বৎসর অতিক্রান্ত বয়স

২৫ বৈশাখ ১৩০৩ বঙ্গাব্দ থেকে ২৪ বৈশাখ ১৩০৪ বঙ্গাব্দ পর্যন্ত (৭ মে ১৮৯৬- ৬ মে ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দ)


১৩০৩ বঙ্গাব্দের বৈশাখ মাসে ২রা বৈশাখ থেকে রবীন্দ্রনাথ কলকাতায় ছিলেন। তবে এরপর তিনি শিলাইদহ, শাহজাদপুর অঞ্চলে জমিদারির তদারকিতে যান। সম্ভবত ১৫ই শ্রাবণ তিনি কলকাতায় ফিরে আসেন। সঙ্গীতবিজ্ঞান পত্রিকার শ্রাবণ '১৩০৯ বঙ্গাব্দ' সংখ্যায় একটি গান প্রকাশিত হয়েছিল। গানটি হলো-

শান্ত হ রে মম চিত্ত নিরাকুল [পূজা-২৬৩] [তথ্য]
সম্ভবত তিনি এই গানটি তিনি রচনা করেছিলেন আষাঢ় মাসে।
 

তিনি ১৫ই শ্রাবণ থেকে আশ্বিন মাসের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত কলকাতায় ছিলেন। এই সময় তিনি তাঁদের জমিদারি বিভাজনের কাজে ব্যস্ত সময় কাটান। এই সময় তাঁর রচনায় কিছুটা ভাটা পড়ে। এরই ভিতরে শ্রাবণ মাসের ১৪ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে মোট ৯টি গান রচনা করেন। এই গানগুলো হলো

[১৪ই শ্রাবণ] আজি কোন্ ধন হতে বিশ্বে আমারে [পূজা-২৫১] [তথ্য]
[২৯ ভাদ্র/১৩০৩] কে যায় অমৃতধামযাত্রী [পূজা-২৫২] [তথ্য]
[১৪ শ্রাবণ- ২৯ ভাদ্র] জি রাজ-সনে তোমারে বসাইব [পূজা ও প্রার্থনা-৫৪] [তথ্য]
[১৪ শ্রাবণ- ২৯ ভাদ্র]  তোমা-হীন কাটে দিবস হে, প্রভু [পূজা-৪৪৩] [তথ্য]
[১৪ শ্রাবণ- ২৯ ভাদ্র]  ব্যাকুল প্রাণ কোথা সুদূরে ফিরে। [পূজা-৪৩৭] [তথ্য]
[১৪ শ্রাবণ- ২৯ ভাদ্র]  শীতল তব পদছায়া [পূজা-৪৭১] [তথ্য]
[১৪ শ্রাবণ- ২৯ ভাদ্র]  হৃদয়-আবরণ খুলে গেল [পূজা ও প্রার্থনা ৮১] [তথ্য]
[১৪ শ্রাবণ- ২৯ ভাদ্র]  আমার সত্য মিথ্যা সকলই ভুলায়ে দাও [পূজা-১২৩] [তথ্য]
[১৪ শ্রাবণ- ২৯ ভাদ্র]  মধুর রূপে বিরাজ হে বিশ্বরাজ [পূজা-৫৪৪] [তথ্য]]
[১৪ শ্রাবণ- ২৯ ভাদ্র]  আর কত দূরে আছে সে আনন্দধাম [পূজা-৪১৬] [তথ্যয]

আশ্বিন মাসে রচিত সমীর পূঁথি থেকে পাওয়া যায় একটি হিন্দি ভাঙা গান। গানটি হলো-
  মন প্রাণ কাড়িয়া লও হে [পূজা ও প্রার্থনা ৮২] [তথ্য]

১৩০৩ বঙ্গাব্দের শ্রাবণ মাসের ১৪ থেকে ২৯ তারিখের মধ্যে রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছিলেন 'হৃদয় আবরণ খুলে গেল' গানটি। পরে এই গানটি ভেঙে একটি নূতন গান রচনা করেন। এই গানটি হলো-
    এ কি করুণা করুণাময়

১৩০৩ বঙ্গাব্দের আশ্বিন  মাসের ১৫ তারিখে প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থাবলী (সঙ্গীত-সঙ্কলন)-তে তিনটি গান গৃহীত হয়েছিল। এই গানগুলো ঠিক কখন রচিত হয়েছিল তা জানা যায় না। প্রকাশকালের বিচারে এই গানগুলোকে এই বৎসরে যুক্ত করা হলো। এই তিনটি গান হলো
        মহাবিশ্বে মহাকাশে মহাকাল মাঝে
        ব্যাকুল প্রাণ কোথা সুদূরে ফিরে
        সুধাসাগরতীরে হে, এসেছে নরনারী

