বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আমার অভিমানের বদলে আজ নেব তোমার মালা
পাঠ ও পাঠভেদ:
আমার অভিমানের বদলে আজ নেব তোমার মালা
আজ নিশিশেষে শেষ করে দিই চোখের জলের পালা ॥
আমার কঠিন হৃদয়টারে ফেলে দিলেম পথের ধারে,
তোমার চরণ দেবে তারে মধুর পরশ পাষাণ-গালা ॥
ছিল আমার আঁধারখানি, তারে তুমিই নিলে টানি,
তোমার প্রেম এল যে আগুন হয়ে— করল তারে আলা।
সেই-যে আমার কাছে আমি ছিল সবার চেয়ে দামি,
তারে উজার করে সাজিয়ে দিলেম তোমার বরণডালা॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: পাণ্ডুলিপি দেখা সম্ভব হয় নি।
পাঠভেদ।
স্বরবিতান
দ্বিচত্বারিংশ (৪২,অরূপরতন)
খণ্ডের
(চৈত্র ১৪১৩)
পাঠভেদ-পত্র অনুসারে নিচে গানটির পাঠভেদ দেখানো হলো।
পরশ পাষাণ-গালা : অরূপরতন (কার্তিক ১৩৪২)
পরশ পাষাণ-গলা : গীতবিতান (আশ্বিন ১৩৩৮)
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
এই গানটি রচনাকাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু
জানা যায়। ১৩২৬
বঙ্গাব্দে রবীন্দ্রনাথ রাজা নাটককে অভিনয়যোগ্য করার উদ্যোগ
নেন এবং এই সূত্রে তিনি রচনা করেন অরূপরতন । এই গ্রন্থটি প্রকাশিত হয়েছিল
১৩২৬ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে। এই গ্রন্থে
রবীন্দ্রনাথ এই গানটি-সহ মোট ৮টি নতুন গান যুক্ত করেছিলেন। সঙ্গত কারণেই ধারণা করা হয়,
এই গানগুলো তিনি রচনা করেছিলেন ১৩২৬ বঙ্গাব্দের মাঘের মাসের আগে।
এই সময়
রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৫৮ বৎসর।
[৫৮ বৎসর
অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩২৬ বঙ্গাব্দ। গানের দলের গান পৃষ্ঠা: ৬৬-৬৭। [নমুনা: ৬৬, ৬৭]
বিশ্বভারতী, কার্তিক ১৩৪২ বঙ্গাব্দ। গানের দলের গান। পৃষ্ঠা: [নমুনা: ৬১, ৬২]
রবীন্দ্রচনাবলী ত্রয়োদশ খণ্ড (বিশ্বভারতী, ভাদ্র ১৩৯৩)। ৪র্থ দৃশ্য, গানের দলের গান। পৃষ্ঠা: ২০৬-০৭।
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)। ১৩২৬ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'গীতি-বীথিকা' থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ৫৯৬, ৫৯৭। [নমুনা: ৫৯৬, ৫৯৭]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। গান সংখ্যা ২৮। পৃষ্ঠা: ২৭। [নমুনা]
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ৬০। উপবিভাগ: বন্ধু ২৮। পৃষ্ঠা: ৩০-৩১। [নমুনা: ৩০, ৩১]
স্বরবিতান
দ্বিচত্বারিংশ (৪২,অরূপরতন)
খণ্ডের
(চৈত্র ১৪১৩)
৪১ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা:
১১৮-১৯।
রেকর্ডসূত্র: সিদ্ধার্থ ঘোষের রচিত রেকর্ডে রবীন্দ্রসংগীত (ইন্দিরা সংগীত-শিক্ষায়তন। নভেম্বর ১৯৮৯) গ্রন্থ থেকে আলোচ্য গানের চারটি রেকর্ডসূত্রের তথ্য পাওয়া যায়।
১৯২৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৯৩৫ খ্রিষ্টাব্দের ভিতরে এইচএমভি সাহানা দেবীর (বসু) কণ্ঠে এই গানটির রেকর্ড প্রকাশ করেছিল। রেকর্ড নম্বর: P 8569। [পৃষ্ঠা: ৫৩]
এরপর একই কোম্পানি কনক দাশ (বিশ্বাস)-এর কণ্ঠে গানটির
রেকর্ড প্রকাশ করে।
রেকর্ড নম্বর:
P 11852।
[পৃষ্ঠা: ৫৯]
প্রকাশের
কালানুক্রম:
১৩২৬ বঙ্গাব্দে 'অরূপরতন' নামক গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত হয়ে
প্রকাশিত হয়েছিল। গানটি এই গ্রন্থ থেকে,
১৩৩৮ বঙ্গাব্দের আশ্বিন মাসে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম
সংস্করণে অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৩৪২ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত 'অরূপরতন'
নাটকে গানটি গৃহীত
হয়েছিল। ১৩৪৮
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে এই গানটি
গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে
পূজা পর্যায়ের ৬০ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
রাগ: পিলু, বাঁরোয়া।
তাল: দাদরা।
[রাগরাগিণীর
এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই ২০০১
, পৃষ্ঠা: ৫৫।]
[পিলু রাগে
নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]