মানচিত্র : বাংলাপেডিয়া। http://www.banglapedia.org/httpdocs/HTB/102744.htm

গুগল ম্যাপ দেখার জন্য Shift ধরে, উপরের ছবির উপরে মাউসের ডান বোতাম ক্লিক করুন

পাবনা

বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের দক্ষিণ পূর্বাংশে ২৩০ ৪৮’ ও ২০ ২১‌’ উত্তর অক্ষরেখা এবং ৮৯০ ও ৮৯০ ৪৪’ পূর্ব দ্রাঘিমার মধ্যে অবস্থিত একটি জেলা। এর আয়তন ২৩৭১.৫০ বর্গ কিলোমিটার।

এ জেলার উত্তরে
নাটোর সিরাজগঞ্জ পূর্বে সিরাজগঞ্জ ও মানিকগঞ্জ, দক্ষিণে কুষ্টিয়া ও রাজবাড়ী এবং পশ্চিমে নাটোর  জেলা অবস্থিত। এর দক্ষিণ সীমায় রয়েছে পদ্মা নদী এবং পূর্ব-প্রান্তে রয়েছে যমুনা নদী। মূলত যমুনা  ও পদ্মার সঙ্গমস্থলের এবং বদ্বীপের উপরিভাগের প্রান্তে অবস্থিত। পাবনা শহরটি ইছামতি নদীর তীরে অবস্থিত। মূলত এই নদীটি পাবনা শহরের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত। বর্তমানে এই নদীটি অনেকাংশে মরা নদীতে পরিণত হয়েছে।

প্রশাসনিক বিভাজন
বর্তমানে এই জেলাটি ৯টি উপজেলায় বিভক্ত। এই উপজেলাগুলো হলো
আটঘরিয়া, বেড়া, ভাঙ্গুরা, চাটমোহর, ফরিদপুর, ঈশ্বরদী, সাঁথিয়া, সুজানগর ও পাবনা সদর। এই জেলার ইউনিয়ন সংখ্যা ৭২, মৌজা ১৩২১, গ্রাম ১৫৪০।

ইতিহাস
'
পাবনা' নামকরণ নিয়ে নানাবিধ কিংবদন্তি রয়েছে। কোনো কোনো মতে গঙ্গার 'পাবনী' নামক পূর্বগামিনী ধারা থেকে 'পাবনা' নামের উৎপত্তি হয়েছে। অপর একটি সূত্রে জানা যায় 'পাবন' বা 'পাবনা' নামের জনৈক দস্যুর আড্ডাস্থল ছিল পাবনা সদর। এক সময় এই দস্যুর আশ্রস্থলের নাম থেকে 'পাবনা' নামটি পরিচিত লাভ করে। অপরদিকে কিছু ঐতিহাসিক মনে করেন, 'পাবনা' নাম এসেছে 'পদুম্বা' থেকে। 'পদুম্বা' জনপদের প্রথম সাক্ষাৎ পাওয়া যায় খ্রিষ্টীয় একাদশ শতকে পাল নৃপতি রামপালের শাসনকালে। ইতিহাসে উল্লেখ আছে, রামপাল হৃতরাজ্য বরেন্দ্র কৈবর্ত শাসকদের নিকট থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য যে চৌদ্দজন সাহায্যকারীর শরণাপন্ন হয়েছিলেন এঁদেরই একজন ছিলেন পদুম্বার সোম নামক জনৈক সামন্ত। আবার অনেকের মতে পৌণ্ড্রবর্ধন থেকে পাবনা নামের উৎপত্তি হয়েছে। তাঁরা বলেন পৌণ্ড্রবর্ধনের বহু জনপদ গঙ্গার উত্তর দিকে অবস্থিত ছিল। চলতি ভাষায় পুণ্ড্রবর্ধন বা পৌণ্ড্রবর্ধন পোনবর্ধন বা পোবাবর্ধন রূপে উচ্চারিত হতে হতে পাবনা হয়েছে।

