বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আরো আঘাত সইবে আমার, সইবে আমারো
পাঠ ও পাঠভেদ:
আরো আঘাত সইবে আমার, সইবে আমারো।
আরো কঠিন সুরে জীবন-তারে ঝঙ্কারো॥
যে রাগ জাগাও আমার প্রাণে বাজে নি তা চরম তানে,
নিঠুর মূর্ছনায় সে গানে মূর্তি সঞ্চারো॥
লাগে না গো কেবল যেন কোমল করুণা,
মৃদু সুরের খেলায় এ প্রাণ ব্যর্থ কোরো না।
জ্ব’লে উঠুক সকল হুতাশ, গর্জি উঠুক সকল বাতাস,
জাগিয়ে দিয়ে সকল আকাশ পূর্ণতা বিস্তারো॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
[RBVBMS 357] [নমুনা]
[RBVBMS 478] [নমুনা]
পাঠভেদ:
ভাবসন্ধান: যুক্ত হবে।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
RBVBMS 357 -তে গানটির তারিখ উল্লেখ আছে '৪ঠা আষাঢ়/১৩১৭'।
উল্লেখ্য,
২৮ জ্যৈষ্ঠ রবীন্দ্রনাথ কলকাতা থেকে শান্তিনিকেতনে আসেন। ১৯ আষাঢ় পর্যন্ত তিনি
এই গানটি-সহ মোট ১১টি গান রচনা
করেন।এর ভিতরে ৪ঠা আষাঢ় তিনি এই
গানটি রচনা করেছিলেন।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪৯ বৎসর ২ মাস।
[৪৯ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড
[ইন্ডিয়ান প্রেস
১৩২৩,
গীতাঞ্জলি, গান সংখ্যা ৮৩, পৃষ্ঠা
৩৭৯]
[নমুনা]
অখণ্ড সংস্করণ,তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী ১৩৮০)।
পূজা
২২৪, উপ-বিভাগ:
দুঃখ-৩৩।
গীতলিপি ৬ষ্ঠ ভাগ (১৯১৮ খ্রিষ্টাব্দ, ১৩২৫ বঙ্গাব্দ)। সুরেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায়-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ৭১। ৯০ সংখ্যক গান।
ধর্ম্মসঙ্গীত [ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। গান। পৃষ্ঠা: ১১] [নমুনা]
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি (১৯২৭ খ্রিষ্টাব্দ)। ভীমরাও শাস্ত্রী-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছেল।
রেকর্ডসূত্র:
১৯১৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে গ্রামোফোন কোম্পানি থেকে এই গানটির একটি রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। গানটির শিল্পী ছিলেন মিস দাস (অমলা দাশ)। রেকর্ড নম্বর P 13312/9-13313।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
১৩১৭ বঙ্গাব্দে
গানটি প্রথম
প্রকাশিত হয়েছিল
গীতাঞ্জলি
র প্রথম
সংস্করণের সাথে।
এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে
গানটি স্থান পেয়েছিল, সেগুলো হলো-
গীতলিপি চতুর্থ ভাগ (১৩১৭
বঙ্গাব্দ),
ধর্ম্মসঙ্গীত (১৩২১ বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ অষ্টম খণ্ড (১৩২৩
বঙ্গাব্দ),
সঙ্গীত-গীতাঞ্জলি (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ)
এরপর ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গানটি
গীতবিতান
-এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণে
অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮
বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান
-এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা পর্যায়ের
উপবিভাগ দুঃখ
-এর ৩৩
সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ২২৪ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড
গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার:
সুর ও তাল:
রাগ-ঝিঁঝিট খাম্বাজ। তাল-যৎ (১৬ মাত্রা)। [স্বরবিতান-৩৭]
রাগ: ঝিঁঝিট-খাম্বাজ। তাল: যৎ। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬)। পৃষ্ঠা: ৩৪।]
রাগ: ঝিঁঝিট-খাম্বাজ। তাল: যৎ (১৬), ঢালা [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমী, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৬৪।]
গ্রহস্বর-রা।