বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
গানে গানে
তব বন্ধন যাক টুটে
পাঠ ও পাঠভেদ:
গানে গানে তব বন্ধন যাক টুটে
রুদ্ধবাণীর অন্ধকারে কাঁদন জেগে ওঠে॥
বিশ্বকবির চিত্তমাঝে ভুবনবীণা যেথায় বাজে
জীবন তোমার সুরের ধারায় পড়ুক সেথায় লুটে॥
ছন্দ তোমার ভেঙে গিয়ে দ্বন্দ্ব বাধায় প্রাণে,
অন্তরে আর বাহিরে তাই তান মেলে না তানে।
সুরহারা প্রাণ বিষম বাধা— সেই তো আঁধি, সেই তা ধাঁধা—
গান-ভোলা তুই গান ফিরে নে, যাক সে আপদ ছুটে॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: এই গানটি একাধিক পাণ্ডুলিপিতে পাওয়া যায়। যেমন:
পাঠভেদ:
রবীন্দ্রনাথ ইউরোপ ভ্রমণের সময় ২৫
সেপ্টেম্বর
১৯২৬ (৮ আশ্বিন
১৩৩৩ বঙ্গাব্দ)
জার্মানীর ডুসেল্ডর্ফ নগরীতে অবস্থানকালে এই গানটি রচনা
করেন। এই পাঠটি পাওয়া যায় পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 027-তে
[নমুনা]।
এর প্রথম চরণে ছিল 'আপন
গানের টানে তোমার বন্ধন যাক টুটে'।
পাণ্ডুলিপিতে কাটাকুটি দেখে মনে
হয়, এটাই ছিল এই গানের প্রথম পাঠ।
পাণ্ডুলিপি
Ms.
028-তে
[নমুনা]
এই গানের পরিমার্জিত রূপটি
পাওয়া যায়। এই পাঠটি মূলত
পাণ্ডুলিপি
Ms.
027-এর
অনুলিপি।
গানটি প্রথম গ্রন্থাকারে গৃহীত হয়েছিল গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয়
সংস্করণে। এই সংস্করণে গানের প্রথম চরণ ছিল,
''আপন
গানের টানে তোমার বন্ধন যাক টুটে'।' গীতবিতানের তৃতীয় খণ্ডের প্রথম সংস্করণ (
শ্রাবণ ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ),
প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণ (মাঘ
১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)
পর্যন্ত এই গানের প্রথম চরণ একই ছিল। এর অখণ্ড সংস্করণে দেখা যায়, গানটির
প্রথম চরণটি হয়েছে গানে 'গানে তব বন্ধন যাক টুটে'। কিন্তু ১৩৮১ বঙ্গাব্দে
রবীন্দ্রনাথের হাতের লেখায় যে 'বৈকালী' নামক গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়, সেখানে
গৃহীত হয়েছিল 'আপন
গানের টানে আমার বন্ধন যাক টুটে'।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
ইউরোপ ভ্রমণের সময় [২৫
সেপ্টেম্বর
১৯২৬ (৮ আশ্বিন
১৩৩৩ বঙ্গাব্দ)]
তারিখে
জার্মানীর ডুসেল্ডর্ফ নগরীতে অবস্থানকালে এই গানটি রচনা
করেন। এই
সময় রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৬৫ বৎসর ৫ মাস।