|
গারো পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ নক্রেক্ |
গারো
পাহাড়
পদ :
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
পর্বত
|
প্রাকৃতিক উত্থান
|
ভূতত্ত্বীয় স্তরসমষ্টি
|
দৈহিক লক্ষ্যবস্তু
|
দৈহিক সত্তা
|
সত্তা
|}
ভারত
প্রজাতন্ত্রের
মেঘালয় রাজ্যের গারো-খাসিয়া পাহাড়ের একটি অংশ। এর অংশবিশেষ বর্তমানে
ভারত
আসাম
রাজ্যে এবং
বাংলাদেশের
শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ি উপজেলায় রয়েছে। এর ভৌগোলিক অবস্থান ৮৯°৫০´
পূর্ব হতে ৯০°৫০´ পূর্ব অক্ষাংশ এবং ২৮°০৮´ উত্তর হতে ২৬°০১´ উত্তর দ্রাঘিমাংশ।
এর আয়তন প্রায় ৮১৬৭ বর্গকিলোমিটার। এই পাহাড়ের সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম
নক্রেক। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ৪,৬৫২ ফুট।
এই ঘন পাহাড়ি গাছে আবৃত।
এর ২০০ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে সংরক্ষিত বনভূমি। এই বনভূমির প্রধান উদ্ভিদ
শাল
ও সেগুন। এছাড়া রয়েছে বাঁশ, বেত-সহ নানা ধরনের মূল্যবান গাছ।
প্রাণিকুলের ভিতরে রয়েছে নানা প্রজাতির পাখি ও সাপ, বন্য হাতি, হরিণ, বাঘ, বন্য
শুকর।
বনভূমিতে রয়েছে অসংখ্য ঝর্না এবং পাহাড়ি নদী। এর ভিতরে উল্লেখযোগ্য নদীগুলো হলো
সিমসাং, সোমেশ্বরী, গণেশ্বরী, ঝিনারী, কৃষ্ণাই, দুধনাই, ভোগাই, নিতাই, রংরা ইত্যাদি।
এই পাহাড়ের দীর্ঘতম নদী হলো সিমসাং।
এই পাহাড়ে প্রধান
বাসিন্দা
গারো জাতি।
মেঘালয় রাজ্যের অন্তর্গত ঈস্ট গারো হিলস, ওয়েস্ট গারো হিলস এবং সাউথ গারো হিলস
নামক তিনটি জেলায় অধিকাংশ গারো বসবাস। পাহাড়ের অনেক জায়গায় উচ্চ সমভূমি আছে। এই সব
সমভূমিতে প্রচুর পরিমাণ ধান ও অন্যান্য শস্য উৎপন্ন হয়। এছাড়া গারোরা জুম পদ্ধতিতে
অনেক স্থানে ধান চাষ করে থাকে।
এই
পাহাড়ে রয়েছে মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলং। এই পাহাড়ের পশ্চিম প্রান্তে তুরা নামক
একটি শহর অবস্থিত।