বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
প্রতিদিন তব গাথা গাব আমি সুমধুর
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ:
প্রতিদিন তব গাথা গাব আমি সুমধুর—
তুমি দেহো মোরে কথা, তুমি দেহো মোরে সুর—
তুমি যদি থাক মনে বিকচ কমলাসনে,
তুমি যদি কর প্রাণ তব প্রেমে পরিপূর,
প্রতিদিন তব গাথা গাব আমি সুমধুর॥
তুমি শোন যদি গান আমার সমুখে থাকি,
সুধা যদি করে দান তোমার উদার আঁখি,
তুমি যদি দুখ’পরে রাখ কর স্নেহভরে,
তুমি যদি সুখ হতে দম্ভ করহ দূর,
প্রতিদিন তব গাথা গাব আমি সুমধুর॥
-
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপিতে
গানটি পাওয়া যায় নি।
-
পাঠভেদ:
- তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান: গানটির যথার্থ রচনাকাল
পাওয়া যায় না। গানটি
আলাপনী
পত্রিকার 'কার্তিক-অগ্রহায়ণ, ১৩০৭
বঙ্গাব্দ'
সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। ধারণা করা হয় এই আশ্বিন মাসের দিকে রচিত হয়েছিল। এই
সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৩৯ বৎসর ৫ মাস ।
[৩৯ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
-
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮।
নৈবেদ্য (১৩০৮
বঙ্গাব্দ) থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ২০৬]
[নমুনা]
-
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮),
পর্যায়:
পূজা,
উপবিভাগ:
সাধনা ও সংকল্প: ৩,
পৃষ্ঠা: ৭৭।
[নমুনা]
-
অখণ্ড, তৃতীয়
সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০),
পূজা ১৭৬,
উপ-বিভাগ :
সাধনা ও সংকল্প: ৩।
-
গীতিচর্চ্চা
[বিশ্বভারতী, পৌষ
১৩৩২ বঙ্গাব্দ।
গান সংখ্যা ৮৯।
পৃষ্ঠা: ৬৮]
[নমুনা]
-
ধর্ম্মসঙ্গীত [ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। পৃষ্ঠা:
১২৩]
[নমুনা]
-
নৈবেদ্য
-
প্রথম সংস্করণ [আষাঢ়
১৩০৮
বঙ্গাব্দ।
১৯ সংখ্যক কবিতা। পৃষ্ঠা: ৩৭-৩৮]
[নমুনা
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
রবীন্দ্ররচনাবলী
অষ্টম খণ্ড
[বিশ্বভারতী,
ফাল্গুন ১৩৯২।
গান ১৯ পৃষ্ঠা ২২।]
-
ব্রহ্মসঙ্গীত
স্বরলিপি তৃতীয় ভাগ (মকর সংক্রান্তি ১৩১৩ বঙ্গাব্দ)।
জিলফ্ বারোয়া-সুরফাঁক্তা। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত
হয়েছিল।
-
স্বরবিতান ত্রয়োবিংশ
(২৩) খণ্ডের ১১ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৩১-৩৩।
[নমুনা]
-
পত্রিকা:
|
-
আলাপনী
(কার্তিক-অগ্রহায়ণ, ১৩০৭
বঙ্গাব্দ)।
স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হয়েছিল। কিন্তু স্বরলিপিকারে নাম অনুল্লিখিত ছিল। পৃষ্ঠা:
৮০-৮১।
-
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন
১৩০৭
বঙ্গাব্দ)।
জিলফ বারোয়াঁ-সুরফাঁকতাল। পৃষ্ঠা ১৭৭
[নমুনা]
-
প্রকাশের কালানুক্রম: গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল
আলাপনী
(কার্তিক-অগ্রহায়ণ, ১৩০৭
বঙ্গাব্দ)।
এরপর ১১ মাঘ ১৩০৭ বঙ্গাব্দ
[বৃহস্পতিবার, ২৪ জানুয়ারি
১৯০০ তারিখ]
একসপ্ততিতম মাঘোৎসবে এই গানটি পরিবেশিত হয়েছিল। এই মাঘোৎসবে পরিবেশিত
গানগুলোর সাথে এই গানটি প্রকাশিত হয়েছিল তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার '
ফাল্গুন
১৩০৭
বঙ্গাব্দ'
সংখ্যায়। এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল- সেগুলো হলো-
নৈবেদ্য
প্রথম সংস্করণ
(আষাঢ়
১৩০৮
বঙ্গাব্দ),
কাব্য-গ্রন্থ, ষষ্ঠ খণ্ড (১৩১০ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড (১৩১০
বঙ্গাব্দ),
গান
প্রথম সংস্করণ
(১৩১৫
বঙ্গাব্দ)
এবং
দ্বিতীয় সংস্করণ
(১৩১৬
বঙ্গাব্দ),
ধর্ম্মসঙ্গীত
(১৩২১ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ সপ্তম খণ্ড (১৩২৩
বঙ্গাব্দ)
ও
গীতিচর্চ্চা
(১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
এ সকল
গ্রন্থাদির পরে,১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
-এ
গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এর পর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে।
এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের সাধনা ও সংকল্প
উপবিভাগের তৃতীয় গান
হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ১৭৭ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয়
সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপি:
[নমুনা]
-
স্বরলিপিকার:
কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপিটি স্বরবিতান-২৩'এর ৭৭ পৃষ্ঠায় সুরভেদ হিসাবে
দেখানো
হয়েছে। স্বরবিতান-২৩-এ গৃহীত মূল স্বরলিপিটি কার তা জানা যায় না।
-
সুর ও তাল:
-
রাগ-জিলফ বারোয়াঁ।
তাল-
সুরফাঁকতাল
। তত্ত্ববোধিনী, ব্রহ্মসঙ্গীত
স্বরলিপি-৩।
-
রাগ-মিশ্র বারোয়াঁ।
তাল-
সুরফাঁকতাল
।
স্বরবিতান ত্রয়োবিংশ
(২৩)
- রাগ:
পিলু-বারোয়াঁ। তাল:
সুরফাঁকতাল।
[রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস,
ডিসেম্বর, ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৬৫]
-
রাগ:
বারোয়াঁ। তাল: সুরফাঁকতাল । [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার
চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১১৩ ]
গ্রহস্বর-সা।
লয়-মধ্য।