বৎসর অতিক্রান্ত বয়স

২৫ বৈশাখ ১৩০৭ বঙ্গাব্দ থেকে ২৪ বৈশাখ ১৩০৮ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত (৭ মে ১৯০০- ৬ মে ১৯০১ খ্রিষ্টাব্দ)


রবীন্দ্রনাথের RBVBMS 120-র গান ও কবিতা রচনা করেছিলেন এই বছরের জ্যৈষ্ঠ মাসে। এই পাণ্ডুলিপি থেকে দুটি গানের আদি নমুনা পাওয়া যায়। গান দুটি হলো-

১৩০৭ বঙ্গাব্দের [বুধবার, ৩০ মে, ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দ] রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহের উদ্দেশ্যে রওনা দেন এবং সেখানে পৌঁছান ১৯ জ্যৈষ্ঠে। ২০ জ্যৈষ্ঠ্যে তিনি রচনা করেন আষাঢ় এবং নববর্ষা  নামক দুটি কবিতা। এই কবিতা দুটিকে তিনি পরে গানে পরিণত করেন। গানটি হলো-
       
নীল নবঘনে আষাঢ়গগনে [প্রকৃতি-১০৮] [তথ্য] [আষাঢ়]
       
হৃদয় আমার নাচে রে আজিকে [প্রকৃতি-১১৩] [তথ্য] [নববর্ষা]

১৩০৭ বঙ্গাব্দের ৩১ জ্যৈষ্ঠ [বুধ ১৩ জুন, ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দ] 'স্নানযাত্রা' [জ্যৈষ্ঠপূর্ণিমায় জগন্নাথদেবের মহাস্নানোৎসব] ছিল। এই দিন রবীন্দ্রনাথ প্রেমতোষ বসুকে একটি চিঠি লেখেন। "লক্ষ্মী বিসর্গ নহে। ২য় ফর্মার পেজ প্রুফটাও পাঠাইবেন কারণ, ছোট অক্ষর, নির্ভুল হইল বলিয়া প্রত্যয় হয় না। আজ স্নানযাত্রা পোষ্ট আপিস বন্ধ কিনা জানিনা।/তাড়াতাড়ি আছে।" এই চিঠিতে উল্লিখিত 'লক্ষ্মী বিসর্গ নহে' বলা হয়েছে 'ক্ষণিকা' কাব্যের 'বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মীঃ' কবিতা প্রসঙ্গে। এই চিঠির সূত্রে বলা যায় 'বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মীঃ' কবিতাটি রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছিলেন ৩১ জ্যৈষ্ঠ-এর পূর্বে। এই কবিতার প্রথম দশ পঙক্তি বাদ দিয়ে, বাকি অংশকে গানে পরিণত করেছিলেন। গানটি হলো
        যাবই আমি যাবই, ওগো

১৩০৭ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে 'নৈবেদ্য' (প্রথম সংস্করণ আদি ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, আষাঢ় ১৩০৮ বঙ্গাব্দ) নামক কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল। এই গ্রন্থের বেশ কিছু কবিতাতে রবীন্দ্রনাথ সুরারোপ করেছিলেন। প্রভাতকুমার তাঁর 'গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচি' গ্রন্থে এই গানগুলো সম্পর্কে লিখেছেন- '১৩০৭ সালের পৌষ মাসের মাঝামাঝি হইতে ফাল্গুন মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে নৈবেদ্যের ৯০টি গান ও কবিতা লিখিত হয়।' এই বিচারে রচনার তারিখবিহীন যে সকল গানকে তিনি সাধারণভাবে ৩৯ বৎসর বয়সের তালিকায় যুক্ত করেছেন, সেগুলো  হলো-

আমার এ ঘরে আপনার করে [পূজা-১০৬] [তথ্য]
তোমার পতাকা যারে দাও  [তথ্য]
সংসার যবে মন কেড়ে লয় [পূজা-৪৭৯] [তথ্য]
ঘাটে বসে আছি আনমনা [পূজা-১৭৪] [তথ্য]


১৩০৭ বঙ্গাব্দের ভারতী পত্রিকার আষাঢ় সংখ্যায় 'চিরকুমার সভা' নাটকের তৃতীয় পরিচ্ছদ প্রকাশিত হয়। এই বিচারে ধারণা করা যায়, এই পরিচ্ছদ এবং এর গানগুলো রচিত হয়েছিল জ্যৈষ্ঠ মাসে।এই পরিচ্ছদের অংশ হিসাবে প্রকাশিত নতুন গানগুলো ছিল
        পোড়া মনে শুধু পোড়া মুখখানি
        যারে মরণদশায় ধরে
        সকলই ভুলেছে ভোলা মন