১৩০৩ বঙ্গাব্দের ১৪ পৌষ [১৮৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ ডিসেম্বর] কলকাতার বিডন স্কোয়ারে র্হমতুল্লা সয়ানির সভাপতিত্বে ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের দ্বাদশ অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। রবীন্দ্রনাথ এই উৎসব উপলক্ষে ১টি গান রচনা করেন। এই গানটি হলো
        অয়ি ভুবনমোহিনী

মজুমদার পুঁথিতে
[RBVBMS 426 (i)] ১৩০৩ বঙ্গাব্দের ২৯ ভাদ্রের পরে রচিত এমন কিছু গান পাওয়া যায়, যে গানগুলোর সাথে তারিখ পাওয়া যায় না। আবার এই গানগুলো ১৩০৩ বঙ্গাব্দের ১৫ আশ্বিন তারিখ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থাবলী -তেও গৃহীত হয় নাই। তাই ধরে নেওয়া যায়, এই গানগুলো ১৫ আশ্বিন থেকে ১১ মাঘের মধ্যে গানগুলো রচিত হয়েছিল। এই গানগুলোর প্রত্যেকটি শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের বন্দীশ ভেঙে রচনা করা হয়েছিল। মূলত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরবাড়ির সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত 'রাধিকাপ্রসাদ গোস্বামী'দের মতো সঙ্গীতগুণীদের কাছে শাস্ত্রীসঙ্গীত শুনে, সেই সুরে কথা বসিয়ে গানগুলো লিখেছিলেন। মজুমদার পুঁথিতে বেশ কিছু বন্দীশ রবীন্দ্রনাথ লিখে রেখেছিলেন। কিন্তু সবগুলো ভেঙে তিনি গান রচনা করেন নি। নিচে এই পুথিতে লিখিত শাস্ত্রীয় গানের বন্দীশ ও ভাঙা গানের উল্লেখ করা হলো-

মজুমদার পুঁথিতে এর পরে রয়েছে একটি হিন্দি গান। গানটি হলো- 'তু কাঁহা পায়ো নদী হো অপরস্পার'। সম্ভবত এই গানটি ভেঙে তিনি একটি বাংলা গান লিখেছেলেন। গানটি হলো-

জাপোরে আজি জাপোরে তাঁহার সাথে
সেই নিত্য প্রেমভরে একাকী আনন্দে নিরমল অন্তরে
        শুদ্ধি যোগাসনে
নির্ণিমেষে প্রেম নেত্র জাগিছে যাঁর নিত্যকাল নির্বিকার
দিকে ২ লোকে ২ গগনে ২ অধোঊরদ্ধে নিত্যকাল
সর্ব্বজীবে দেহ প্রাণে নিশ্বাসে প্রশ্বাসে জাগিছেন নয়নে ২
                                                 শয়নে স্বপনে।

উল্লিখিত গানটি রচনার পর কেটে দেওয়া হয়েছে। পরে গীতবিতানে গানটি স্থান পায় নি। [নমুনা]

মজুমদার পুঁথিতে এর পরের পৃষ্ঠায় একটি হিন্দি গান আছে। গানটি হলো-  সুদূর দূরে আয়োবী সো মুরা মুরা  [নমুনা]। এই গানটি ভেঙে রবীন্দ্রনাথ কোনো গান রচনা করেন নি। পাণ্ডুলিপির একই পৃষ্ঠায় একটি হিন্দি গান আছে। গানটি হলো- শম্ভু হর পদযুগ ধ্যানি বখানি  [নমুনা]। এই গানটির নিচে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের একটি ভাঙা গান। গানটি হলো-

শান্তি করো বরিষন নীরব ধারে [পূজা-৪১০] [তথ্য]  [নমুনা]

মজুমদার পুঁথিতে এর পরের পৃষ্ঠায় রয়েছে একটি হিন্দি গান- শঙ্কর শিব পিনাকী গঙ্গাধর।[নমুনা]। এর নিচে রয়েছে রবীন্দ্রনাথের একটি ভাঙা গান। গানটি হলো-

সুন্দর বহে আনন্দমন্দানিল [পূজা-৫৩৭] [তথ্য] [নমুনা]

১৩০৪ বঙ্গাব্দের ১৭ বৈশাখে জোড়াসাঁকোতে রবীন্দ্রনাথ বর্ষামঙ্গল  নামে একটি কবিতা রচনা করেন। ১৩৩২ খ্রিষ্টাব্দে শেষবর্ষণ অভিনয়ের সময় এই কবিতাটিতে রবীন্দ্রনাথ সুরারোপ করেছিলেন। গানটি হলো
       
ওই আসে ওই অতি ভৈরব হরষে [প্রকৃতি-২৭] [তথ্য]
 

১৩০৪ বঙ্গাব্দের ১৯ বৈশাখে জোড়াসাঁকোতে রবীন্দ্রনাথ চৈত্ররজনী   নামে একটি কবিতা রচনা করেন। গীতবিতানে গানটি গৃহীত হয়েছে। স্বরলিপি নাই।
        আজি উন্মাদ মধুনিশি ওগো