পাবনা পুণ্ড্রবর্ধন জনপদের অংশ ছিল। গঙ্গারিডির রাজত্বের অবসানের পর বৃহত্তর পাবনা মৌর্য সাম্রাজ্যভুক্ত হয়। রাজা অশোক পুণ্ড্রসহ সমগ্র বাঙলা নিজ শাসনাধীনে এনেছিলেন। মৌর্য বংশের পতনের পর এই অঞ্চল সম্পর্কে ইতিহাস থেকে বিশেষ কিছু জানা যায় না। এ অঞ্চল সমুদ্রগুপ্তের সময়ে (৩৪০-৩৮০ খ্রিষ্টাব্দ) গুপ্ত সম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল এবং প্রথম কুমার গুপ্তের (৪১৩-৪৫৫ খ্রিষ্টাব্দ) শাসনামলে এই অঞ্চল গুপ্ত সাম্রাজ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক অঞ্চলে পরিণত হয়েছিল। গুপ্ত রাজাদের পতনের পর এই অঞ্চল খুব সম্ভবতঃ পরবর্তী গুপ্তদের অধীনে মহাসেন গুপ্তের রাজত্বকাল পর্যন্ত শাসিত হয়েছিল। তিনি খ্রষ্টীয় ৬ষ্ঠ শতকের শেষের দিকে বাংলার এ অংশে রাজত্ব করেছিলেন। সপ্তম শতকের প্রারম্ভে শশাংক পরবর্তী গুপ্তদের উচ্ছেদ করেন। তিনি উত্তর ও পশ্চিম বাংলা এবং মগধ নিয়ে গৌড় রাজ্য নামেএকটি স্বাধীন শক্তিশালী রাজ্য স্থাপন করেন। ৬৩৭ খ্রিষ্টাব্দে শশাংকের মৃত্যুর পর হর্ষবর্ধন এই অঞ্চলের উপর কর্তৃত্ব স্থাপন করতে সক্ষম হন। এ সময়ে ৬৩৮ খ্রিষ্টাব্দে চীন দেশীয় পরিব্রাজক হিউয়েন সাং বাংলাদেশ পরিভ্রমণে আসেন। হর্ষবর্ধনের মৃত্যুর পর প্রাচীন বাংলার এ অংশের প্রায় দেড়শত বছরের ইতিহাস অজানার অন্ধকারে ঢাকা পড়ে আছে। এ সময়ে (৬০০-৭৫০ খ্রিঃ) বাংলায় রাজনৈতিক গোলযোগ ও বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছিল। কেন্দ্রে কোনো শাসন এখানে কার্যকর ছিল না। ফলে এক চরম অরাজক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল। ইতিহাসে এ সময়কে মাৎস্যন্যায় বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। অষ্টম শতকের প্রারম্ভে ৭২৩ এবং ৭৩৫ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে কোন এক সময়ে কনৌজের যশোবর্ধন গৌড়রাজকে পরাজিত করে বাংলাদেশ দখল করেন এবং তখন এই অঞ্চলও তাঁর রাজত্বের অন্তর্গত হয়। ৭৩৬ খ্রিষ্টাব্দে কাশ্মীরের ললিতাদিত্য যলোবর্ধনকে পরাজিত করে এ অঞ্চলের উপর প্রভুত্ব বিস্তার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীকালে এই অঞ্চল পালদের অধীনে এসে যায়।

পাল বংশের (আনুমানিক ৭৫৮-১১৬২ খ্রিষ্টাব্দে) অন্তত ১৭ জন রাজা এই অঞ্চল শাসন করে। রাম পালের মৃত্যুর পর (১১২৫ খ্রিষ্টাব্দ) পাল রাজবংশের অস্তিত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা পর্যায়ে সেন বংশের রাজাগণ এ অঞ্চলে অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। পালদের পতনের যুগে চালুক্য যুবরাজ ৬ষ্ঠ বিক্রমাদিত্য যখন বাংলা আক্রমণ করেন। প্রথমে তারা পশ্চিম বাংলায় বসতি স্থাপন করেন। এরপর রামপালের রাজত্বকালে উত্তর বাংলায় স্বাধীন রাজত্বের সূচিত হয়। সেন বংশের প্রথম রাজা বিজয় সেন শেষ পাল রাজা মদন পালকে পরাজিত করেন। ফলে এই অঞ্চল তাঁর অধিকারে আসে। তিনি রামপুর গোয়ালিয়া থেকে ৫ মাইল পশ্চিমে গোদাগাড়ীর সন্নিকটে বিজয় নগরে রাজধানী স্থানান্তর করেন।

সেন রাজবংশের শেষ রাজা লক্ষ্মণ সেনের রাজত্বের শেষ ভাগে সেন রাজ্যের মধ্যে বিশৃংখলা দেখা দেয়। এই সময় ১২০৪ খ্রিষ্টাব্দে ইখতিয়ার উদ্দিন মুহম্মদ বখতিয়ার খলজী লক্ষণ সেনের রাজধানী নদীয়া আক্রমণ করেন এবং লক্ষ্মণাবতী অধিকার করে নেন। ঐ সময় এই অঞ্চলের ইসলাম ধর্ম বিস্তার লাভ করে।

