বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
আমার মাঝে
তোমারি মায়া জাগালে তুমি কবি
পাঠ ও পাঠভেদ:
আমার মাঝে তোমারি মায়া জাগালে তুমি কবি।
আপন-মনে আমারি পটে আঁকো মানস ছবি ॥
তাপস তুমি ধেয়ানে তব কী দেখ মোরে কেমনে কব,
আপন-মনে মেঘস্বপন আপনি রচ রবি।
তোমার জটে আমি তোমারি ভাবের জাহ্নবী ॥
তোমারি সোনা বোঝাই হল, আমি তো তার ভেলা—
নিজেরে তুমি ভোলাবে ব'লে আমারে নিয়ে খেলা।
কণ্ঠে মম কী কথা শোন অর্থ আমি বুঝি না কোনো,
বীণাতে মোর কাঁদিয়া ওঠে তোমারি ভৈরবী।
মুকুল মম সুবাস তব গোপনে সৌরভী ॥
পাঠভেদ: পাণ্ডুলিপিতে গানটির কাটাকুটি রয়েছে।
তথ্যানুসন্ধান
ক. রচনাকাল ও স্থান:
গানটির রচনাকাল ও স্থান সম্পর্কে সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়
না। পাণ্ডুলিপিতেও এই বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাওয়া যায় না।
প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায় তাঁর 'গীতবিতান কালানুক্রম সূচী (১৩৯৯ বঙ্গাব্দ,
পৃষ্ঠা : ২৪৭) গ্রন্থে গানটির রচনাকাল উল্লেখ করেছেন 'পৌষ ১৩৩৬'। উল্লেখ্য, এই গানটি
গীতমালিকা দ্বিতীয় ভাগ-এ অন্তর্ভুক্ত হয়ে
প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৩৩৬
বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে। ধারণা করা হয়, এই গ্রন্থটি
প্রকাশের কিছু আগেই গানটি রচিত হয়েছিল। এই বিচারে ধারণা করা যায়, গানটি
রচনার সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল
৬৮ বৎসর ৮ মাস।
[৬৮
বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ
তৃতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ [বিশ্বভারতী, ১৩৩৯ বঙ্গাব্দ)। পৃষ্ঠা: ৭৬৭-৭৬৮] [নমুনা: ৭৬৭, ৭৬৮]।
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ [বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। গান সংখ্যা ৩৯। পৃষ্ঠা: ৩১] [নমুনা]।
গীতমালিকা দ্বিতীয় ভাগ (পৌষ ১৩৩৬ বঙ্গাব্দ)।
স্বরবিতান
একত্রিংশ (৩১, গীতমালিকা দ্বিতীয় ভাগ)
খণ্ডের (পৌষ ১৪১২) ৪৮ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা ১৬০-৬৩।
প্রকাশ-কালানুক্রম: এই গানটি
গীতমালিকা দ্বিতীয় ভাগ-এ অন্তর্ভুক্ত হয়ে
প্রথম প্রকাশিত
হয়েছিল ১৩৩৬ বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে। কিন্তু গানটি ১৩৩৮ বঙ্গাব্দে
প্রকাশিত গীতবিতান প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ডে স্থান পায় নি। ১৩৩৯
খ্রিষ্টাব্দে গীতবিতানের তৃতীয় খণ্ডে গানটি প্রথম প্রকাশিত হয়।
১৩৪৮ বঙ্গাব্দের মাঘ মাসে গীতবিতানের প্রথম খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়। এই সময় এই গানটি পূজা পর্যায়ের 'বন্ধু' উপবিভাগে
গৃহীত হয়। এরপর গানটি গীতবিতানের অখণ্ড সংস্করণে গৃহীত হয়েছিল
পূজা পর্যায়ে। এরপর ১৩৮০ বঙ্গাব্দে অখণ্ড গীতবিতানের সর্বশেষ
সংস্করণে পূজা পর্যায়ের ৭১ সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
স্বরলিপিকার:
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর।
[দিনেন্দ্রনাথ
ঠাকুর-কৃত রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপির তালিকা]
সুর ও তাল:
স্বরবিতান একত্রিংশ (৩১, গীতমালিকা দ্বিতীয় ভাগ)
খণ্ডের (পৌষ ১৪১২)-এ গৃহীত স্বরলিপিতে রাগ-তালের উল্লেখ নেই। উক্ত স্বরলিপিটি
৩।৩ ছন্দে 'দাদরা'
তালে নিবদ্ধ।
[দাদরা
তালে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
রাগ: ভৈরবী। তাল: দাদরা [রবীন্দ্রসংগীত :রাগ-সুর নির্দেশিকা। সুধীর চন্দ। (প্যাপিরাস, জানুয়ারি ১৯৯৩)। পৃষ্ঠা: ৩০]।
রাগ: ভৈরবী। তাল: দাদরা
[রাগরাগিণীর এলাকায় রবীন্দ্রসংগীত, প্রফুল্লকুমার চক্রবর্তী, জুলাই
২০০১,
পৃষ্ঠা: ৫৮।]
[ভৈরবী
রাগে নিবদ্ধ রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]
গ্রহস্বর: দ্ণা।
লয়: মধ্য।