সমাস
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
|
ব্যাকরণগত শ্রেণি
|
সমগোত্রীয়
শ্রেণি
|
সংকলন
|
দল
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত সত্তা
|
সত্তা
|}
বাংলা ব্যাকরণের রূপতত্ত্বের বিষয়। সংস্কৃত পাণিনি ব্যাকরণ অনুসারে শব্দের
ব্যাখার একটি অধ্যায়। ব্যাকরণ কৌমুদির মতে–
পরস্পর সম্বন্ধবিশিষ্ট দুই বা বহু
পদের একপদীভাব, অর্থাৎ একপদ হইয়া যাওয়া, তাহাকে সমাস বলে। এই গ্রন্থে এর ইংরেজি
করা হয়েছে–Compound।
মূলত ইংরেজি ভাষায় যথাযথ বাংলা বাংলা সংস্কৃতের মতো সমাস পাওয়া যায় না।
সমাসের পদ এর সম্মিলন ইত্যাদির বিচারে কিছু পারিভাষিক শব্দ ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
যেমনে– উত্তরপদ, পরপদ, পূর্বপদ, বিগ্রহবাক্য, ব্যাসবাক্য, সমস্যমানপদ, সমস্তপদ।
পূর্বপদ, পরপদ (উত্তরপদ) : যে সকল পদ নিয়ে সমাস তৈরি
হয়, তার প্রথম পদকে বলা হয় পূর্বপদ। পূর্বপদের পরবর্তী পদগুলিকে পরপদ বা
উত্তরপদ বলা হয়। যেমন– তুষারের ন্যায় ধবল/তুষারধবল এখানে তুষার পূর্বপদ এবং ধবল পরপদ বা উত্তরপদ। |
|
সমস্যমান পদ : যে সকল পদ নিয়ে সমাস তৈরি হয়,
তাদের প্রত্যকটিকে সমস্যমান পদ বলা হয়। যেমনে– রাজার পুত্র=রাজপুত্র। এখানে রাজার এবং পুত্র শব্দ দুটি হবে সমস্যমান পদ। |
|
সমস্তপদ : যে সকল পদের সমন্বয়ে সমাসবদ্ধ পদের সৃষ্টি
হয়, তাকে সমস্তপদ বলে। যেমন– পঙ্কে জন্মে যে=পঙ্কজ। এখানে পঙ্কজ সমস্তপদ বা সমাসসাধিত পদ। |
|
ব্যাসবাক্য : সমাসের অর্থ বোঝার জন্য যে বাক্য
ব্যবহার করা হয়, তাকে ব্যাসবাক্য বলা হয়। এর অপর নাম
বিগ্রহবাক্য। যেমন– পঙ্কে জন্মে যে=পঙ্কজ। এখানে 'পঙ্কে জন্মে যে' বাক্যটিকে বলা হয় ব্যাসবাক্য। |
|
সমাসের
প্রকরণসমূহ
:
অব্যয়ীভাব
কর্মধারয়
তৎপুরুষ
দ্বিগু।
দ্বন্দ্ব
নিত্য
প্রাদি
বহুব্রীহি