সারা জীবন দিল আলো সূর্য গ্রহ চাঁদ
তোমার আশীর্বাদ, হে প্রভু, তোমার আশীর্বাদ ॥
মেঘের কলস ভ'রে ভ'রে প্রসাদ বারি পড়ে ঝ'রে,
সকল দেহে প্রভাতবায়ু ঘুচায় অবসাদ-
তোমার আশীর্বাদ, হে প্রভু, তোমার আশীর্বাদ ॥
তৃণ যে এই ধুলার 'পরে পাতে আঁচলখানি,
এই-যে আকাশ চিরনীরব অমৃতময় বাণী,
ফুল যে আসে দিনে দিনে বিনা রেখার পথটি চিনে,
এই-যে ভুবন দিকে দিকে পুরায় কত সাধ-
তোমার আশীর্বাদ, হে প্রভু, তেমার আশীর্বাদ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: RBVBMS 131 [নমুনা] ।
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান: রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি
RBVBMS
131-তে
লিখিত এই গানের শেষে সময় ও স্থান লেখা আছে- '২০ আশ্বিন/প্রভাত'।
তবে
গীতালি (প্রথম সংস্করণ ১৩২১)-তে তে
গানটির
সাথে স্থানকাল সম্পর্কে উল্লেখ আছে - '২০
আশ্বিন/প্রভাত/শান্তিনিকেতন'।
[নমুনা]।
উল্লেখ্য, ১৩২১ বঙ্গাব্দের ভাদ্র মাসে
রবীন্দ্রনাথের বড় ছেলে রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর
সুরুলের কুঠি বাড়িতে কৃষি-গবেষণার
জন্য বসবাস শুরু করেছিলেন। এই সময় রবীন্দ্রনাথ প্রতিদিনই গরুর গাড়িতে সকাল
বেলায় শান্তিনিকেতন থেকে সুরুল যেতেন এবং বিকেলে ফিরে আসতেন। রবীন্দ্রনাথের
এই যাতায়াত শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল
২২শে
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত।
রবীন্দ্রনাথের এই যাতায়াত
শুরু হয়েছিল ৮ই ভাদ্র থেকে এবং শেষ হয়েছিল
২২শে
আশ্বিন তারিখে রবীন্দ্রনাথ বুদ্ধগয়া যাওয়ার আগের দিন পর্যন্ত।
তাঁর এই আসা-যাওয়ার ভিতরে ২০শে
আশ্বিন পর্যন্ত ৫৭টি গান রচনা করেছিলেন।
এর ভিতরে এই গানটি তিনি
১৮
আশ্বিন [প্রভাত। সোমবার, ৫ অক্টোবর]।
তারিখে রচনা করেছিলেন।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৩ বৎসর ৫ মাস।
[৫৩ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
রবীন্দ্ররচনাবলী একাদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ২৭২-৭৩।
স্বরবিতান ত্রয়শ্চত্বারিংশ (৪৩) খণ্ডের ২৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ৬৭-৬৯। [নমুনা]
পত্রিকা:
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (ফাল্গুন ১৩২২ বঙ্গাব্দ)।
আনন্দ-সঙ্গীত পত্রিকা (বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ ১৩২৪ বঙ্গাব্দ)। স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল। স্বরলিপিকারের নাম উল্লেখ ছিল না।
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের
কালানুক্রম: ১৩২২ বঙ্গাব্দের ১১ই মাঘ [সোমবার ২৫
জানুয়ারি]
মাঘোৎসব
৮৬তম মাঘোৎসব গানটি পরিবেশিত হয়েছিল। এই সূত্রে গানটি
তত্ত্ববোধিনী পত্রিকার 'ফাল্গুন ১৩২২ বঙ্গাব্দ'
সংখ্যায় প্রকাশিত হয়েছিল। এরপরে যে সকল পত্রিকা ও গ্রন্থাদিতে অন্তর্ভুক্ত
হয়ে গানটি প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হলো-
গীতালি
প্রথম সংস্করণ
(১৩২১
বঙ্গাব্দ),
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড
(১৩২৩ বঙ্গাব্দ) ও
সবুজপত্র 'আশ্বিন-কার্তিক
১৩২৪ বঙ্গাব্দ' সংখ্যা,
গীতিচর্চ্চা (পৌষ ১৩৩২ বঙ্গাব্দ)।
এরপর গানটি ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে
প্রকাশিত
গীতবিতানের
দ্বিতীয় খণ্ড প্রথম সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৪৮
বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণে
পূজা
পর্যায়ের
বিশ্ব উপবিভাগের
২২
সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। এরপর ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের ৩৫৫
সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলি:
স্বরলিপি: [স্বরলিপি]
স্বরলিপিকার: স্বরলিপিকারের নাম অনুল্লিখিত।
সুর ও তাল:
স্বরবিতান ত্রয়শ্চত্বারিংশ (৪৩) খণ্ডে (বিশ্বভারতী, ) গৃহীত গানটির স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি ৩।৩।৩।৩ মাত্রা ছন্দে 'একতাল' তালে নিবদ্ধ।
রাগ : পাশ্চাত্য প্রভাব। তাল : একতাল। [রবীন্দ্রসংগীত: রাগ-সুর নির্দেশিকা, সুধীর চন্দ, প্যাপিরাস, ডিসেম্বর ২০০৬], পৃষ্ঠা: ৮১।
রাগ: ইমন। তাল: একতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সংগীত আকাদেমি, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১৪১।
বিষয়াঙ্গ:
সুরাঙ্গ:
গ্রহস্বর: গা।
লয়: দ্রুত।