লোহিত সাগর
ইংরেজি:
Red Sea
ভৌগোলিক অবস্থান: ২২
° উত্তর ৩৮°পূর্ব।

লোহিত সাগরে পানিতে ট্রিকোডেসামিয়াম ইরিথ্রিয়াম
(Trichodesmium erythraeum) এমন এক ধরনের সাইনোব্যাকটেরিয়া রয়েছে। এদের প্রভাবে সাগরে পানি রং লালচে-বাদামী রঙ ধারণ করে। এই কারণে একে লোহিত সাগর বলা হয়।

এটি প্রায় ভূখণ্ড দ্বারা বেষ্টিত একটি সাগর।  একে ভারত মহাসাগরের বর্ধিত অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই সাগরটি
এশিয়া আফ্রিক মহাদেশকে পৃথক করেছে। এর দক্ষিণে বাব এল মান্দের প্রণালী। এই প্রণালী লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরকে যুক্ত করেছে। আর এডেন উপসাগর আবার যুক্ত হয়েছে  ভারত মহাসাগরের সাথে। লোহিত সাগরের উত্তরাংশ রয়েছে মিশরের সিনাই উপদ্বীপ। এই উপদ্বীপের পূর্বে অবস্থিত তিরান দ্বীপ। সিনাই উপদ্বীপ এবং তিরান দ্বীপের মধ্যে রয়েছে তিরান প্রণালী। এই প্রণালীর দ্বারা লোহিত সাগর যুক্ত হয়েছে আকাবা উপসাগর। এই সাগরের উত্তর-পশ্চিমাংশ যুক্ত হয়েছে সুয়েজ উপসাগরের সাথে।

এর উত্তরে রয়েছে
মিশরের সিনাই উপদ্বীপ এবং পূর্ব-প্রান্তের বিশাল অংশ জুড়ে রয়েছে সৌদি আরব, আর পূর্ব-দক্ষিণের রয়েছে ইয়েমেন। ইয়েমেনের দক্ষিণাংশে তিরানা প্রণালীর ওপারে রয়েছে জিবুতি এবং ইর্ত্রিয়ার দক্ষিণাংশ এবং পূর্বে রয়েছে সুদান ও মিশর

লোহিত সাগরের আয়তন প্রাণ ১,৭৪,০০০ বর্গকিলোমিটার। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১৯,০০০ কিলোমিটার আর প্রস্থ সর্ব্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার। এর গড় গভীরতা ৫০০ মিটার। তবে এর মধ্যভাগে সর্বোচ্চ গবীরতা প্রায় ২,৫০০ মিটার। সাগরে অভ্যন্তরে রয়েছে প্রশস্ত মহীসোপান।

বাষ্পীভবন ও প্রবল বায়ুপ্রবাহের কারণে লোহিত সাগর লবণাক্ত সাগরের অধিকতর লবণাক্ত। এর লবণাক্ততা ৩.৬% থেকে ৩.৮%।

এই সাগরে প্রায় ২০০ প্রকার শক্ত ও নরম প্রবাল পাওয়া যায়। এছাড়া প্রায় ১০০০ প্রজাতির অমেরুদণ্ডী প্রাণী বাস করে।


সূত্রঃ