বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম:
মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকাল-মাঝে
পাঠ ও পাঠভেদ:
- গীতবিতান (বিশ্বভারতী, কার্তিক
১৪১২)-এর পাঠ:
পূজা:
৩৩৭
মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকাল-মাঝে
আমি
মানব একাকী ভ্রমি বিস্ময়ে, ভ্রমি বিস্ময়ে
॥
তুমি
আছ,
বিশ্বনাথ, অসীম রহস্যমাঝে
নীরবে একাকী
আপন
মহিমানিলয়ে
॥
অনন্ত এ দেশকালে, অগণ্য এ
দীপ্ত লোকে,
তুমি
আছ
মোরে চাহি- আমি
চাহি তোমা-পানে।
স্তব্ধ
সর্ব কোলাহল, শান্তিমগ্ন
চরাচর-
এক তুমি, তোমা-মাঝে
আমি
একা নির্ভয়ে
॥
- পাণ্ডুলিপির
পাঠ:
রবীন্দ্রনাথের পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়
নি।
- পাঠভেদ: ১৩০৬
বঙ্গাব্দের
মাঘোৎসবের সায়ংকালীন অধিবেশনে গানটি প্রথম গীত হয়েছিল।
গানটির দুটি পাঠ পাওয়া যায়। স্বরবিতান-৪'এর ৫২-৫৩ পৃষ্ঠায় গানটির পাঠান্তর,
সুরান্তর
ও তালান্তর মুদ্রিত হয়েছে। নিচে পাঠান্তর দেওয়া হলো।
পাঠান্তর :
মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকালমাঝে
আমি
মানব কী লাগি একাকী ভ্রমি বিস্ময়ে
॥
তমি
আছ বিশ্বেশ্বর
সুরপতি অসীম রহস্যে
নিরবে একাকী তব
আলয়ে
॥
আমি
চাহি তোমা-পানে-
তুমি মোরে নিয়ত হেরিছ, নিমেষবিহীন নত নয়নে
॥
উল্লেখ্য, এই পাঠটি গীতবিতানের 'পূজা ও প্রার্থনা' পর্যায়ের ৫৬ সংখ্যক গান হিসাবে
গৃহীত
হয়েছে।
-
তথ্যানুসন্ধান
- ক. রচনাকাল ও স্থান:
১৩০৩ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসের ১৫ তারিখে প্রকাশিত
কাব্যগ্রন্থাবলী-তে এই গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
ধারণা করা হয়, এই গ্রন্থটি প্রকাশের কিছু আগে গানটি রচিত হয়েছিল। এই সময়
রবীন্দ্রনাথের
ববস ছিল ৩৫ বৎসর ৫ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৩৫ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
-
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
অষ্টম খণ্ড [মজুমদার লাইব্রেরি, ১৩১০ বঙ্গাব্দ।
- রাগিণী কল্যাণ-তাল পটতাল। পৃষ্ঠা ২৪১]
[নমুনা]
- রাগিণী ইমনকল্যাণ-তাল
তেওরা। পৃষ্ঠা ২৮৯-২৯০][নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
দশম খণ্ড [ইন্ডিয়ান প্রেস ১৩২৩ বঙ্গাব্দ। ধর্ম্মসঙ্গীত। পৃষ্ঠা
২৬৮]
[নমুনা]
-
কাব্যগ্রন্থাবলী [আদি ব্রাহ্মসমাজ প্রেস, ১৩০৩। ব্রহ্মসঙ্গীত।
রাগিণী কল্যাণ- তাল পটতাল।
পৃষ্ঠা: ৪৬৮]
[নমুনা]
-
গান
-
প্রথম সংস্করণ [সিটি
বুক সোসাইটি, ১৩১৫ বঙ্গাব্দ
ব্রহ্মসঙ্গীত।
-
রাগিণী
কল্যাণ-তাল পটতাল। পৃষ্ঠা: ২৮৭]
[নমুনা]
-
রাগিণী ইমনকল্যাণ-তাল
তেওরা। পৃষ্ঠা ৩২৯-৩৩০][নমুনা:
প্রথমাংশ,
শেষাংশ]
-
দ্বিতীয় সংস্করণ
ইন্ডিয়ান প্রেস
(১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দ,
১৩১৬ বঙ্গাব্দ)।
ব্রহ্মসঙ্গীত।
-
রাগিণী কল্যাণ-তাল
পটতাল। পৃষ্ঠা: ২৯৯] [নমুনা]
- রাগিণী ইমন কল্যাণ-তাল
তেওরা
পৃষ্ঠা: ৩২৫][নমুনা]
-
গীতবিতান
-
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণ
(বিশ্বভারতী, ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ। ১৩০৩ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
'কাব্যগ্রন্থাবলী'-
ব্রহ্মসঙ্গীত অংশ থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ১৮০]
[নমুনা]
-
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ
[বিশ্বভারতী ১৩৪৮।
পূজা,
উপবিভাগ:
বিশ্ব
৪। পৃষ্ঠা:
১৩৬]
[নমুনা]
-
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ
(বিশ্বভারতী ১৩৮০)।
-
পূজা: ৩৩৭।
উপবিভাগ:
বিশ্ব
-৪।
-
'পূজা ও প্রার্থনা' পর্যায়ের ৫৬ সংখ্যক গান। পাঠান্তর। পৃষ্ঠা ৮৪৬।
-
ধর্ম্মসঙ্গীত
[ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ।
পৃষ্ঠা: ১৫৩]
[নমুনা
]
-
