এবার দুঃখ আমার অসীম পাথার পার হল যে, পার হল।
তোমার পায়ে এসে ঠেকল শেষে, সকল সুখের সার হল ॥
এত দিন নয়নধারা রয়েছে বাঁধনহারা,
কেন বয় পাই নি যে তার কূলকিনারা—
আজ গাঁথল কে সেই অশ্রুমালা, তোমার গলার হার হল ॥
তোমার সাঁঝের তারা ডাকল আমায় যখন অন্ধকার হল।
বিরহের ব্যথাখানি খুঁজে তো পায় নি বাণী,
এত দিন নীরব ছিল শরম মানি—
আজ পরশ পেয়ে উঠল গেয়ে, তোমার বীণার তার হল ॥
অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)। পূজা ১৯৫, উপ-বিভাগ: দুঃখ-৪।
রেকর্ডসূত্র: ১৯৩৬ থেকে ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে হিন্দুস্থান রেকর্ড কোম্পানি থেকে এই গানটির একটি রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। গানটির শিল্পী ছিলেন সাহানা দেবী (বসু)। রেকর্ড নম্বর H 333
।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
দেখেছি রূপসাগরে মনের মানুষ কাঁচা সোনা,
তারে ধরি ধরি মনে করি ধরতে গেলে আর মেলে না ॥
বহুদিন ভাব তরঙ্গে ভেসেছি কতই রঙ্গে
সুজনের সঙ্গে হবে দেখা শুনা।
তারে আমার আমার মনে করি আমার হয়ে আর হইলো না ॥
সে মানুষ চেয়ে চেয়ে ফিরতেছি পাগল হয়ে,
মরমে জ্বলছে আগুন, আর নেভে না।
আমার বলে বলুক লোকে মন্দ বিরহে তার প্রাণ বাঁচে ন ॥
পথিক কয় ভেবো না রে ডুবে যাও রূপসাগরে
বিরলে বসে করো যোগসাধনা।
একবার ধরতে পেলে মনের মানুষ ছেড়ে যেতে আর দিও না ॥