১২০৫ খ্রিষ্টাব্দ থেকে এই অঞ্চল গৌড়ের মুসলিম শাসকদের অধিকারে ছিল। ১২০৬ সালে মুহাম্মদ বখতিয়ার খলজীর মৃত্যুর পর মুহম্মদ সিরান খলজি এ অঞ্চলের কর্তৃত্ব লাভ করেন। সুলতান আলাউদ্দিন উপাধি ধারণপূর্বক তিনি স্বাধীনভাবে রাজ্য পরিচালনা করেন। এরপর দিল্লীর সুলতান কুতুব উদ্দিন আইবেকের নিকট থেকে আলী মর্দান লক্ষ্মণাবতীর রাজ প্রতিনিধিত্ব লাভ করেন। ১২১০ খ্রিষ্টাব্দে কুতুব উদ্দিন আইবেকের মৃত্যুর পর আলী মর্দান দিল্লীর সুলতানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং সুলতান উপাধি ধারণ করেন। প্রায় তিন বৎসর কাল তিনি এ অঞ্চলের উপর তার শাসন ক্ষমতা অব্যাহত রাখেন। তিনি খলজি আমীরদের হাতে ১২১২ খ্রিষ্টাব্দে নিহত হন। এই আমীররা এরপর লাখনৌতির শাসনকর্তা হিসেবে গিয়াস উদ্দিন ইওয়াজ খলজীকে মনোনীত করেন। তিনি সুলতান উপাধি ধারণপূর্বক প্রায় ১৪ বৎসর রাজ্য শাসন করেন। অতঃপর ১২২৭ খ্রিষ্টাব্দে সুলতান ইলতুতমিশের পুত্র যুবরাজ নাসির উদ্দিনের হাতে সুলতান গিয়াস উদ্দিন নিহত হলে যুবরাজ নাসির উদ্দিন লাখনৌতির শাসন ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন। ১২২৭-১২৮২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মোট ১৬ জন শাসনকর্তা লাখনৌতির শাসন কার্য পরিচালনা করেন। ঐ সময়ে লক্ষণাবতীর কোন শাসনকর্তাই দিল্লীর সুলতানের আনুগত্য স্বীকার করেন নি। সুলতান মুগিস উদ্দিন তুঘরিল ১৬ জন শাসনকর্তাদের মধ্যে শেষ ব্যক্তি ছিলেন। তখন দিল্লীর সুলতান ছিলেন গিয়াস উদ্দিন বলবন। তিনি লক্ষ্মণাবতীর শাসনকর্তার আনুগত্য বরদাস্ত করতে পারেন নি। তাঁকে দমন করার জন্য তিনি বাংলা আক্রমণ করেন। যুদ্ধে ১২৮২ খ্রিষ্টাব্দে তুঘরিল পরাজিত ও নিহত হলে সুলতান বলবন তদীয় পুত্র বোগরা খানকে লাখনৌতির শাসনকর্তা নিয়োজিত করেন। পরবর্তী সময়ে বোগরা খাঁন দিল্লীর সুলতানের বিরুদ্ধে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং সুলতান নাছির উদ্দিন মুহাম্মদ শাহ উপাধি ধারণ করেন। ১৩২৪ সাল পর্যন্ত লাখনৌতির স্বাধনীতা অক্ষুণ্ণ থাকে। ঐ বৎসর দিল্লীর সুলতান গিয়াস উদ্দিন তুঘলক লাখনৌতিকে তাঁর সাম্রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত করে নেন।

দিল্লীর সুলতান মুহাম্মদ বিন তুগলকের (১৩২৫-১৩৫১ সাল) রাজত্বের পতনোত্তর সময়ে জনৈক হাজী ইলিয়াস শাহ লাখনৌতির সিংহাসনে আরোহন করেন। নিঃসন্দেহে এই অঞ্চল হাজী ইলিয়াস শাহের (১৩৪২-১৩৫৭) রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। তাঁর মৃত্যুর পর তদীয় উত্তরাধীকারী সিকান্দার শাহ, সায়ফুদ্দিন হামজা শাহ, শিহাবুদ্দিন বায়েজিদ শাহ, আলাউদ্দিন ফিরোজ শাহ প্রভৃতি নরপতিগণ এ জেলার উপর তাঁদের কর্তৃত্ব বজায় রেখেছিলেন।

এরপর রাজা গণেশ ১৪১৪ খ্রিষ্টাব্দে লাখনৌতির সিংহাসনে আরোহণ করেন। অল্পদিনে তাঁর মৃত্যু হলে তাঁর উত্তরাধিকারী ও পুত্র যদু, ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হন ও জালাল উদ্দিন নাম গ্রহণ করেন। জালাল উদ্দিন ১৪৩২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এই অঞ্চলের উপর তাঁর শাসন ক্ষমতা অব্যাহত রাখেন। তারপর তাঁর পুত্র সামছুদ্দিন আহমদ শাহ ১৪৪২ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এই এলাকা শাসন করেন। উক্ত সামছুদ্দিন আহমদ শাহকে হত্যা করে জনৈক নাসির উদ্দিন আবুল মোজাফফর মাহমুদের মাধ্যমে ইলিয়াসশাহী রাজ বংশ পুনঃ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ১৪৮৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এ অঞ্চলো ইলিয়াসশাহী রাজবংশের শাসনাধীনে ছিল। এরপর ১৪৯৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এ অঞ্চলের প্রশাসন ব্যবস্থায় বিভ্রান্তি ও বিশৃংখলা বিরাজ করছিল। এ সময়ে আবিসিনীয় অধিবাসীরা ক্ষমতা ও প্রতিপত্তির মাধ্যমে ইলিয়াসশাহী রাজবংশকে উচ্ছেদ করে ক্ষমতা দখল করে। এদের শেষ রাজা সামছুদ্দিন মোজাফফর শাহ (১৪৯১-১৪৯৩ খ্রিষ্টাব্দ) তাঁর উজির সাঈদ হোসেন কর্তৃক নিহত হলে আলাউদ্দিন হোসেন শাহ উপাধি ধারণ করেন এবং ১৪৯৩ খ্রিষ্টাব্দে তিনি লক্ষ্মণাবতীর সিংহাসনে আরোহণ করেন। স্বাভাবিকভাবেই এই অঞ্চল আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনাধীনে ছিল। তাঁর উত্তরাধিকারীগণ ১৫৩৮ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এই জেলার উপরে তাদের শাসন ক্ষমতা অব্যাহত রাখেন। এ সময়ে এ অঞ্চলে শান্তি ফিরে আসে এবং দেশে সুশাসন কায়েম হয়। এ সময়ে রাজনৈতিক সম্প্রীতি বিস্তৃতি ও ব্যবসা বাণিজ্যের সমৃদ্ধির ঘটে।

