বাংলাদেশ মুসলিম লীগ
সূত্র: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন
http://www.ecs.gov.bd/Bangla

নিবন্ধন নম্বর

০২১

নিবন্ধন তারিখ

১৩/১১/২০০৮

প্রতীক

হারিকেন

প্রতীক নমুনা

প্রেসিডেন্ট

বেগম জুবেদা কাদের চৌধুরী

মহাসচিব

আলহাজ্ব কাজী আবুল খায়ের

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা

১১৬/২, বক্স কালভার্ট রোড(৫ম তলা) নয়া পল্টন ঢাকা-১০০০।

ফোন

সভাপতিঃ ০১৭১১৩৫২৭৫৩ মহাসচিবঃ ০১৭১১০১৫৩২০

বাংলাদেশ মুসলিম লীগ
বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল।

১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৮-৩০শে ডিসেম্বর ঢাকাতে সর্বভারতীয় শিক্ষা সম্মেলন 'অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ' নামে একটি দল তৈরি হয়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের বিভাজনের সূত্রে ও পাকিস্তান নামক রাষ্ট্রের উদ্ভব হয়। সে সময়ের স্বাধীন পাকিস্তানের একমাত্র সংখ্যাগরিষ্ঠ রাজনৈতিক দল ছিল পাকিস্তান মুসলিম লিগ।

মুসলিম লীগ হয়ে ওঠে। সে সময়ে পূর্ব-পাকিস্তানে পাকিস্তান মুসলিম লীগ ক্ষমতায় আসে।

১৯৬০-এর দশকে মুসলিম লীগ দুটি পৃথক দলে পরিণত হয়। এই দল দুটি হলো- কনভেনশন মুসলিম লিগ এবং কাউন্সিল মুসলিম লীগ।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই দলটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কনভেনশন) এবং কাউন্সিল মুসলিম লীগ সহ সকল ধর্ম ভিত্তিক দল নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে রাজনৈতিক দলসমূহের জন্য অধ্যাদেশ অনুসারে উভয় পক্ষকে বৈধতা করে দেয়।

১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই আগস্ট উভয় পক্ষ একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ গঠিত হয়। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছিল। এর একটি অংশের নেতৃত্বে ছিলেন আব্দুস সবুর খান, অপর ভাগটি ছিল শাহ আজিজুর রহমান। আজিজুর রহমান বিএনপি-র সাথে যোগ দিলে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নেতৃত্বে চলে আসে সবুর খানের কাছে।

১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই ফেব্রুয়ারি সামরিক আইনের অধীনেই দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আবদুস সবুর খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ সংসদ নির্বাচনে ২০ টি আসন জয় লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল।

সবুর খানের মৃত্যুর পর, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এর ভিতরে প্রধান ভাগটি বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নামেই পরিচিত।

২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ২রা জুন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে 'বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল' নামে নিবন্ধিত হয় এই দলের একটি অংশ।