বিষয়: রবীন্দ্রসঙ্গীত।
শিরোনাম: মন্দিরে মম কে আসিলে হে !
মন্দিরে মম কে আসিলে হে !
সকল গগন অমৃতমগন,
দিশি দিশি গেল মিশি অমানিশি দূরে দূরে ॥
সকল দুয়ার আপনি খুলিল,
সকল প্রদীপ আপনি জ্বলিল,
সব বীণা বাজিল নব নব সুরে সুরে ॥
RBVBMS 426
[নমুনা]
-
তথ্যানুসন্ধান
-
ক. রচনাকাল ও স্থান: গানটির সুনির্দিষ্ট রচনাকাল পাওয়া
যায় না। ১৩০৯ বঙ্গাব্দের ১১ মাঘ [২৫ জানুয়ারি ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ] ত্রিসপ্ততিতম (৭৩)
সাংবৎসরিক মাঘোৎসবের সন্ধ্যার অধিবেশনে
অনুষ্ঠিত হয়। এই উৎসবের ২৩টি গানের ভিতরে রবীন্দ্রসঙ্গীতের ভিতরে এই গানটিসহ ১২টি
গান ছিল নতুন। এই সময়ে রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪১ বৎসর।
প্রশান্তকুমার পাল তাঁর রবিজীবনী পঞ্চম খণ্ড (আনন্দ পাবলিশার্স, ১৪১৪ মুদ্রণ,
পৃষ্ঠা: ১০৬)-এ এই সময়ের লিখিত গানগুলোর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে লিখেছেন-
গান-নির্বাচনে রবীন্দ্রনাথের সমকালীন মানসিকতাই প্রতিফলিত, মৃণালিনী দেবীর
অকালমৃত্যু-জনিত সন্তাপ অধিকাংশ গানেই ধ্বনিত হয়েছে।
-
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
-
গ্রন্থ:
-
কাব্যগ্রন্থ
-
অষ্টম খণ্ড
[মজুমদার লাইব্রেরি, ১৩১০ বঙ্গাব্দ। ব্রহ্মসঙ্গীত। রাগিণী আড়ানা- তাল
একতালা। পৃষ্ঠা: ৩১১]
[নমুনা]
-
দশম খণ্ড
[ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ, ১৯১৬ খ্রিষ্টাব্দ, ধর্ম্মসঙ্গীত।
পৃষ্ঠা: ৩০৮।] [
নমুনা]
-
গান
-
গীতবিতান
-
ধর্ম্মসঙ্গীত [ইন্ডিয়ান প্রেস্ লিমিটেড, ১৩২১ বঙ্গাব্দ। গান।
পৃষ্ঠা: ১৯২।
[নমুনা]
-
ব্রহ্মসঙ্গীত স্বরলিপি
প্রথম ভাগ (১ মাঘ ১৩১১ বঙ্গাব্দ)।
আড়ানা-একতালা। কাঙ্গালীচরণ সেন-কৃত স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিল।
-
স্বরবিতান চতুর্থ (৪) খণ্ডের (মাঘ ১৪১২) ৮ম গান। পৃষ্ঠা: ২৮-২৯।
[নমুনা]
- পত্রিকা:
-
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন ১৩০৯ বঙ্গাব্দ)। আড়ানা-একতাল । পৃষ্ঠা ১৭৪।
[নমুনা]
-
সঙ্গীত প্রকাশিকা (চৈত্র ১৩০৯)
-
পরিবেশনা: ১১ মাঘ ১৩০৯ বঙ্গাব্দ [২৫ জানুয়ারি ১৯০৩ খ্রিষ্টাব্দ]
৭৩তম
মাঘোৎসবের সন্ধ্যার অধিবেশনে এই গানটি পরিবেশিত হয়েছিল।
- গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী:
এটি একটি ভাঙা গান।
মূল গান:
আড়ানা। একতাল (চতুর্মাত্রিক)
সুন্দরো লাগো হায় পিয়বা
চঞ্চল চপল চখন লখন
দুর দুরে মুর মুর
ফিরি মূসকানি বাণী ॥
লটকী-চলনী মুকুট ঝুকন
ভ্রুকুটী কুটিল অলক ঝলক
হলকানি
কুতল কপেলনি
আনি আনি ॥
RBVBMS 426
[নমুনা]
পাণ্ডুলিপিতে রবীন্দ্রনাথ মূলগানটির ফাঁকে ফাঁকে
ভাঙা গানের শব্দগুলো
লিখেছেন। [নমুনা]
স্বরলিপি: [নমুনা]
- স্বরলিপিকার:
কাঙ্গালীচরণ সেন।
[কাঙ্গালীচরণ
সেন-কৃত স্বরলিপির তালিকা]
সুর ও তাল:
রাগ-আড়ানা। তাল-একতাল। [
স্বরবিতান চতুর্থ (৪) খণ্ডের (মাঘ ১৪১২)]
উল্লেখ্য, স্বরবিতান চতুর্থ খণ্ডের ৩৪ পৃষ্ঠার পাদটীকায় 'নবতাল' সম্পর্কে লেখা
হয়েছে—
ইহাও রবীন্দ্রসংগীতে ব্যবহৃত একটি
নূতন তাল। এই তালে নয়টি মাত্রা আছে, এ জন্য ইহার নাম 'নবতাল'। ইহার ঠেকা
মৃদঙ্গবাদকগণের ইচ্ছাধীন। দৃষ্টান্তস্বরূপ একটি ঠেকা, যথা
—
রাগ: আড়ানা। তাল: একতাল। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, ডিসেম্বর, ২০০৬)] । পৃষ্ঠা: ৭২।
রাগ: আড়ানা। তাল: একতাল। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১], পৃষ্ঠা: ১২৫।
বিষয়াঙ্গ: ব্রহ্মসঙ্গীত।
সুরাঙ্গ: খেয়ালাঙ্গ।
গ্রহস্বর: ণা।
লয়: মধ্য।