এরপর দিল্লীর সুলতান শের শাহ শুরী (১৫৩৯-১৫৪৫ খ্রিষ্টাব্দ) কর্তৃক বাংলা বিজয়ের ফলে ১৫৩৮ খ্রিষ্টাব্দে হোসেন শাহী রাজবংশের রাজত্বের পরিসমাপ্তি ঘটে। শেরশাহের মৃত্যুর পর ইসলাম শাহ (১৫৪৫-১৫৫৩ খ্রিষ্টাব্দ) এ অঞ্চলের উপর তাঁর কর্তৃত্ব বজায় রেখেছিলেন। ইসলাম শাহের মৃত্যুর পর বাংলার শাসনকর্তা শুর বংশীয় মাহমুদ খান শুর স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং সামছুদ্দিন মোহাম্মদ শাহ গাজী (১৫৫৩-১৫৫৬ খ্রিষ্টাব্দ) উপাধি ধারণ করে  শাসন ক্ষমতা অক্ষুন্ন রাখেন। পরবর্তী সময়ে তাঁর পুত্র গিয়াসুদ্দিন বাহাদুরশাহসহ তাঁর উত্তরাধীকারগণ ১৫৬৫ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এই অঞ্চল শাসন করেন। এ সময়ে তাজ খান কররানী লাখনৌতির সিংহাসন দখল করলে এই অঞ্চল তাঁর শাসনাধীনে চলে যায়। এভাবে ১৫৭৪ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত দাউদ কররানী এ জেলার কর্তৃত্ব করেন। তিনি মুঘল সম্রাট আকবরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করলে মুঘল সেনাপতি মুনিম খানের নিকট পরাজিত ও নিহত হন এবং ১৫৭৬ খ্রিষ্টাব্দে লাখনৌতি বা গৌড়রাজ্যে মুঘল শাসনের সূচনা ঘটে।

১৫৭৬-১৭২৭ খ্রষ্টাব্দ পর্যন্ত দিল্লীর মুঘল সম্রাজ্যের অধীনে ২৯ জন শাসনকর্তা এই এলাকার উপর তাঁদের শাসনকার্য পরিচালনা করেন। এঁদের ভিতরে উল্লেখযোগ্য শাসক ছিলেন রাজা মানসিংহ, ইসলাম খাঁ, শাহজাদা মুহম্মদ সুজান, মীর জুমলা, নবাব শায়েস্তা খাঁ, নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁ।

নবাব মুর্শিদকুলী খানের (১৭০০-১৭২৭ খ্রিষ্টাব্দ) অধীনে কার্যতঃ বাংলা স্বাধীন হয়। তিনি কঠোর রাজস্ব নীতি প্রণয়ন করেন। এর ফলে পূর্ববর্তী আমলের জমিদারদের অনেকেই রাজস্ব প্রদানে ব্যর্থ হয় এবং এদের জমিদারী কেড়ে নিয়ে নবাবের অনুগ্রহ ভাজনদের মধ্যে বিলি করা হয়। নাটোর রাজার পরিবারের সদস্যগণ (বরেন্দ্র ব্রাক্ষ্মণদের মৈত্র পরিবারের অন্তর্ভূক্ত) নবাব মুর্শিদকুলী খানের অনুগ্রহভাজন ছিলেন। এই কারণে ১৭০৭ খ্রিষ্টাব্দে নাটোর রাজার জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা রাম জীবনকে জমিদারি লাভ করেন এবং তিনি ১৭৩০ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত জমিদারি পরিচালনা করেন। এই সময় বৃহত্তর পাবনা নাটোরের রাজার জমিদারের অংশ ছিল।

১৭২৭-১৭৩৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলাদেশ তৎকালীন সুবেদার নবাব সুজা উদ্দিনের শাসনাধীনে ছিল এবং এই সময় রাজশাহীর জমিদারির রাজস্ব সংগ্রহ ও শাসন পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন রাম জীবন। ১৭৩০ খ্রিষ্টাব্দের পর রাম জীবনের উত্তরাধিকারী মহারাজ রামকান্তের উপর রাজস্ব ও শাসন ব্যবস্থা অর্পিত হয়। আলীবর্দী খাঁ ১৭৪২-১৭৫৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলার সুবেদার ছিলেন। মহারাজ রামকান্তের মৃত্যুর পর এ বিশাল জমিদারি পরিচালনার দায়িত্ব পান রানী ভবানী। এই প্রতিভাময়ী মহিলা পলাশী, উদয় নালা, বকসার যুদ্ধ এবং লর্ড ক্লাইভের দ্বৈত শাসন ও অষ্টাদশ শতকের বাংলার এক তৃতীয়াংশ লোকক্ষয়কারী মহাদুর্ভিক্ষের অরাজকতা পূর্ণ সময়ে,  দীর্ঘ অর্ধ শতাব্দী কালব্যাপী দক্ষতা ও যোগ্যতার সাথে এই বিশাল জমিদারির শাসনকার্য পরিচালনা করেছিলেন।

