বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আমার প্রাণের মাঝে সুধা আছে,
চাও কি
পাঠ ও পাঠভেদ:
আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে,
তাই হেরি তায় সকল খানে ॥
আছে সে নয়নতারায় আলোক-ধারায়, তাই না হারায়-
ওগো তাই দেখি তায় যেথায় সেথায়
তাকাই আমি যে দিক-পানে ॥
আমি তার মুখের কথা শুনব ব’লে গেলাম কোথা,
শোনা হল না, হল না-
আজ ফিরে এসে নিজের দেশে এই-যে শুনি
শুনি তাহার বাণী আপন গানে ॥
কে তোরা খুঁজিস তারে কাঙাল বেশে দ্বারে দ্বারে,
দেখা মেলে না, মেলে না-
তোরা আয় রে ধেয়ে, দেখ্ রে চেয়ে আমার বুকে-
ওরে দেখ্ রে আমার দুই নয়ানে ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ:
RBVBMS 143 [নমুনা], কেটে দেওয়া হয়েছে [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
এই গানটি রচনার সুনির্দিষ্ট তারিখ পাওয়া যায় না। রবীন্দ্রনাথ এই গানটি-সহ
মোট ২৪টি গান রচনা করেছিলেন
রাজা' নামক নাটক রচনার সময়।
উল্লেখ্য, রবীন্দ্রনাথ ১৩১৭ বঙ্গাব্দের কার্তিক
মাসে শান্তিনিকেতনের অধ্যাপকদের অনুরোধে
লেখা শুরু করেছিলেন। ১২ই কার্তিক বালিকা-বিদ্যালয়ের ছাত্রী ইন্দুলেখাকে
লেখা পত্র থেকে এই সংবাদটি জানা যায়। এরপর ২৫শে কার্তিক চারুচন্দ্রকে তিনি
পত্র মারফত জানান যে- 'আমার নাটকটা আজ শেষ করেছি।
'রাজা' নাটকটির
প্রথম পাণ্ডুলিপিটি হলো-
RBVBMS 143।
।
এই পাণ্ডুলিপিতে তিনি গানটি যুক্ত করার পর কেটে দিয়েছিলেন । পরে এই
পাণ্ডুলিপিতেই তিনি সংশোধিত পাঠটি যুক্ত করেছিলেন বাউলের গান হিসেব।
নাটকটির পরিমার্জনের কাজটি সম্পন্ন করেছিলেন ১৩১৭ বঙ্গাব্দের ১২ কার্তিক
থেকে ২৫ কার্তিকের মধ্যে। এই সময় রবীন্দ্রনাথের ৪৯ বৎসর ৬ মাস।
[
রবীন্দ্রনাথের ৪৯ বৎসর বয়সে রচিত গানের তালিকা]
গ্রন্থ:
রবীন্দ্ররচনাবলী ত্রয়োদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ১৭৯-৮০।
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ। রাজা। বাউল দলের গান। পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫] [নমুনা]
ধর্ম্মসঙ্গীত [ইন্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস ১৩২১ বঙ্গাব্দ। পৃষ্ঠা ৩-৪] [নমুনা: প্রথমাংশ, শেষাংশ]
রবীন্দ্ররচনাবলী দশম খণ্ড (বিশ্বভারতী)। পৃষ্ঠা ২০৯।।
স্বরবিতান দ্বিচত্বারিংশ (৪২, অরূপরতন) খণ্ডের দশম গান। পৃষ্ঠা ৩৩-৩৫। [নমুনা]
পত্রিকা: প্রকাশিত হয় নি
রেকর্ডসূত্র: ১৯৩৬ থেকে ১৯৪১ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে 'সেনোলা রেকর্ড' থেকে গানটির একটি রেকর্ড প্রকাশিত হয়েছিল। শিল্পী ছিলেন- রেবা মজুমদার ও শান্তিদেব ঘোষ। রেকর্ড নম্বর Qs 98।
প্রকাশের কালানুক্রম:
গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল-
১৩১৭ বঙ্গাব্দে 'রাজা' নাটকে অন্তর্ভুক্ত হয়ে। এরপর যে সকল গ্রন্থাদিতে
গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল, সেগুলো হল-
ধর্ম্মসঙ্গীত
(১৩২১ বঙ্গাব্দ) ও
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড
(১৩২৩ বঙ্গাব্দ)।
এসকল গ্রন্থাদির পরে ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে
গীতবিতানের
দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম সংস্করণে,
রাজা (১৩১৭ বঙ্গাব্দ) থেকে গৃহীত হয়ে
অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
এরপর ১৩৪৮
বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে প্রকাশিত
গীতবিতান
-এর
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ।
এই সংসকরণে
গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল পূজা পর্যায়ের
উপবিভাগ
বাউলের
৪
সংখ্যক গান হিসেবে। ১৩৭১ বঙ্গাব্দের আশ্বিন
মাসে প্রকাশিত অখণ্ড গীতবিতানের
পূজা
পর্যায়ের
৫৪৯
সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল। গানটি একইভাবে অখণ্ড
গীতাবিতানের তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছিল পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে।
এছাড়া
১৩৪২ বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসে
অরূপরতন-এর
পুনর্লিখিত সংস্করণে (দ্বিতীয় সংস্করণ)
গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়েছিল।
ও মন অসাড় মায়ায় ভুলে রবে
কতকাল এমনি ভাবে।
এসব ভোজবাজি প্রায়,
মন রে—
ভোজবাজি প্রায়
কেউ কারো নয়, দেখতে দেখতে
কোথায় যাবে॥
সুখের আশে দেশ-বিদেশে
ভ্রমিতেছে সুখের নিশি-দিবে
তবু হলো না সুখ
মন রে—
হলো না সুখ
সদাই অসুখ, সুখের সে পথ চিনবি কবে॥
যাদের এখন দিয়ে প্রাণধন
করছে যতন আপন ভেবে
যেদিন পাবে অক্কা,
মন রে—পাবে
অক্কা, সবই ফক্কা
সঙ্গে তাদের কেউ না যাবে॥
আপন যেজন লও তার শরণ
ভববন্ধন এড়াইবে
এবে বলছে গগন,
এবার বুঝি আমার সাধের মানবজনম এমনি
যাবে॥
এই গানটি
সরলাদেবী'র প্রণীত
শতগান
(১৩০৭ বঙ্গাব্দ) গ্রন্থে
স্বরলিপি-সহ মুদ্রিত হয়েছিলোো।
এই গ্রন্থে গানটির রচয়িতার নাম নেই।
ও মন আসার মায়ায় ভুলে
রবে [গগন হরকরা] [তথ্য]
অঙ্গ: বাউল। তাল: দাদরা। [রবীন্দ্রসংগীত : রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, জানুয়ারি ১৯১৩)। পৃষ্ঠা : ৩০]।
অঙ্গ: বাউল। তাল: দাদরা। [রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১, পৃষ্ঠা: ৫৭।]