বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
লুকিয়ে আস
আঁধার রাতে, তুমি আমার বন্ধু!
পাঠ ও পাঠভেদ:
লুকিয়ে আস আঁধার রাতে, তুমি আমার বন্ধু!
লও যে টেনে কঠিন হাতে, তুমি আমার আনন্দ॥
দুঃখরথের তুমিই রথী, তুমিই আমার বন্ধু।
তুমি সঙ্কট তুমিই ক্ষতি, তুমি আমার আনন্দ ॥
শত্রু আমারে করো গো জয়, তুমিই আমার বন্ধু।
রুদ্র তুমি হে ভয়ের ভয়, তুমি আমার আনন্দ॥
বজ্র এসো হে বক্ষ চিরে, তুমিই আমার বন্ধু।
মৃত্যু লও হে বাঁধন ছিড়ে, তুমি আমার আনন্দ॥
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 229] [নমুনা]
পাঠভেদ:
তথ্যানুসন্ধান:
ক. রচনাকাল ও স্থান: :
রবীন্দ্রনাথের
পাণ্ডুলিপি
RBVBMS 229-তে
লিখিত এই গানের নিচে '১৪ অগ্রহায়ণ/১৩২০/শান্তিনিকেতন' উল্লেখ আছে।
উল্লেখ্য,
১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দের
১৪ নভেম্বর সুইডিশ একাডেমি
রবীন্দ্রনাথের নোবেল পুরস্কারের বিষয়টি তার বার্তায় জানায়। এই তার বার্তাটি পান
রবীন্দ্রনাথের জামাতা নগেন্দ্রনাথ। ১৬ই নভেম্বর নগেন্দ্রনাথ রবীন্দ্রনাথকে বিষয়টি
জানান। নোবেল পুরস্কারের পর নানান জনের অভিনন্দন, মন্তব্য প্রভৃতির কারণে তিনি একটি
অস্বস্তিকর সময় অতিবাহিত করতে থাকেন। ফলে তার সঙ্গীত সৃষ্টির ধারা কিছুটা
বাধাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এই প্রতিকূলতার মধ্য থেকেই তিনি ১৪-১৫ অগ্রহায়ণ
তারিখের ভিতর এই গানটি-সহ মোট তিনটি গান রচনা করেন। এই সময় তাঁর বয়স ছিল
৫২ বৎসর
৭ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৫২ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
অরূপরতন
প্রথম
সংস্করণ (বিশ্বভারতী। মাঘ
১৩২৬ বঙ্গাব্দ)।
গানের দলের
গান। পৃষ্ঠা ৭০। [নমুনা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। গান সংখ্যা ৫৭। পৃষ্ঠা: ৩৮। [নমুনা]
অখণ্ড সংস্করণ, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ৯০। উপবিভাগ: বন্ধু ৫৮। পৃষ্ঠা: ৪১-৪২।
স্বরবিতান দ্বিচত্বারিংশ
(৪২,
অরূপরতন)
খণ্ডের (চৈত্র ১৪১৩) ৪৩ সংখ্যক গান। পৃষ্ঠা : ১২৩-২৪।
পত্রিকা
পরিবেশনা: ১১ মাঘ ১৩২০ বঙ্গাব্দ [শনিবার ২৪ জানুয়ারি ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দ]-এ ৮৪তম সাংবৎসরিক মাঘোৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এই মাঘোৎসবের সায়ংকালে গানটি প্রথম গীত হয়েছিল। ২৭ মাঘ ১৩২০ বঙ্গাব্দ (৯ ফেব্রুয়ারি ১৯১৪ খ্রিষ্টাব্দ) তারিখে রবীন্দ্রনাথ গানটির ইংরেজি অনুবাদ করেন। পরে এ্যাণ্ড্রুজ সাহেবের মাতৃবিয়োগের সংবাদ শুনে, শোকাহত সাহেবকে এই ইংরেজি অনুবাদটি পাঠিয়েছিলেন।
রেকর্ডসূত্র:
প্রকাশের
কালানুক্রম:
১৩২০ বঙ্গাব্দ [শনিবার ২৪ জানুয়ারি ১৯১৩ খ্রিষ্টাব্দ]-এ
৮৪তম সাংবৎসরিক মাঘোৎসব-এ
গানটি প্রথম পরিবেশিত হয়েছিল। এরপর 'তত্ত্ববোধিনী' পত্রিকার 'ফাল্গুন
১৩২০' প্রকাশিত হয়েছিল। এই বছরের চৈত্র মাসে
পুনারায় 'তত্ত্ববোধিনী'
পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই মাসে প্রবাসী পত্রিকায় গানটি প্রকাশিত
হয়েছিল। গানটি প্রথম গ্রন্থে স্থান পায় ১৩২১ বঙ্গাব্দে
প্রকাশিত 'গীতিমাল্য' নামক গ্রন্থে। এরপর ১৩২১ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
'কাব্যগ্রন্থ' নবম খণ্ডে অন্তর্ভুক্ত 'গীতিমাল্য' অংশে গৃহীত হয়। ১৩২৬
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত 'অরূপরতন' গানটি ব্যবহৃত হলেও পরবর্তী
সংস্করণগুলোতে বর্জিত হয়।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের দ্বিতীয় খণ্ডের
প্রথম সংস্করণে
গানটি স্থান লাভ
করে। ১৩৪৮
খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে এই
গানটি গৃহীত হয় পূজা পর্যায়ে। ১৩৮০ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত
অখণ্ড গীতবিতানের
তৃতীয়
সংস্করণে পূজা পর্যায়ের ৯০
সংখ্যক গান হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
গ. সঙ্গীতবিষয়ক তথ্যাবলী:
স্বরলিপি: [নমুনা]
স্বরলিপিকার:
দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুর-কৃত স্বরলিপিটি
তত্ত্ববোধিনী (ফাল্গুন
১৮৩৫ শকাব্দ,
১৩২০ বঙ্গাব্দ)
পত্রিকার
চৈত্র
১৩৩৫
সংখ্যায়
মুদ্রিত হয়েছিল।
স্বরবিতান দ্বিচত্বারিংশ
(৪২,
অরূপরতন)
খণ্ডে (আশ্বিন ১৩৬২) অন্তর্ভুক্ত হয়ে প্রকাশিত হয়। বর্তমান
স্বরবিতান দ্বিচত্বারিংশ
(৪২,
অরূপরতন)
খণ্ডে (চৈত্র ১৪১৩) মুদ্রিত স্বরলিপিটি অপরিবর্তিত রয়েছে।
[দিনেন্দ্রনাথ
ঠাকুর-এর করা রবীন্দ্রসঙ্গীতের তালিকা]