বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল
সূত্র: বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন
http://www.ecs.gov.bd/Bangla

নিবন্ধন নম্বর

০৪০

নিবন্ধন তারিখ

০২/০৬/২০১৩

প্রতীক

হাত (পাঞ্জা)

প্রতীক নমুনা

সভাপতি

জনাব এ.এইচ.এম. কামরুজ্জামান খান

ভারপ্রাপ্ত  মহাসচিব

এডভোকেট শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী

কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের ঠিকানা

বাড়ি নং- ১১০, সড়ক নং-২৭, ব্লক-এ, বনানী মডেল টাউন, ঢাকা-১২১৩।

ফোন

৯৮৯৪৪৭৩

মোবাইল

সভাপতি-০১৮১৯৯০১৯৭৭, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব-০১৫৫২২০১৩৯৬, ০১৯১১৩৫২৯৪৫

ইমেইল

advzbchybmlgs@gmail.com

বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল
বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল।

১৯০৬ খ্রিষ্টাব্দের ২৮-৩০শে ডিসেম্বর ঢাকাতে সর্বভারতীয় শিক্ষা সম্মেলন 'অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ' নামে একটি দল তৈরি হয়। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের বিভাজন ও পাকিস্তান স্বাধীনতার পর, অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ পাকিস্তান মুসলিম লীগ হয়ে ওঠে। সে সময়ে পূর্ব-পাকিস্তানে পাকিস্তান মুসলিম লীগ ক্ষমতায় আসে।

১৯৬০-এর দশকে মুসলিম লীগ দুটি পৃথক দলে পরিণত হয়। এই দলটি হলো- পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কনভেনশন) এবং কাউন্সিল মুসলিম লীগে বিভক্ত হয়।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের মুক্তিযুদ্ধের সময় এই দলটি বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের পর, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কনভেনশন) এবং কাউন্সিল মুসলিম লীগ সহ সকল ধর্ম ভিত্তিক দল নিষিদ্ধ করা হয়। ১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দে রাজনৈতিক দলসমূহের জন্য অধ্যাদেশ অনুসারে উভয় পক্ষকে বৈধতা করে দেয়।

১৯৭৬ খ্রিষ্টাব্দের ৮ই আগস্ট উভয় পক্ষ একত্রিত হয়ে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ গঠিত হয়। ১৯৭৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ দুটি ভাগে বিভক্ত হয়েছিল। এর একটি অংশের নেতৃত্বে ছিলেন আব্দুস সবুর খান, অপর ভাগটি ছিল শাহ আজিজুর রহমান। আজিজুর রহমান বিএনপি-র সাথে যোগ দিলে বাংলাদেশ মুসলিম লীগের নেতৃত্বে চলে আসে সবুর খানের কাছে।

১৯৭৯ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ই ফেব্রুয়ারি সামরিক আইনের অধীনেই দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আবদুস সবুর খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ সংসদ নির্বাচনে ২০ টি আসন জয় লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল।

সবুর খানের মৃত্যুর পর, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। এর ভিতরে প্রধান ভাগটি বাংলাদেশ মুসলিম লীগ নামেই পরিচিত।

২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ২রা জুন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে 'বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল' নামে নিবন্ধিত হয় এই দলের একটি অংশ।