শিলাইদহে ১ আষাঢ় [শুক্রবার ১৫ জুন ১৯০০ খ্রিষ্টাব্দ] -এ লিখিত অবিনয় কবিতাটি রচনা করেন, পরে এই কবিতাটিকে গানে পরিণত করেন। গানটি হলো
        হে নিরুপমা, গানে যদি লাগে বিহ্বল তান

শিলাইদহে ৪ আষাঢ় [সোমবার ১৮ জুন
১৯০০ খ্রিষ্টাব্দ] -এ লিখিত কৃষ্ণকলি কবিতাটি রচনা করেন, পরে এই কবিতাটিকে গানে পরিণত করেন। গানটি হলো
        কৃষ্ণকলি আমি তারে বলি
১৩০৭ বঙ্গাব্দের ভারতী পত্রিকার শ্রাবণ সংখ্যায় 'চিরকুমার সভা' নাটকের চতুর্থ পরিচ্ছদ প্রকাশিত হয়। এই বিচারে ধারণা করা যায়, এই পরিচ্ছদ এবং এর গানগুলো রচিত হয়েছিল আষাঢ় মাসে।এই পরিচ্ছদের অংশ হিসাবে প্রকাশিত নতুন গানগুলো ছিল

        স্বর্গে তোমায় নিয়ে যাবে উড়িয়ে
        কার হাতে যে ধরা দেব,প্রাণ
        বিরহে মরিব ব'লে
        তুমি জান আমার গাছে [গীতবিতানে গৃহীত হয় নাই]

লাপনী (কার্তিক-অগ্রহায়ণ, ১৩০৭ বঙ্গাব্দ) পত্রিকায় গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল। স্বরলিপি-সহ একটি প্রকাশিত হয়েছিল। গানটি হলো-

 প্রতিদিন তব গাথা গাব আমি সুমধুর [পূজা-১৭৭] [তথ্য]

১৩০৭ বঙ্গাব্দের ১ পৌষ তারিখে কলকাতায় 'ভারত সঙ্গীত সমাজ'-এর উদ্যোগে 'বিসর্জন'-এর বিশেষ অভিনয় হয়। উক্ত অভিনয়পত্রে একটি নতুন গান পাওয়া যায়। গানটি হলো
        রাজ-অধিরাজ, তব ভালে জয়মালা

ভারতী পত্রিকার পৌষ ১৩০৭ বঙ্গাব্দের প্রকাশিত হয় চিরকুমার সভা'র অষ্টম পরিচ্ছদ। এই সংখ্যায় প্রকাশিত গানগুলো হলো
        ওগো দয়াময় চোর
        চলেছে ছুটিয়া পলাতকা হিয়া
        মনোমন্দিরসুন্দরী! মণিমঞ্জীর গুঞ্জরী

১৩০৭ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ [বৃহস্পতিবার, ২৪ জানুয়ারি ১৯০০ তারিখ] একসপ্ততিতম (৭১) সাংবৎসরিক মাঘোৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই উৎসবে কতগুলো গান পরিবেশিত হয়েছিল তা জানা যায় না। তবে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকারা ফাল্গুন ১৩০৭ সংখ্যায় ৬টি গানের উল্লেখ রয়েছে। এর ভিতরে ৩টি নতুন গান ছিল। গান ৩টি হলো-

প্রতিদিন আমি, হে জীবনস্বামী [পূজা-১৭৯] [তথ্য]
হে সখা মম হৃদয়ে রহ
মহানন্দে হের গো সবে



ভারতী
পত্রিকার মাঘ ১৩০৭ বঙ্গাব্দের প্রকাশিত হয় চিরকুমার সভা'র নবম পরিচ্ছদ। এই সংখ্যায় প্রকাশিত গানগুলো হলো
        নিশি না পোহাতে জীবনপ্রদীপ জ্বালাইয়া যাও
        ওরে সাবধানী পথিক

ভারতী পত্রিকার ফাল্গুন ১৩০৭ বঙ্গাব্দের প্রকাশিত হয় চিরকুমার সভা'র দশম পরিচ্ছদ। এই সংখ্যায় প্রকাশিত গানগুলো হলো
        তরী আমার হঠাৎ ডুবে যায়

ভারতী পত্রিকার ফাল্গুন ১৩০৭ বঙ্গাব্দের প্রকাশিত হয় চিরকুমার সভা'র একাদশ পরিচ্ছদ। এই সংখ্যায় প্রকাশিত গানগুলো হলো
        বিরহে মরিব ব'লে ছিল মনে পণ

ভারতী পত্রিকার বৈশাখ ১৩০৮ বঙ্গাব্দের প্রকাশিত হয় চিরকুমার সভা'র চতুর্দ পরিচ্ছদ। এই সংখ্যায় প্রকাশিত গানগুলো হলো
        অলকে কুসুম না দিয়ো
        কেন সারাদিন ধীরে ধীরে
        ভুলে ভুলে আজ ভুলময়