণ সতাই॥
স্বরলিপিকার: কাঙ্গালীচরণ সেন। [স্বরবিতান চতুর্বিংশ (২৪) খণ্ড (শ্রাবণ ১৪১৬ বঙ্গাব্দ)]।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান চতুর্বিংশ (২৪) খণ্ডের (শ্রাবণ ১৪১৬ বঙ্গাব্দ) খণ্ডের স্বরলিপিতে রাগ-তালের নাম হিসেবে উল্লেখ রয়েছে যথাক্রমে বাগেশ্রী-বাহার এবং ঝাঁপতাল।
রাগ- বাগেশ্রী-বাহার। তাল- ঝাঁপতাল।
বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত
সুরাঙ্গ: ধ্রুপদাঙ্গ
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।