বিষয়:
রবীন্দ্রসঙ্গীত।
গান সংখ্যা:
শিরোনাম:
এ অন্ধকার ডুবাও তোমার অতল
অন্ধকারে
পাঠ ও পাঠভেদ:
এ অন্ধকার ডুবাও তোমার অতল অন্ধকারে
ওহে অন্ধকারের স্বামী।
এসো নিবিড়, এসো গভীর, এসো জীবন-পারে
আমার চিত্তে এসো নামি।
এ দেহ মন মিলিয়ে যাক, হইয়া যাক হারা
ওহে অন্ধকারের স্বামী।
বাসনা মোর, বিকৃতি মোর, আমার ইচ্ছাধারা
ওই চরণে যাক থামি।
নির্বাসনে বাঁধা আছি দুর্বাসনার ডোরে
ওহে অন্ধকারের স্বামী ।
সব বাঁধনে তোমার সাথে বন্দী করো মোরে—
ওহে, আমি বাঁধন-কামী।
আমার প্রিয়, আমার শ্রেয়, আমার হে পরম,
ওহে অন্ধকারের স্বামী,
সকল ঝ’রে সকল ভ’রে আসুক সে চরম—
ওগো, মরুক-না এই আমি
পাণ্ডুলিপির পাঠ: [RBVBMS 478] [নমুনা]
তথ্যানুসন্ধান:
ক. রচনাকাল ও স্থান:
১৩১৭
বঙ্গাব্দের কার্তিক মাসে রবীন্দ্রনাথ তাঁর 'রাজা' নাটক শেষ করেন। এই গানটি এই নাটক
উপলক্ষে রচনা করেন। RBVBMS
478
পাণ্ডুলিপিতে
গানটির তারিখ উল্লেখ আছে '১১ই আশ্বিন'।
এই বিচারে গানটির রচনাকাল দাঁড়ায় '১১ই আশ্বিন ১৩১৭বঙ্গাব্দ।
এই সময় রবীন্দ্রনাথের বয়স ছিল ৪৯ বৎসর
৫ মাস।
[রবীন্দ্রনাথের
৪৯ বৎসর অতিক্রান্ত বয়সে রচিত গানের তালিকা]
খ. প্রকাশ ও গ্রন্থভুক্তি:
গ্রন্থ:
কাব্যগ্রন্থ নবম খণ্ড [ইন্ডিয়ান প্রেস, ১৩২৩ বঙ্গাব্দ। রাজা। সুদর্শনার গান।। পৃষ্ঠা ১১৪-১১৫] [নমুনা]
দ্বিতীয় খণ্ড, প্রথম সংস্করণ (বিশ্বভারতী, আশ্বিন ১৩৩৮ বঙ্গাব্দ)। রাজা (১৩১৭) থেকে গৃহীত হয়েছিল। পৃষ্ঠা: ৩৭৮। [নমুনা]
প্রথম খণ্ড, দ্বিতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, মাঘ ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ)। প্রার্থনা ২। পৃষ্ঠা: ৩৯-৪০। [নমুনা প্রথমাংশ, শেষাংশ]
অখণ্ড সংস্করণ, তৃতীয় সংস্করণ (বিশ্বভারতী, পৌষ ১৩৮০ বঙ্গাব্দ)। পর্যায়: পূজা ৯৩। উপবিভাগ: প্রার্থনা-২। পৃষ্ঠা: ৪৩। [নমুনা]
রবীন্দ্ররচনাবলী দশম খণ্ড (বিশ্বভারতী, বৈশাখ ১৩৯৩)। পৃষ্ঠা ২৫১-৫২।
প্রকাশের
কালানুক্রম: ১৩১৭
বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে প্রকাশিত 'রাজা' নাটকে সুদর্শনার গান হিসেবে গৃহীত
হয়েছিল।
১৩৩৮ বঙ্গাব্দ প্রাকশিত
গীতবিতান -এর দ্বিতীয় খণ্ডের প্রথম সংস্করণে গানটি অন্তর্ভুক্ত হয়।
১৩৪৮ বঙ্গাব্দে প্রকাশিত গীতবিতানের প্রথম খণ্ডের দ্বিতীয় সংস্করণে পূজা
পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
১৩৮০
বঙ্গাব্দের পৌষ মাসে অখণ্ড
গীতবিতানের তৃতীয় এবং সর্বশেষ সংস্করণে গানটি
পূজা পর্যায়ের ৯৩
সংখ্যক গান অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
গ. সঙ্গীত বিষয়ক তথ্যাবলী: গানটির কোন সুর পাওয়া যায় নি।