সেই তো আমি চাই-
সাধনা যে শেষ হবে মোর সে ভাবনা তো নাই ॥
ফলের তরে নয় তো খোঁজা, কে বইবে সে বিষম বোঝা-
যেই ফলে ফল ধুলায় ফেলে আবার ফুল ফোটাই ॥
এমনি ক'রে মোর জীবনে অসীম ব্যাকুলতা,
নিত্য নূতন সাধনাতে নিত্যনূতন ব্যথা।
পেলেই সে তো ফুরিয়ে ফেলি, আবার আমি দু হাত মেলি-
নিত্য দেওয়া ফুরায় না যে, নিত্য নেওয়া তাই ॥
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 229-তে
লিখিত এই গানের শেষে সময় ও স্থান লেখা আছে- '
২৮ ভাদ্র/শান্তিনিকেতন'।
উল্লেখ্য,
১৩২১ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে
রবীন্দ্রনাথের বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুরুলের কুঠি বাড়িতে কৃষি-গবেষণার
জন্য বসবাস শুরু করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথ প্রতিদিনই গরুর গাড়িতে সকাল
বেলায় শান্তিনিকেতন থেকে সুরুল যেতেন এবং বিকেলে ফিরে আসতেন। রবীন্দ্রনাথের
এই যাতায়াত শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল
২২শে
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত।
রবীন্দ্রনাথের এই যাতায়াত
শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল
২২শে
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত।
তাঁর এই আসা-যাওয়ার ভিতরে ২০শে আশ্বিন
পর্যন্ত ৫৭টি গান রচনা করেছিলেন। এর ভিতরে এই গানটি তিনি
২৮ ভাদ্র [সোমবার, ১৪ সেপ্টেম্বর] শান্তিনিকেতন-এ
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
।
গীতালি ৩৭, পৃষ্ঠা
৪৫৯]
[নমুনা]
স্বরবিতান চতুশ্চত্বারিংশ (৪৪) খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩) ২৭ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৭৪-৭৬। [নমুনা]
পত্রিকা:
বিশ্বভারতী পত্রিকা (শ্রাবণ-আশ্বিন ১৩৬২ বঙ্গাব্দ)। সুধীরচন্দ্র কর-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
রেকর্ডসূত্র: রেকর্ডসূত্র পাওয়া যায় নি।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: [স্বরলিপি]
স্বরলিপিকার: সুধীরচন্দ্র কর। [বিশ্বভারতী পত্রিকা (শ্রাবণ-কার্তিক) থেকে স্বরবিতান-৪৪-এ গৃহীত হয়েছে]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান চতুশ্চত্বারিংশ (৪৪) খণ্ডে (বিশ্বভারতী, চৈত্র ১৪১৩) গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।২।২ মাত্রা ছন্দে 'তেওরা' তালে নিবদ্ধ।
রাগ : পিলু। তাল : তেওরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮২।
রাগ: কীর্তন, কাফি, পিলু। তাল: তেওরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৪৩।
গ্রহস্বর: সা।
লয়: মধ্য।