বাংলাদেশের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন
১৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দ

১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে অধিকাংশ দল নির্বাচন বর্জন করেছিল। নির্বাচনে খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন বিএনপি ২৭৮টি আসন লাভ করেছিল। এছাড়া ফ্রিডম পার্টি ১টি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ১০টি আসল লাভ করেছিল। এর বাইরে ১০টি আসনের ফলাফল অসমাপ্ত থাকে এবং আদালতের রায়ে একটি আসনের নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, ১৯৮৮ খ্রিষ্টাব্দের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল আওয়ামী লীগ কারচুপী হয়েছিল বলে দাবি করেছিল। এই সময় বিরোধী দলগুলো নিরপেক্ষ তত্ত্ববধায়ক সরকারে অধীনে নির্বাচনের দাবি তোলে। ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে সর্বপ্রথম জামায়েত-ই-ইসলামী এবং তারপর আওয়ামী লীগ সংসদ সচিবালয়ে পরবর্তী নির্বাচনগুলোকে নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার বিল পেশ করে। অবশ্য তৎকালীন খালেদা জিয়া নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকার এই দাবি মেনে নেয় নি। এই সময় কমনওয়েলথ ও অন্যান্য সংস্থা সরকার ও বিরোধীদলগুলোর সাথে সমঝোতার চেষ্ঠা করে ব্যর্থ হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সহিংস ঘটনার মধ্যে এবং বিরোধীদলগুলোর প্রবল প্রতিবাদ ও নির্বাচন বর্জনের পরও ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৫ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এই নির্বাচনে মোট ভোটদাদাতার সংখ্যা ছিল ৫,৬১,৪৯,১৮২ জন। এর ভিতরে পুরুষ ভোটার ছিল ২,৩৭,৬৫,৭৫২ এবং নারী ভোটার ছিল ২,৩২,৩৮,২০৪ জন। তবে ভোট সংগ্রহের হার ছিল মাত্র ২৬.৫৪%।

 ফলাফল
 
দল

ভোটদান

শতকরা হার প্রাপ্ত আসন

বিএনপি

১১,৭৭৬,৪৮১

২৬.৫৪%

ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন বিচারপতি এ কে এম সাদেক। নির্বাচিত সরকারের প্রথম সংসদ অধিবেশন শুরু হয়েছিল ১৯শে মার্চ ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে এবং অধিবেশন স্থায়ী ছিল চার কার্যদিবস '২৫শে মার্চ ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দ' পর্যন্ত। সংসদের প্রধান বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন, কর্নেল (অব:) ফারুক ও চীফ হুইপ ছিলেন খন্দকার দেলোয়ার হোসেন।

১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ৩০শে মার্চ, সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। সংসদ স্থায়ী ছিল মাত্র ১২ দিন। পরবর্তী সপ্তম জাতীয় সংসদে নির্বাচন  অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দের ১২ই জুন।

 

ষষ্ঠ জাতীয় সংসদের মাননীয় সংসদ সদস্যদের নাম ও তালিকা