বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
ঘাটে বসে
আছি
আনমনা
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ: পূজা ১৭৪
ঘাটে বসে
আছি
আনমনা
যেতেছে বহিয়া সুসময়-
সে বাতাসে তরী ভাসাব না
যাহা তোমা-পানে নাহি বয়
॥
দিন যায় ওগো দিন যায়,
দিনমণি যায় অস্তে-
নিশার তিমিরে দশ দিক ঘিরে
জাগিয়া উঠিছে উঠিছে শত ভয়
॥
ঘরের ঠিকানা হল না গো,
মন করে তবু যাই-যাই-
ধ্রুবতারা তুমি যেথা জাগ
সে দিকের পথ চিনি নাই॥
এত দিন তরী বাহিলাম
যে সুদূর পথ বাহিয়া-
শত বার তরী ডুবুডুবু করি
সে পথে ভরসা নাহি পাই
॥
তীর-সাথে হেরো শত ডোরে
বাঁধা
আছে
মোর তরীখান-
রশি খুলে দেবে কবে মোরে,
ভাসিতে পারিলে বাঁচে প্রাণ।
কবে অকূলের খোলা হাওয়া
দিবে সব জ্বালা জুড়ায়ে,
শুনা যাবে কবে ঘনঘোর রবে
মহাসাগরের কলগান
॥
-
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি
নাই।
-
পাঠভেদ:
- তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু জানা যায় না। রবীন্দ্রের
'নৈবেদ্য' নামক
কাব্যগ্রন্থটি প্রথম প্রকাশিত হয় আষাঢ় ১৩০৮ বঙ্গাব্দে। এই গ্রন্থের ২১ সংখ্যক
কবিতা হিসেবে এই কবিতাটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। পরে রবীন্দ্রনাথ কবিতাটিতে
সুরারোপ করে গানে পরিণত করেন।
উল্লেখ্য,
প্রভাতকুমার তাঁর 'গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচি' গ্রন্থে এই নৈবেদ্যের গানগুলো
সম্পর্কে লিখেছেন- '১৩০৭ সালের পৌষ মাসের মাঝামাঝি হইতে ফাল্গুন মাসের ১৫
তারিখের মধ্যে নৈবেদ্যের ৯০টি গান ও কবিতা লিখিত হয়।' এই বিচারে রচনার
তারিখবিহীন যে সকল গানকে তিনি সাধারণভাবে ৩৯ বৎসর বয়সের তালিকায় যুক্ত করেছেন।
[৩৯ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
-
গান
- গীতবিতান
-
ধর্ম্মসঙ্গীত [ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। পৃষ্ঠা:
১০৩]
[নমুনা]
-
নৈবেদ্য
-
প্রথম সংস্করণ
(আদি
ব্রাহ্মসমাজ যন্ত্র, আষাঢ় ১৩০৮ বঙ্গাব্দ)। ২১ সংখ্যক রচনা। পৃষ্ঠা: ৪১-৪২
[নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
রবীন্দ্ররচনাবলী অষ্টম
খণ্ড (বিশ্বভারতী)। ২১ সংখ্যক গান।
পৃষ্ঠা ২৪।
-
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
প্রথম ভাগ (১ মাঘ ১৩১১ বঙ্গাব্দ)। গৌরী-পূরবী-একতালা। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
স্বরবিতান চতুর্থ
(৪) খণ্ডের (মাঘ ১৪১২) দ্বিতীয় গান। পৃষ্ঠা: ১২-১৪।[নমুনা]
-
পত্রিকা: :
-
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৮২৪ শকাব্দ ১৩০৯ বঙ্গাব্দ)। পূরবী-একতাল। পৃষ্ঠা
১৭৩। [নমুনা]
- সঙ্গীত প্রকাশিকা (বৈশাখ ১৩১০ বঙ্গাব্দ)। পূরবী-একতালা। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল। [নমুনা]
- রেকর্ড
পাওয়া যায় নি।
-
প্রকাশের কালানুক্রম: ১৩০৮ বঙ্গাব্দের আষাঢ় মাসে প্রথম গানটি প্রকাশিত
হয়েছিল 'নৈবেদ্য' নামক গ্রন্থের সাথে। এরপর
গানটি ১১ মাঘ ১৩০৯ বঙ্গাব্দে [২৫ জানুয়ারি ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ] অনুষ্ঠিত
৭৩তম
মাঘোৎসবের সকালের অধিবেশনে এই গানটি প্রথম পরিবেশিত হয়েছিল।
এরপর গানটি প্রকাশিত হয়েছিল 'তত্ত্ববোধিনী'
পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩০৯ বঙ্গাব্দ' এবং 'সঙ্গীত প্রকাশিকা' পত্রিকার 'বৈশাখ
১৩১০ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায়।
এরপর
যে সকল গ্রন্থাদিতে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়ৈছিল, সেগুলো হলো-
কাব্য-গ্রন্থ, ষষ্ঠ খণ্ড
(১৩১০ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড
(১৩১০ বঙ্গাব্দ),
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
প্রথম ভাগ (১৩১১ বঙ্গাব্দ),
গান
(প্রথম সংস্করণ
১৩১৫
বঙ্গাব্দ এবং
দ্বিতীয় সংস্করণ
(১৩১৬
বঙ্গাব্দ),
ধর্ম্মসঙ্গীত
(১৩২১ বঙ্গাব্দ) এবং
কাব্যগ্রন্থ সপ্তম খণ্ড
(১৩২৩ বঙ্গাব্দ)।
এ
সকল গ্রন্থাদির পরে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতান-এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
-এ
গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এর পর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ
মাসে। এই সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা,
পর্যায়ের বিরহ উপবিভাগের ৪৭
সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড
গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ১৭৪ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত
হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড গীতাবিতানের
তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
-
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
স্বরলিপিকার:
কাঙ্গালীচরণ সেন।[ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি-১,
স্বরলিপি-৪]
[কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত স্বরলিপির তালিকা]
-
সুর ও তাল:
-
রাগ-গৌরী পুরবী। তাল-একতাল।
স্বরবিতান চতুর্থ
(৪) খণ্ডের (মাঘ ১৪১২)]।
-
রাগ-পূরবী। তাল-একতাল। তত্ত্ববোধিনী
-
রাগ: গৌরী-পূরবী।
তাল: একতালা।
[রবীন্দ্রসংগীত:
রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬।]
পৃষ্ঠা: ৪৯
- অঙ্গ: পূরবী। তাল:
একতাল । [রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১, পৃষ্ঠা:
৮৮ ।]
-
বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত।
-
সুরাঙ্গ:
খেয়ালাঙ্গ
-
গ্রহস্বর: সা।
-
লয়: মধ্য।