বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
তোমার
পতাকা যারে দাও তারে বহিবারে দাও শকতি
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান অখণ্ড
(বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৪১২ )-এর
পূজা
পর্যায়ের ২৩১ সংখ্যক গান। উপবিভাগ
দুঃখ
৪০,
তোমার পতাকা যারে দাও তারে
বহিবারে দাও শকতি।
তোমার সেবার
মহান দুঃখ সহিবারে দাও ভকতি
॥
আমি তাই চাই
ভরিয়া পরান দুঃখের সাথে দুঃখের ত্রাণ,
তোমার হাতের
বেদনার দান এড়ায়ে চাহি না মুকতি।
দুখ হবে মম
মাথার ভূষণ সাথে যদি দাও ভকতি
॥
যত দিতে চাও কাজ
দিয়ো যদি তোমারে না দাও ভুলিতে,
অন্তর যদি জড়াতে
না দাও জালজঞ্জালগুলিতে।
বাঁধিয়ো আমায়
যত খুশি ডোরে মুক্ত রাখিয়ো তোমা-পানে মোরে,
ধুলায় রাখিয়ো পবিত্র ক'রে
তোমার চরণধূলিতে—
ভুলায়ে রাখিয়ো
সংসারতলে,
তোমারে দিয়ো না ভুলিতে
॥
যে পথে ঘুরিতে
দিয়েছ ঘুরিব—
যাই যেন তব চরণে,
সব শ্রম যেন বহি
লয় মোরে সকলশ্রান্তিহরণে।
দুর্গম পথ এ ভবগহন,
কত ত্যাগ শোক বিরহদহন—
জীবনে মৃত্যু করিয়া বহন প্রাণ পাই যেন মরণে—
সন্ধ্যাবেলায়
লভি গো কুলায় নিখিলশরণ চরণে
॥
-
তথ্যসন্ধান:
- পাণ্ডুলিপির
পাঠ:
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি
পাওয়া যায় নি।
- পাঠভেদ:
পাঠভেদ
নেই।
-
ক.
রচনাকাল ও স্থান: গানটির রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায় না। প্রভাতকুমার তাঁর
'গীতবিতান কালানুক্রমিক সূচি' গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন- '১৩০৭ সালের পৌষ মাসের
মাঝামাঝি হইতে ফাল্গুন মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে
নৈবেদ্যের ৯০টি গান ও ও কবিতা
লিখিত হয়।' এই বিচারে নৈবেদ্যের এই গানটিকে এই সময়ের ভিতরে রচিত বলে অনুমান
করেছেন।
এই সময়ে রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৩৯ বৎসর।
[রবীন্দ্রনাথের
৩৯ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
- খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
- গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
- গান
-
গীতবিতান
-
গীতিচর্চ্চা
[(বিশ্বভারতী, পৌষ
১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
গান সংখ্যা ৪৩।
পৃষ্ঠা: ২৯-৩০]
[নমুনা: প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
চয়নিকা [ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, ১৩১৬ বঙ্গাব্দ। শিরোনাম- তোমার পতাকা যারে
দাও। ভৈরবী-ঠুংরী। পৃষ্ঠা: ৪৫৫-৫৬] [নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
ধর্ম্মসঙ্গীত [ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। গান।
পৃষ্ঠা: ৭৪-৭৫]
[নমুনা: প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
- নৈবেদ্য
- প্রথম সংস্করণ ১৩০৮ বঙ্গাব্দে
[আদি ব্রাহ্মসমাজ
যন্ত্র, ১৩০৮
বঙ্গাব্দ। ২০
সংখ্যক কবিতা। পৃষ্ঠা: ৩৯-৪০।] [নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
- রবীন্দ্ররচনাবলী অষ্টম খণ্ড
[বিশ্বভারতী, ফাল্গুন ১৩৯২ ।
২০ সংখ্যক কবিতা পৃষ্ঠা: ২২-২৩।]
-
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
প্রথম ভাগ (১ মাঘ ১৩১১ বঙ্গাব্দ)।
ভৈরবী-ঠুংরি। কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
স্বরবিতান চতুর্থ
(৪) খণ্ড [মাঘ
১৪১২,
প্রথম গান।
পৃষ্ঠা: ৭-১১।]
[নমুনা]
- পত্রিকা:
- প্রকাশের
কালানুক্রম: গানটি
নৈবেদ্য
কাব্যগ্রন্থের জন্য রচিত হয়েছিল ১৩০৭ বঙ্গাব্দে।
১৩০৮
বঙ্গাব্দে
কবিতা হিসেবে
নৈবেদ্য
কাব্যগ্রন্থের প্রথম সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
১৩০৯ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ অষ্টসপ্ততিতম
(৭৮) সাংবৎসরিক মাঘোৎসব সকালের অধিবেশনে এই গানটি পরিবেশিত হয়েছিল।
এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল. সেগুলো হলো-
তত্ত্ববোধিনী
(ফাল্গুন ১৩০৯
বঙ্গাব্দ)
কাব্যগ্রন্থ
ষষ্ঠ খণ্ড
(১৩১০
বঙ্গাব্দ),
অষ্টম খণ্ড
(১৩১০
বঙ্গাব্দ),
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
(১৩১১ বঙ্গাব্দ),
গান
প্রথম সংস্করণ
(১৩১৫ বঙ্গাব্দ)
ও দ্বিতীয়
সংস্করণ (১৩১৬
বঙ্গাব্দ),
ধর্ম্মসঙ্গীত
(১৩২১),
কাব্যগ্রন্থ
সপ্তম খণ্ড
(১৩২৩) ও
গীতিচর্চ্চা
(১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
এরপর ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গানটি
গীতবিতান -এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর
১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে প্রকাশিত গীতবিতান -এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল
পূজা
পর্যায়ের উপবিভাগ
দুঃখ -এর ৪০
সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা পর্যায়ের ২৩১ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে
অখণ্ড গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ
মাসে।
- গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
- স্বরলিপিকার :
-
কাঙ্গালীচরণ সেন। [কালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপিটি ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি-১ম খণ্ড
ও
স্বরবিতান-৪-এর চৈত্র
১৩৪৬ বঙ্গাব্দ সংস্করণে গৃহীত হয়েছিল।
স্বরবিতান-৪-এর
পরবর্তী সংস্করণে উক্ত
স্বরলিপিটি
সম্পাদিত হয়ে গৃহীত হয়েছে।]
- পর্যায়:
- তাল:
-
কাওয়ালি
(৮ মাত্রা)।
-
[স্বরবিতান চতুর্থ
(৪) এর সুরান্তর
অংশে উল্লিখিত]
- [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ।
প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬ । পৃষ্ঠা: ৫৬]
- [রাগ-রাগিণীর এলাকায়
রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য
সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৯৯]
[কাওয়ালি
তালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
- ঠুংরী।
(২।২।২।২
ছন্দ)
- [ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি-১]
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।