আলীবর্দী খাঁর শাসনামলে এই অঞ্চল মারাঠা আক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল। ১৭৫৬ খ্রিষ্টাব্দে আলীবর্দী খাঁর মৃত্যুর পর তাঁর দৌহিত্র উত্তরাধিকারী নবাব সিরাজ-উদ্-দৌলা বাংলা সিংহাসনে আরোহণ করেন। ১৭৫৭ খ্রিষ্টাব্দে পলাশীর যুদ্ধে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী জয়লাভ করার পর এই অঞ্চল কার্যত কোম্পানির অধীনে চলে যায়। বক্সারের যুদ্ধে বিজয়ের মাধ্যমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বাংলার দেওয়ানী লাভ করে। কিন্তু তখনো রানী ভবানীই এই অঞ্চলের প্রকৃত শাসক ছিলেন। অবশ্য জেলার একাংশ বড়বাজু ও কাগমারী জমিদারির অন্তর্ভূক্ত ছিল। বর্তমানে এই অংশ সিরাজগঞ্জ জেলার অন্তর্গত ছিল।

অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ব্রিটিশ শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে বাংলার কৃষক ও কারিগরদের বিদ্রোহ ঘটে। যা 'ফকির ও সন্ন্যাসী' বিদ্রোহ নামে পরিচিত। ১৭৮৭ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত বাংলার ফকির সম্প্রদায়ের দলপতি শাহ মস্তান বোরহানা উত্তর বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ব্রিটিশ বিরোধী কাজে তৎপর ছিলেন। এ সময় সিরাজগঞ্জের নিকটে ফকিররা খুবই তৎপর ছিল। ১৭৮৭ খ্রিষ্টাব্দে মজনুশাহ মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুর পূর্বকাল পর্যন্ত মজনুশাহের পাবনা ও পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহে (রাজশাহী, বগুড়া, রংপুর, দিনাজপুর ও ময়মনসিংহ) তৎপর ছিলেন। চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের সময় এ জেলার বেশিরভাগ অংশ রাজশাহী জেলার অন্তর্ভূক্ত ছিল।

সে সময় নাটোরের রাণীভবানীর জমিদারের একটি অংশ হিসাবে পাবনা চিহ্নিত ছিল। কালক্রমে তাঁর জমিদারির বিরাট অংশ নিলাম হয়ে গেলে, পাবনাকে রাজশাহী থেকে পৃথক করে একটি পৃথক প্রশাসনিক এলাকা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ১৮৩২ খ্রিষ্টাব্দে পাবনাকে জেলাতে পরিণত করা হয়। গোড়ার দিকে একজন জয়েন্ট ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন ডেপুটি কালেক্টর দ্বারা এই জেলার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। স্বতন্ত্র জেলা সৃষ্টির প্রাক্কালে রাজশাহীর পাঁচটি থানা আলাদা করে জেলাটি গঠিত হয়। এসব থানা ছিল রাজশাহী থেকে ক্ষেতপাড়া, রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর, মত্থরা ও পাবনা এবং যশোরের ৪ টি থানা।

১৮৪৫ খ্রিষ্টাব্দে পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত হিসাবে যমুনা নদীকে স্থির করা হয় এবং এ নদীর গতি ধারায় পরিবর্তনের দরুন ১৮৫৫ সালে সিরাজগঞ্জ থানাটি ময়মনসিংহ থেকে নিয়ে পাবনার সাথে সংযুক্ত করা হয়।

১৮৫৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারত বর্ষের প্রথম স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে এই অঞ্চলে তেমন কোনো প্রভাব পড়ে নি। কিন্তু এই জেলার মধ্য দিয়ে ঢাকার বিদ্রোহীদের উত্তর বাংলায় গমন পথে বাধা সৃষ্টি করার জন্য, পাবনা জেলার তৎকালীন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মিঃ রেভেন্স জেলার নীলকর সাহেবগণকে সৈন্যদল গঠন করতে নির্দেশ দেন। ১৮৫৮ খ্রিষ্টাব্দে ভারতবর্ষ ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সম্রাজ্ঞী মহারানী ভিক্টোরিয়ার শাসনাধীনে চলে যায়।