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
প্রথম ভাগ (১ মাঘ ১৩১১ বঙ্গাব্দ)।
ইমনকল্যাণ-তেওড়া।
কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
স্বরবিতান
চতুর্থ
(৪) খণ্ডের (মাঘ ১৪১২) ১৯ সংখ্যক গান।
-
ইমনকল্যাণ-তেওরা। পৃষ্ঠা ৫০-৫১।
[নমুনা]
-
পাঠান্তর, সুরান্তর, তালান্তর।
কল্যাণ। বিলম্বিত ত্রিতাল। পৃষ্ঠা ৫২-৫৩]
[সুরান্তর]
-
পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী [আশ্বিন
১৩০৬ বঙ্গাব্দ।
রাগিণী ইমন কল্যাণ-তাল তেওরা। পৃষ্ঠা ১৮১]
[নমুনা]
-
বিশ্বভারতী পত্রিকা (বৈশাখ-আষাঢ়
১৩৬৬ বঙ্গাব্দ)। জ্যোতিরিন্দ্রনাথ
ঠাকুর-কৃত স্বরলিপি- সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
সঙ্গীত
প্রকাশিকা [বৈশাখ ১৩০৯ বঙ্গাব্দ।
ইমনকল্যাণ-তেওরা।
কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ প্রকাশিত হয়েছিল। পৃষ্ঠা ৮৫-৮৬
[নমুনা]
-
রেকর্ডসূত্র: নাই।
-
প্রকাশের কালানুক্রম
: ১৩০৩ বঙ্গাব্দে
প্রকাশিত
কাব্যগ্রন্থাবলী-তে
গানটি প্রথম অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর
১৩০৬
বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ
অনুষ্ঠিত
৭০তম
মাঘোৎসবের সায়ংকালীন অধিবেশনে গানটি প্রথম গীত হয়েছিল। এই সূত্রে
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার 'আশ্বিন
১৩০৬ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় গানটি
প্রকাশিত হয়েছিল। কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ 'সঙ্গীত
প্রকাশিকা' পত্রিকার '১৩০৯ বঙ্গাব্দ'
সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল।
এরপর যে সকল
গ্রন্থাদিতে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত
হয়েছিল, সেগুলো হলো-
কাব্যগ্রন্থ
অষ্টম খণ্ড
(১৩১০ বঙ্গাব্দ),
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
প্রথম ভাগ (১৩১১ বঙ্গাব্দ),
গান
প্রথম সংস্করণ
(১৩১৫ বঙ্গাব্দ),
গান
দ্বিতীয় সংস্করণণ (১৩১৬ বঙ্গাব্দ),
ধর্ম্মসঙ্গীতত
(১৩২১ বঙ্গাব্দ)
ও
কাব্যগ্রন্থ দশম খণ্ড (১৩২৩ বঙ্গাব্দ)।
এ সকল
গ্রন্থাদির পরে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে গানটি
গীতবিতান -এর
প্রথম খণ্ড, প্রথম সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল। ১৩৪৮
বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান -এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা পর্যায়ের
উপবিভাগ
বিশ্ব
-এর চতুর্থ গান হিসেবে। এরপর ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত অখণ্ড
গীতবিতানের
পূজা পর্যায়ের ৩৩৭ সংখ্যক গান
হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
গ সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
-
ভাঙা গান:
এটি একটি খেয়াল ভাঙা গান।
মূল গান :কল্যাণ। ঢিমা ত্রিতাল।
মহাদেব মহেশ্বর ত্রিশূলধারণ ত্রিপুরান্তক গণেশ
পিণাকী জগবন্দন
বিঘ্ননাশ বিশ্বেশ্বর বিশ্বপতি কৈলাসী বৈকুণ্ঠ
বৃখবাহন কমলাসন
॥
জ্যোতির্রিনাথ সংগৃহীত
স্বরবিতান-৪' এ গৃহীত সুরান্তরিত গানটি উল্লিখিত ভাঙা গানটির আদলে রচিত।
-
স্বরলিপি:
[নমুনা: [মূল স্বরলিপি]
[সুরান্তর]
-
স্বরলিপিকার:
-
সুর ও তাল:
- প্রথম স্বরলিপি:
রাগ-ইমন কল্যাণ।
তাল-তেওরা।
-
দ্বিতীয় স্বরলিপি:
রাগ-কল্যাণ। তাল-বিলম্বিত ত্রিতাল।
-
রাগ:
ইমন কল্যাণ। তাল: তেওরা।
সুরান্তর: শুদ্ধ কল্যাণ। তাল: ত্রিতাল।
[রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর
২০০৬। পৃষ্ঠা: ৭৩]
-
রাগ:
ইমন কল্যাণ। তাল: তেওরা।
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ১২৬।]
বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত
সুরাঙ্গ:
-
প্রথম স্বরলিপি: ধ্রুপদাঙ্গ
-
দ্বিতীয় স্বরলিপি: খেয়ালাঙ্গ
গ্রহস্বর: সা।