কর্ণফুলী
এটি বাংলাদেশের একটি অন্যতম প্রধান নদী। মার্মা ভাষায় এই নদীটির নাম কান্সা খিওং । কথিত আছে যে, রাকানের এক রাজকন্যা চট্টগ্রামের এক আদিবাসী রাজপুত্রের প্রেমে পড়ে। এক জ্যোৎস্না স্নাত রাতে এরা এই নদীতে নৌভ্রমণে বের হয়। নদীর পানিতে চাঁদের প্রতিফলন দেখতে গিয়ে রাজকন্যার কানে গোঁজা একটি ফুল পানিতে পড়ে যায়। রাজকন্যা ফুলটি উদ্ধারের জন্য পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়লে, প্রবল স্রোতের টানে সে ভেসে যায়। রাজপুত্রও রাজকন্যাকে উদ্ধারের জন্য পানিতে ঝাঁপ দেয়, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে রাজপুত্র পানিতে ডুবে আত্মাহত্যা করে। এই কাহিনী থেকেই নদীটির নাম হয়েছে কর্ণফুলি।

নদীটি আসামের লুসাই পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়ে পার্বত্য
রাঙ্গামাটি  ও চট্টগ্রাম অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে পতিত হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৭৪ কিলোমিটার। এর প্রধান উপনদী ইছামতির জলধারা চট্টগ্রাম জেলার রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মরিয়মনগর ইউনিয়ন পর্যন্ত প্রবাহিত হয়ে কর্ণফুলী নদীতে পতিত হয়েছে।

এটি রাঙ্গামাটিচট্টগ্রাম প্রধান নদী। এই নদীর উপর বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হয়েছে।


এই নদীর প্রধান উপনদীগুলো হলো কাচালং, মাইনী, চেঙ্গি, ঠেগা, সলক, রাইংখ্যং। এই উপনদীগুলোতে বর্ষাকালে যথেষ্ট স্রোতা থাকলেও শুষ্ক মৌসুমে নাব্যতাসহ পানির পরিমাণ অনেক কমে যায়। এই নদীতে বাঁধ দেওয়ার কারণে সৃষ্টি হয়েছে
কাপ্তাই হ্রদ
 

সূত্র :
বাংলা বিশ্বকোষ (১ম-৪র্থ খণ্ড)। নওরোজ কিতাবিস্তান।
শিশু বিশ্বকোষ (তৃতীয় খণ্ড)। মাঘ, ১৪০৩, জানুয়ারি ১৯৯৭।