১৮৫৯ খ্রিষ্টাব্দে পূর্ণক্ষমতা প্রাপ্ত একজন ম্যাজিস্ট্রেটকে এই জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়। এই সময় কুষ্টিয়া পাবনা জেলার অংশ ছিল। ১৮৬২ খ্রিষ্টাব্দে কুষ্টিয়াকে মহকুমা করে নদীয়া জেলার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৮৭১ খ্রিষ্টাব্দে পাংশা থানাকে ফরিদপুরের গোয়ালন্দ মহকুমার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। একই সময়ে কুমারখালী থানাকে কুষ্টিয়া মহকুমার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই বিন্যাসের দ্বারা এই জেলার দক্ষিণাংশের সীমানা পদ্মা দ্বারা নির্দিষ্ট হয়।

ঊনিশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত সমগ্র পাবনা জেলাব্যাপী নীলের চাষ ও নীল তৈরীর কাজ ব্যাপকভাবে চালানো হয়। নীলচাষ চাষীদের নিকট কখনো জনপ্রিয়তা লাভ করেনি। কেননা জমিদারগণ এর বিরুদ্ধে ছিলেন এবং নীলের জমির উপর অতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে রায়তদের লাভ করার আশা নির্মূল করে দিতেন। এই জেলার নীলকরদের পীড়ন নীতির ফলে কৃষকরা ১৮৫৯-৬০ সালে বিদ্রোহ করে। ফলে নীলের চাষ ও নীল তৈরীর কাজ নীল চাষীগণ কর্তৃক পরিত্যক্ত হয়। নীল বিদ্রোহ শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনয়ন করে। দক্ষ প্রশাসন ব্যবস্থার জন্য জেলায় জেলায় কালেক্টরের পদ সৃষ্টি ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। মিঃ জি ব্রাইট এই জেলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট-কালেক্টর নিযুক্ত হন।

১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দে কর বৃদ্ধির কারণে জমিদারদের বিরুদ্ধে প্রজাবিদ্রোহ হয়। জুলাই মাসে এই বিদ্রোহ চরমে পৌঁছালে পুলিশ নিয়োগ করা হয়। এই সময় ৩০২ জন বিদ্রোহীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে এই বিদ্রোহ থেমে যায়। কিন্তু এই বিদ্রোহের কারণে স্থানীয় চাষাবাদ ব্যাহত হয়। ১৮৭৪ খ্রিষ্টাব্দে এই জেলায় দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়। ১৮৮৫ খ্রিষ্টাব্দে বেংগল টেনান্সি এ্যাক্ট জারির মাধ্যমে সমগ্র বাংলাসহ এই জেলায় কৃষক আন্দোলন স্তিমিত হয়। লর্ড কার্জনের শাসনামলে (১৮৯৯-১৯০৫ খ্রিষ্টাব্দ) বঙ্গ ভঙ্গের ফলে পাবনা জেলা নতুন প্রদেশ হিসাবে পূর্ব বাংলা ও আসামের সংগে যুক্ত হয়। অবশ্য ১৯১১ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে বঙ্গভঙ্গ রদ হয়।

১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ১৪ আগষ্ট তারিখে পাকিস্তান নামক নতুন রাষ্ট্রের আবির্ভাব ঘটায় এই জেলা পূর্ব-পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত হয়।

১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের স্বাধীনতা যুদ্ধের প্রাক্কালে, ২৩শে মার্চ পাবনার টাউন হলে প্রথম বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলিত হয়। পরপরই পতাকা উত্তোলিত হয় জেলা প্রশাসকের বাসভবনে। ২৫শে মার্চের পর তৎকালীন জেলা প্রশাসক জনাব এম নূরুল কাদের খান মুক্তিকামী জনতার জন্য পুলিশ লাইনের অন্ত্র ভাণ্ডার খুলে দিয়ে পাক বাহিনীকে প্রতিরোধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার আহবান জানান। ২৬ মার্চ রাতে পাক সেনারা বিসিক শিল্পনগরীতে ঘাটি করে এবং টেলিগ্রাফ অফিস, সার্কিট হাউজ, স্টেডিয়াম, ডাকবাংলো দখলে নেয়। ২৭ মার্চ সন্ধ্যায় পাকসেনারা পুলিশ লাইন আক্রমণ করে। ব্যারাকের পুলিশ সদস্যরা গড়ে তোলে প্রতিরোধ। তাদের সাথে যোগ দেয় জেল পুলিশ। শহরের মুক্তিকামী জনতার সাথে প্রতিরোধে অংশ নেয় চরাঞ্চল এবং গ্রাম অঞ্চল থেকে আশা হাজার হাজার মানুষ। টেলিগ্রাফ অফিসসহ বিভিন্ন স্থানের প্রতিরোধে টিকতে না পেরে ২৮শে মার্চ পাকসেনারা পালিয়ে যায় রাজশাহীতে। ২৯ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত পাবনা ছিল স্বাধীন। বাংলাদেশের মানচিত্রে সম্মুখ সমরে প্রথম শত্রু অবমুক্ত জনপদ হওয়ার দূর্লভ গৌরব অর্জন করে পাবনা। ৪ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে কোর্ট ভবনের সামনে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলিত হয়। ১১ এপ্রিলে পাকসেনারা আবার চলে আসে পাবনাতে। জেলা ও উপজেলায় বিভিন্ন স্থানে যুদ্ধ হয়, এরপর ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ পাকবাহিনী আত্মসমর্পণ করে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১লা এপ্রিলে সিরাজগঞ্জ মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হ্য়।

