মানচিত্র : বাংলাপেডিয়া। http://www.banglapedia.org/httpdocs/HTB/102744.htm

সিরাজগঞ্জ
বাংলাদেশের রাজশাহী বিভাগের একটি জেলা।
স্থানাঙ্ক : ২
২৪'২২ ও ২৪'৩৭ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯'৩৬ ও ৮৯'৪৭ দ্রাঘিমা রাজধানী ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ১৪২ কিমি।

অবস্থান: উত্তরে বগুড়া জেলা, দক্ষিণে পাবনা জেলা, পূর্বে টাঙ্গাইল ও জামালপুর জেলা ও যমুনা নদী এবং পশ্চিমে নাটোর জেলা অবস্থিত। এর পূর্ব-প্রান্তে রয়েছে যমুনা নদী।
এর আয়তন ২,৪৯৭ বর্গ কিলোমিটার।

কথিত আছে বেলকুচি থানার সিরাজউদ্দিন চৌধুরী নামক জনৈক জমিদার, তাঁর নিজ মহালে একটি 'গঞ্জ' স্থাপন করেন। তার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয় সিরাজগঞ্জ। পরবর্তী সময়ে ঐ সিরাজগঞ্জ স্থানটি নদীভাঙ্গনে বিলীন হয়। পরবর্তী সময় তিনি ভূতের দিয়ার মৌজা নিলামে খরিদ করেন। এই সময় তিনি ভূতের দিয়ার মৌজাকেই নতুনভাবে 'সিরাজগঞ্জ' নামে নামকরণ করেন। খ্রিষ্টীয় সপ্তম শতাব্দীর পর থেকেই ময়মনসিংহের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল অর্থাৎ সিরাজগঞ্জ, জামালপুর, টাঙ্গাইল, গাজীপুর, বছরের প্রায় আট থেকে নয় মাস পানির নিচে থাকত। ফলে জনবসতি ছিল কম। ১৭৭২ খ্রিষ্টাব্দে সিরাজগঞ্জকে ময়মনসিংহ জেলার থানায় উন্নীত করা হয়। ১৮৪৫ খ্রিষ্টাব্দে পাবনা জেলার পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্ত হিসাবে যমুনা নদীকে স্থির করা হয় এবং এ নদীর গতি ধারায় পরিবর্তনের দরুন ১৮৫৫ সালে সিরাজগঞ্জ থানাটি ময়মনসিংহ থেকে নিয়ে পাবনার সাথে সংযুক্ত করা হয়। [ দেখুন : পাবনা জেলার ইতিহাস]

১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দের ভারত বিভাজনের সময় পাবনা জেলার মহকুমা হিসাবে সিরাজগঞ্জ পূর্ব-পাকিস্তানের অংশে পড়ে।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ১৯৮৪ খ্রিষ্টাব্দের ১লা এপ্রিলে সিরাজগঞ্জ মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হ্য়।

বর্তমানে সিরাজগঞ্জ জেলাটি ৯টি উপজেলায় বিভক্ত। এগুলো হলো- বেলকুচি, কামারখন্দ, চৌহালি, কাজীপুর, রায়গঞ্জ, শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ সদর, তাড়াস, এবং উল্লাপাড়া।

দর্শনীয় স্থান
যমুনা সেতুর পাড়, সায়েদাবাদ।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কুটিবাড়ী, শাহজাদপুর
শাহজাদপুরের মখদুমিয়া জামে মসজিদ বা 'দরগাহ মসজিদ'
এনায়েতপুরী পীর সাহেবের মাজার এবং মসজিদ, চৌহালি।
শিব মন্দির, তারাশ।
নবরত্ন মন্দির, উল্লাপাড়া।


সূত্র :
বিশ্বকোষ। একাদশ ভাগ। শ্রীনগেন্দ্রনাথ বসু কর্ত্তৃক সঙ্কলিত ও প্রকাশিত। ১৩০৭ বঙ্গাব্দ।
http://www.dcsirajganj.gov.bd/  
http://www.banglapedia.org/httpdocs/HTB/105344.htm