বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত
শিরোনাম:
গহন ঘন ছাইল গগন
ঘনাইয়া।
পাঠ
ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২)-এর পাঠ: প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : বর্ষা-৪) পর্যায়ের ২৯ সংখ্যক গান।
গহন ঘন ছাইল গগন
ঘনাইয়া।
স্তিমিত দশ
দিশি, স্তম্ভিত কানন,
সব চরাচর আকুল-
কী হবে কে জানে
ঘোরা রজনী,
দিকললনা ভয়বিভলা॥
চমকে চমকে সহসা
দিক উজলি
চকিতে চকিতে
মাতি ছুটিল বিজলি
থরথর চরাচর
পলকে ঝলকিয়া
ঘোর তিমিরে ছায়
গগন মেদিনী
গুরুগুরু
নীরদগরজনে স্তব্ধ আঁধার ঘুমাইছে,
সহসা উঠিল জেগে
প্রচণ্ড সমীরণ- কড়কড় বাজ॥
-
পাণ্ডুলিপির
পাঠ:
পাওয়া যায়নি।
-
পাঠভেদ:
- তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান:
১২৮৯
বঙ্গাব্দ।
গানটি রবীন্দ্রনাথের
২১
বৎসর বয়সের রচনা।
উল্লেখ্য, কালমৃগয়ায় গানটি বাণীরূপে আছে-
'গহন ঘন ছাইল
গগন ঘনাইয়া'
এবং স্বরলিপিরূপে আছে- 'সঘন গন ছাইল
গগন ঘনাইয়া'।
- খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
দশম খণ্ড [ইন্ডিয়ান প্রেস ১৩২৩ বঙ্গাব্দ)],
বিবিধ সঙ্গীত। পৃষ্ঠা: ১৪২।
[নমুনা]
-
কাব্যগ্রন্থাবলী [আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩। গান। গৌড় মল্লার-চৌতাল। পৃষ্ঠা: ৪৪০]
[নমুনা]
-
গান
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
[বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮। কাব্যগ্রন্থাবলী (১৩০৩ বঙ্গাব্দ)
'গান' অংশ থেকে গৃহীত হয়েছে । পৃষ্ঠা: ১২২][নমুনা]
- অখণ্ড সংস্করণ। গীতবিতানের প্রকৃতি (উপ-বিভাগ : বর্ষা-৪)
পর্যায়ের ২৯ সংখ্যক গান।
-
রবিচ্ছায়া
[সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, ১২৯২ বঙ্গাব্দ।
বিবিধ ১২। গৌড় মল্লার-চৌতাল। পৃষ্ঠা: ৯।
[নমুনা]
- রবীন্দ্রগ্রন্থাবলী
(হিতবাদী ১৩১১)। গান সংখ্যা ১৪০। গৌড়মল্লার-চৌতাল।
পৃষ্ঠা: ৯৯৮
[নমুনা]
- স্বরলিপি-গীতিমালা
(১৩০৪ বঙ্গাব্দ)। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত।
-
স্বরবিতান
একাদশ (১১,
কেতকী) খণ্ডের
(আশ্বিন ১৪১৬ বঙ্গাব্দ) ২৪ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৭২-৭৩ ।
[নমুনা]
[সুরান্তর]
-
. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
ভাঙা গান:
এটি একটি ভাঙা গান। মূল গান-
গোঁড়। চৌতাল (বিলম্বিত)
ইন্দ্রহুঁকী অসবারী পপীয়নকী বতিয়াঁ
দেশ দেশ খবরকারী॥
গরজে দমামা
বাজে ধূরবা নিশান বাণ
বাদরকী ফৌজ চঢ়ি বুঁদহুকী তীর মারী॥
দামিনী সোই রঞ্জক তোপ গোলা বাণ ছুটে
ক্যোঁকর জিয়ে বিরহিনী বিচারী
কহে মিয়াঁ তানসেন জিনকে গিয়া বিদেশ
তিনহীঁ সে জঙ্গ ভারী -তানসেন
সঙ্গীত-মঞ্জরী
-
স্বরলিপিকার:
-
স্বরবিতান ১১ খণ্ডটিতে
(শ্রাবণ ১৩২৬ বঙ্গাব্দ) গানটি দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয় এবং
স্বরলিপি-গীতিমালায় (১৩০৪ বঙ্গাব্দ) গানটি জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়।
-
স্বরবিতান ১১ খণ্ডটি প্রথম প্রকাশিত হয়
১৩২৬ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসে। এই সংস্করণে দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি গৃহীত
হয়েছিল। এরপরের প্রথম সংস্করণ হয় শ্রাবণ ১৩৩৫ বঙ্গাব্দে। এই সংস্করণেও এই স্বরলিপি
ছিল। ১৩৫৭ বঙ্গাব্দের জ্যৈষ্ঠ মাসে গ্রন্থটির দ্বিতীয় সংস্করণটি প্রকাশিত হয়। এই
সংস্করণে দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপিটি সুরান্তর হিসেবে দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য এই সংস্করণটির সম্পাদনা করেছিলেন ইন্দিরাদেবী। ধারণা করা হয়, এই
স্বরবিতানের দ্বিতীয় সংস্করণে গৃহীত মূল স্বরলিপিটি ইন্দিরাদেবী-কৃত।
-
সুর ও তাল:
-
স্বরবিতান
একাদশ (১১, কেতকী
খণ্ডে (আশ্বিন ১৪১৬ বঙ্গাব্দ) গৃহীত মূল
স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি
৪।৪ মাত্রা ছন্দে
ত্রিতাল
তালে নিবদ্ধ।
-
রাগ: মেঘ মল্লার।
তাল: ত্রিতাল।
[রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।]
পৃষ্ঠা: ৪৮।
-
রাগ : মিঞা মল্লার।
তাল: ত্রিতাল
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী,
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১।] পৃষ্ঠা: ৮৭।
গ্রহস্বর:
প্।
লয়:
মধ্যম।