উপজেলাঃ পাবনা সদর (মাধ্যমিক স্কুল)

ক্রমিক সংখ্যা

প্রতিষ্ঠানের নাম

ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা

শিক্ষক/শিক্ষিকার সংখ্যা

মোবাইল

পাবনা জেলা স্কুল

১৩৬৭

৪৫

০৭৩১-৬৫৭২৫

পাবনা জি,সি,আই পাবনা

৬৩০

১৪

 

রাধানগর মজুমদার একাডেমী

 

 

 

সেলিম নাজির উচ্চ বিদ্যালয়

৩৫৩

১১

০১৭১৮-৭১০৭৪৮

দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়

৬০৬

১৩

০১১৯৭-১৩৫৬৯৮

দোগাছী উচ্চ বিদ্যালয়

৫৪২

২১

০১৭১১-০৬৬৩৩৯

টেবুনিয়া ওয়াছিম পাঠশালা

৪৩০

১০

০১৭১৮-৭৪১৯৩৪

দড়িভাউডাংগা উচ্চ বিদ্যালয়

৫১৭

২০

০১৭১৭-৫৫৪৭৫৬

মওলানা কছিমুদ্দিন স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়

৬৪৭

১২

০১৭১৯-৫৩২৬১২

 পাবনা সদর উপজেলাঃ (প্রাথমিক স্কুল)

ক্রমিক নং

বিদ্যালয়ের নাম ও ঠিকানা

প্রতিষ্ঠান প্রধানের নাম

ছাত্রছাত্রী সংখ্যা

মালিগাছা রুপপুর সপ্রাবি টেবুনিয়া, সদর, পাবনা

মোঃ শহিদুল ইসলাম

৪০৫

মালিগাছা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় টেবুনিয়া, সদর, পাবনা

জনাব শাহনাজ বেগম

৫১১

ইসলাম গাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় গাতী, সদর, পাবনা

জনাব মোহাম্মদ আলী

২৩৪

কাশিনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সদর, পাবনা

জনাব রুহুল আমিন

৩১০

হাড়িবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়মালঞ্চী, সদর, পাবনা

জনাব আরজিনারা বেগম

১৬৮


আবাসনের প্রকার

নাম

ঠিকানা

ধারণ ক্ষমতা

বিশেষ সুবিধা

ভাড়া

মন্তব্য

এ.সি

নন এ.সি

সার্কিট হাউজ

সার্কিট হাউজ পাবনা
০৭৩১-৬৫০৮৮

ডিসি রোড, পাবনা

 

১৮

নিরাপত্তা/ এ.সি/ টেলি ফোন

মন্ত্রিপরিষদ কর্তৃক নির্ধারিত

বেসরকারী পর্যায়ে সর্ব ক্ষেত্রে প্রদত্ত ভাড়ার দ্বিগুণ।

রেষ্ট হাউজ

জেলা পরিষদ, পাবনা।
০৭৩১-৬৬০৫৭
০১৭১৪-৬৬১৩০২

নুরপুর ডাকবাংলো,
পাবনা

 

২১

নিরাপত্তা/ এ.সি/ টেলি ফোন

 

৬০/-

 

৫০/-

বেসরকারী পর্যায়ে সর্ব ক্ষেত্রে প্রদত্ত ভাড়ার দ্বিগুণ।

রেষ্ট হাউজ

গণপূর্ত বিভাগ, পাবনা।
০৭৩১-৬৬০৬৬
০১৭১২-২৭৯৪৬৬

চকছাতিয়ানী চারা বটতলা,পাবনা।

নিরাপত্তা/ এ.সি/ টেলি ফোন

 

৫০/-

 

৫০/-

বেসরকারী পর্যায়ে সর্ব ক্ষেত্রে প্রদত্ত ভাড়ার দ্বিগুণ।

রেষ্ট হাউজ

সড়ক ও জনপথ বিভাগ,পাবনা।
০৭৩১-৬৬২২৩
০১৭১১-৩৭৩১৫৬

লাইব্রেরী বাজার, পাবনা।

 

নিরাপত্তা/ এ.সি/ টেলি ফোন

 

৫০/-

 

৫০/-

বেসরকারী পর্যায়ে সর্ব ক্ষেত্রে প্রদত্ত ভাড়ার দ্বিগুণ।

রেষ্ট হাউজ

পানি উন্নয়ন বোর্ড,পাবনা।
০৭৩১-৬৫৮১৬
০১৭১১-৩২৩৩১২

চকছাতিয়ানী পানি উন্নয়ন বোর্ড,পাবনা।

 

নিরাপত্তা/ এ.সি/ টেলি ফোন

 

২০/-

 

