১৭৯০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে অঙ্কিত বিলাবল রাগ |
উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে বিলাবল ঠাটের রাগ বিশেষ। সঙ্গীতরত্নকারের মতে প্রাচীন
ককুভ নামক গ্রাম রাগের ভাষা রাগ ছিল ভোগবর্ধনী। এই ভোগবর্ধনী থেকে এই রাগের উৎপত্তি
ঘটেছিল। এই রাগের সাথে দক্ষিণ ভারতের শঙ্কারাভরণ রাগের স্বরগত মিল আছে।
এই রাগের সব স্বর শুদ্ধ। উত্তর ভারতে এই নানা ধরনের বিলাবল প্রচলিত আছে। এ সকল রাগের মূল কাঠামো হিসেবে শুদ্ধ বিলাবল পাওয়া যায়।
তবে স্বতন্ত্র বিলাবল রাগের পরিবেশন প্রায় দেখাই যায় না। অনেকে মনে করেন যে, শুদ্ধ বিলাবল মূলত বিলাবল অঙ্গ।
এই অঙ্গের সাথে আরও কিছু সুরশৈলী বা বিশেষ প্রক্রিয়ায় অন্য স্বরে প্রয়োগে সৃষ্টি
হয়েছে আলাহিয়া বিলাবল, নট বিলাবল, শুক্ল বিলাবল, বঙ্গাল বিলাবল, হেম বিলাবল
ইত্যাদি। সেনী ঘরানায় রেখাব ও পঞ্চম বর্জিত একপ্রকার বিলাবল অঙ্গের গীত পাওয়া যায়।
বিলাবলের এই রূপটিকে বলা হয় ঔড়ব বিলাবল।
সেনী ঘরানায় এই রাগে সামান্য কড়িমধ্যম ব্যবহার
করা হয়। সম্ভবত এই সূত্রে শুদ্ধ বিলাবলকে অনেকে সকালের কল্যাণ নামে অভিহিত করে
থাকেন। এর আরোহীতে বক্র নিষাদ ব্যবহার করা হয়। এর ফলে এর আরোহের চলনরূপ পাওয়া যায়- ধ ন ধ
র্স। অবরোহীতে বক্রস্বর সৃষ্টি হয়- 'গ ম র স' স্বর-সমন্বয়ে।
শুদ্ধ বিলাবলের বিস্তারের স্থান মন্দ্র ও মধ্য সপ্তক। প্রকৃতি শান্ত।
আরোহণ স র গ ম প ধ ন র্স
অবরোহণ র্স ন ধ প ম গ র স
ঠাট: বিলাবল
জাতি: সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ
বাদীস্বর: ধ
সমবাদী স্বর গ
ন্যাস স্বর: মন্দ্র সপ্তকের পঞ্চম
স্বরবিন্যাস: পন ধন র্স
অঙ্গ: উত্তরাঙ্গ
সময়: দিবা প্রথম প্রহর। মতান্তরে দিবা দ্বিতীয় প্রহর
পকড় : স র গ ম, গ, প, ম গ, ম গ র গ ম র স।
তথ্যসূত্র: