করতোয়া
করতোয়া-১ : ভারত-ভুটান সীমান্তের উত্তরে হিমালয় থেকে এই 
নদী
উৎপত্তি হয়েছে। 
উৎপত্তি স্থান থেকে দক্ষিণ দিকে অগ্রসর হয়ে 
নদীটি 
ভারতের পশ্চিম বঙ্গের দার্জিলিং 
ও জলপাইগুড়ির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। 
বাংলাদেশে এর প্রবেশ স্থান রংপুর। 
রংপুরের ১২ মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে আরও কিছু ছোট ছোট 
নদীর
সাথে মিলিত হয়েছে। 
এই মিলিত স্রোতধারাটি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে ১৫০ মাইল প্রবাহিত হওয়ার 
পর 
ইছামতী 
নদীর
 সাথে মিলিত হয়েছে। 
এরপর 
পাবনা 
জেলার বেরা থানার ৬ মাইল দক্ষিণ-পূর্বে 
যমুনা 
নদীতে 
 
পতিত হওয়ার পূর্বে 
নদীটি আত্রাই নদীর সাথে মিলিত হয়েছে।
করতোয়া-২ : হিমালয়ের পাদদেশে শিলিগুড়ি থেকে ৬ মাইল উত্তর-পূর্বে এই 
নদীটি উৎপন্ন হয়েছে। 
এই 
নদীটি দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। 
এই স্থানে 
নদীটি করতোয়া নামে পরিচিত। 
বাংলাদেশের পঞ্চগড়ের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে,
বনগ্রামের কোরামাড়া 
নদীর
সাথে মিলিত হয়েছে। 
এরপর থেকে 
নদীটি আত্রাই নামেই পরিচিত।
অষ্টাদশ শতকের প্রায় শেষ 
পর্যন্ত এই নদীটি জলপাইগুড়ির দক্ষিণে 
তিস্তা তিনটি 
ধারায় প্রবাহিত হত। এই ধারা তিনটির পূর্বেটির নাম করতোয়া, 
পশ্চিমেরটির নাম 
পুনর্ভবা 
ও মধ্যেভাগেরটির নাম 
আত্রাই। এরভিতর
আত্রাই
চলনবিলের উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে 
করতোয়া'য় মিলিত হতো। 
তারপর আত্রাই-করতোয়ার যুগ্মধারাটি জাফরগঞ্জের কাছে মিলিত হয়ে
পদ্মা
নদীতে পতিত হতো। এর অংশবিশেষ এখনও বুড়ি তিস্তা নামে পরিচিত।