২০/-

বেসরকারী পর্যায়ে সর্ব ক্ষেত্রে প্রদত্ত ভাড়ার দ্বিগুণ।

রেষ্ট হাউজ

পানি উন্নয়ন বোর্ড (হাইড্রোলজি বিভাগ),পাবনা।
০৭৩১-৬৬২৬২
০১৭১১-৩২৩৩১২

চকছাতিয়ানী বিসিক-১নং গেট,পাবনা।

 

নিরাপত্তা/ এ.সি/ টেলি ফোন

 

২৫/-

 

২৫/-

বেসরকারী পর্যায়ে সর্ব ক্ষেত্রে প্রদত্ত ভাড়ার দ্বিগুণ।

রেষ্ট হাউজ

বিসিক,পাবনা।
০৭৩১-৬৬৩৫৯
০১৭১৫-০০৭৪৪৭

হিমাইতপুর,বিসিক, পাবনা।

 

’’

 

২৫/-

 

২৫/-

বেসরকারী পর্যায়ে সর্ব ক্ষেত্রে প্রদত্ত ভাড়ার দ্বিগুণ।

রেষ্ট হাউজ

যুব উন্নয়ন,পাবনা।
০৭৩১-৬৬০২৮
০১৭১৬-৫০২০৭৭

মহেন্দ্রপুর,পাবনা।

 

’’

 

১০০/-

 

বেসরকারী পর্যায়ে সর্ব ক্ষেত্রে প্রদত্ত ভাড়ার দ্বিগুণ।

রেষ্ট হাউজ

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ,পাবনা।
০৭৩১-৬৫৭৫৪
০১৭১১-৯৭২৯৭৭

নূরপুর,পাবনা।

 

’’

 

৫০/-

 

৩০/-

বেসরকারী পর্যায়ে সর্ব ক্ষেত্রে প্রদত্ত ভাড়ার দ্বিগুণ।

রেষ্ট হাউজ

শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর,পাবনা।
০৭৩১-৬৬০৩১
০১৭১২-৬২৮২৯৭

জেলা পাড়া,পাবনা পৌর সভার পিছনে।

 

নিরাপত্তা/ এ.সি/ টেলি ফোন

 

৪০/-

 

৩০/-

বেসরকারী পর্যায়ে সর্ব ক্ষেত্রে প্রদত্ত ভাড়ার দ্বিগুণ।

রেষ্ট হাউজ

এল.জি.ই.ডি,পাবনা
০৭৩১-৬৬১৩৩
০১৭১২-৫৫২২৫২

এল.জি.ই.ডি ভবন, চকছাতিয়ানী,পাবনা

 

’’

৩০০/-

৫০/-

বেসরকারী পর্যায়ে সর্ব ক্ষেত্রে প্রদত্ত ভাড়ার দ্বিগুণ।

 

হোটেল(বেসরকারী)

প্রশান্তি ভূবন পার্ক - রেষ্ট হাউজ
০৭৩১-৬৪২৬১
০১৭১২-৮৮৫৭৮২

প্রোঃ জেমস্ প্রখর সরকার,জালালপুর, পাবনা।

 

১৪

’’

১২০০/--

১৫০০/-

 

৮০০/-

 

-

 

হোটেল(বেসরকারী)

হোটেল শাপলা, পাবনা।
০৭৩১-৬৫২২৮
০১৭১২-৭১৪৫৬৯

প্রোঃ আব্দুল ওয়াদুদ
এ হামিদ রোড, পাবনা।

 

৩৩

’’

 

৫০/--৬০/-

-

হোটেল(বেসরকারী)

ইডেন বোডিং, পাবনা।

পাবনা।
০৭৩১-৬৫২৭৪
০১৭১৪-৪২৩৪৪৩

 

১৮

’’

-

৫০/--

১০০/-

-

হোটেল
(বেসরকারী)

হোটেল ছায়ানীড়

 

মীর্জা সালেহা খাতুন
রূপকথা রোড, পাবনা।
০৭৩১-৬৫৩৯০
০১৫৫৮-৪৩৯৩৩০

 

২৫

’’

-

৬০/--৯০/-

-

হোটেল(বেসরকারী)

হোটেল পার্ক বোডিং

পাবনা।
০৭৩১-৬৪০৯৬
০১১৯৭-০৮৩৩০১

 

৭০

’’

৬০০/-

২৫০/-

-

হোটেল(বেসরকারী)

হোটেল শীল্টন

পাবনা।
০৭৩১-৬২০০৬
০১৭১২-৪৩৩২৪৯

 

৪২

’’

৭০০/-

২০০/--

৩০০/-

-

হোটেল(বেসরকারী)

হোটেল টাইম গেষ্ট

পাবনা।
০৭৩১-৬৬৯০১
০১৭১১-৪০২৬৭৭

 

৩৬

’’

৫০০/-

১০০/--১২৫/-

-


সূত্র :
বিশ্বকোষ। একাদশ ভাগ। শ্রীনগেন্দ্রনাথ বসু কর্ত্তৃক সঙ্কলিত ও প্রকাশিত। ১৩০৭ বঙ্গাব্দ।

http://www.dcpabna.gov.bd/
http://www.banglapedia.org/httpdocs/HTB/102744.htm