বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা :
শিরোনাম:
অনেক দিয়েছ নাথ
পাঠ ও পাঠভেদ:
অন্ধকারের উৎস হতে উৎসারিত আলো
সেই তো তোমার
আলো!
সকল দ্বন্দ্ববিরোধ-মাঝে
জাগ্রত যে ভালো
সেই তো তোমার
ভালো
॥
পথের ধুলায় বক্ষ পেতে
রয়েছে সেই গেহ
সেই তো তোমার
গেহ।
সমরঘাতে অমর করে
রুদ্রনিঠুর স্নেহ
সেই তো
তোমার স্নেহ
॥
সব ফুরালে বাকি রহে
অদৃশ্য যেই দান
সেই তো তোমার
দান।
মৃত্যু আপন পাত্রে ভরি
বহিছে যেই প্রাণ
সেই তো তোমার
প্রাণ।
বিশ্বজনের পায়ের তলে
ধূলিময় যে ভূমি
সেই তো
স্বর্গভূমি।
সবায় নিয়ে সবার মাঝে
লুকিয়ে আছ তুমি
সেই তো আমার তুমি
॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: RBVBMS 131 [নমুনা প্রথমাংশ, শেষাংশ]
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
RBVBMS
131-তে
লিখিত এই গানের সাথে গানটির রচনাকাল ও স্থানের উল্লেখ আছে-
২৯
আশ্বিন/প্রভাত /এলাহাবাদ'।
উল্লেখ্য, ১৩২১ বঙ্গাব্দের
২৯ আশ্বিন
[শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর] এলাহাবাদে থাকাকালে রবীন্দ্রনাথ
এই গানটি রচনা করেছিলেন।
এই সময়
রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ৫৩ বৎসর
৬ মাস।
[৫৩ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ। গীতালি ৯৯। পৃষ্ঠা: ৫২৮] [নমুনা]
প্রথম সংস্করণ [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। গান ৯৯। পৃষ্ঠা ১০৬][নমুনা]
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ২৮৫-৮৬। ৯৯ সংখ্যক গান।
স্বরবিতান ত্রয়শ্চত্বারিংশ (৪৩) খণ্ডের তৃতীয় গান। পৃষ্ঠা ১১-১৩। [নমুনা]
পত্রিকা:
রেকর্ড সূত্র: পাওয়া যায় নি।
প্রকাশের
কালানুক্রম:
১৩২২ বঙ্গাব্দের ১১ই মাঘ [সোমবার ২৫
জানুয়ারি]
মাঘোৎসব
৮৬তম মাঘোৎসব গানটি পরিবেশিত হয়েছিল। এই সূত্রে গানটি
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩২২ বঙ্গাব্দ'
সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। এরপরে যে সকল পত্রিকা ও গ্রন্থাদিতে অন্তর্ভুক্ত
হয়ে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো-
গীতালি
প্রথম সংস্করণ
(১৩২১
বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড
(১৩২৩ বঙ্গাব্দ) ও
সবুজপত্র 'আশ্বিন-কার্তিক
১৩২৪ বঙ্গাব্দ' সংখ্যা।
এরপর গানটি ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে
প্রকাশিত
গীতবিতানের
দ্বিতীয় খণ্ড প্রথম সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮
বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে
পূজা
পর্যায়ের
বিশ্ব উপবিভাগের
২১
সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ৩৫৪
সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
গগ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপিকার: অনাদিকুমার দস্তিদার।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান-৪৩-এ গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিতে ছন্দোবিভাজন দেখানো হয়েছে, ৩।৩ ছন্দ; অর্থাৎ গানটি 'দাদরা' তালে নিবদ্ধ।
রাগ: বৃন্দাবনী সারং। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৩। পৃষ্ঠা: ২৩]
রাগ: বৃন্দাবনী সারং। তাল: ঝাঁপতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত। প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১। পৃষ্ঠা: ৪৬।]
গ্রহস্বর-পা।
লয়-দ্রুত।