রেমাক্রি খাল
ভিন্ন বানান রেমক্রী খাল

বাংলাদেশের চট্টগ্রাম এবং  বান্দরবান জেলার অন্তর্গত থানচি উপজেলার একটি উপনদী। এই উপজেলার রেমক্রি ইউনিয়নের নামে এই নদীটির নাম দেওয়া হয়েছে। এটি সাঙ্গু নদীর একটি বেশ ছোট একটি উপনদী। এই কারণে এই নদীটি খাল হিসেবেই অভিহিত হয়ে থাকে।

পাহাড়ি ঝর্ণার সমবেত জলধারা প্রবাহিত হয়ে আঁকা বাঁকা পাথুরে ভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে-  নাফাখুম জলপ্রপাত অব্দি এসেছে। এরপর নাফাখুম জলপ্রপাত-এর পতিত পানির ধারা রেমাক্রিতে পৌঁছেছে। এই জলধারাকে বলা হয় রেমাক্রি খাল।

রেমাক্রি খালের জল প্রবাহ

রেমাক্রি খালটি অগভীর, খরস্রোতা এবং ছোটো বড় পাথরে ভর্তি। এর কোথাও কোথাও গভীর পানি থাকলেও অধিকাংশই হেঁটে পার হওয়া যায়। শীতকালে এর স্রোত কমে গেলেও বর্ষাকালে এই কালের পানি তীব্র স্রোত দেখা যায়। বিশেষ করে বৃষ্টির পরে খালের পানি আকস্মিকভাবে বৃদ্ধি পায়। এই কারণে রেমাক্রি খালে নৌকা চলে না। তাই এই খালের পাশ দিয়ে হেঁটে হেঁটে পর্যাটকরা নাফাখুম জলপ্রপাত দেখতে যান।

াহাড়ি ঝর্ণা থেকে সৃষ্ট এই খালের পানি অত্যন্ত স্বচ্ছ। এই খালের দুই পারের প্রাকৃতিক দৃশ্য পর্যটকদের ক্ষণে ক্ষণে মোহিত করে। যাঁরা নাফাখুম জলপ্রপাত দেখতে যান, তাঁদের কাছে এই নান্দনিক দৃশ্য হয়ে উঠে বাড়তি পাওয়া।

এই খাল শেষ হয়েছে রেমাক্রি বাজারে। এই বাজারের পরে পাথুরে সিঁড়ি দিয়ে ধাপে ধাপে প্রবাহিত হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত সাঙ্গু নদীর সাথে মিলিত হয়েছে। রেমাক্রি এই নিম্নগামী জলপ্রবাহকে অনেকে রেমাক্রি জলপ্রপাত বলে থাকেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে জলপ্রপাতের মতো এখানে জল উঁচু থেকে পতিত হয় না। এখানকার জল গড়িয়ে গড়িয়ে পাথুরে সিঁড়ি বেয়ে নিচের দিকে নামে।

থানচি উপজেলা থেকে রেমক্রি খাল  উঁচুতে অবস্থিত। এই দুই স্থানের মধ্যবর্তী স্থানে রয়েছে তিন্দু ইউনিয়ন। এই তিন্দুর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সাঙ্গু নদী জলধারার ভিতরে রয়েছে বড় বড় পাথর। এই থেকে এই জলধারার অংশকে বড় পাথর নামেই অভিহিত করা হয়। এই অঞ্চলে বাস করে মুরং ও মার্মা জাতির মানুষ। এঁরা এ সকল পাথরকে নানা নামে অভিহিত করে থাকেন। কোনো কোনো পাথরকে এঁরা পূজাও করে থাকেন।