চাঁদনী কেদার
উত্তর ভারতীয় সঙ্গীতশাস্ত্রে বর্ণিত রাগ বিশেষ। কল্যাণ ও বিলাবল ঠাটের বিচারে এই রাগের দুটি প্রকরণ পাওয়া যায়।

কল্যাণ ঠাটের চাঁদনী কেদার
কল্যাণ ঠাট থেকে উৎপন্ন ঔড়ব-সম্পূর্ণ জাতীয় রাগ। এর আরোহণে ঋষভ ও নিষাদ বর্জিত। অবরোহণে সকল স্বরই ব্যবহৃত হয়। এই রাগে উভয় মধ্যম ব্যবহৃত হয়। এই রাগে গান্ধার গুপ্ত, বক্র এবং দুর্বল। রাগটির প্রকৃতি শান্ত।

          
আরোহণ:  স হ্ম প ধ ন র্স।
          
অবরোহণ : র্স ন ধ প, ধ প হ্ম, মর স।
          
ঠাট কল্যাণ
          
জাতি : ঔড়ব-ষাড়ব।
          
বাদীস্বর : মধ্যম।
          
সমবাদী স্বর : ষড়্‌জ।
           অঙ্গ :  পূর্বাঙ্গ।
          
সময় : রাত্রি প্রথম প্রহর।
         পকড় : ধ ন ধ প, ধ প ম, হ্ম র, স।  

মূলত এই রাগ অনেকটাই কেদারা রাগের মতো। কেউ বলে থাকে যে, কোমল নিষাদ এবং শুদ্ধ গান্ধার এই রাগে কৌশলে ব্যবহার করা হয়। অনেকের মতে শুদ্ধ নিষাদের পরিবর্তে কোমল নিষাদকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। জয়পুর-অত্রৌলী ঘরানায় এই রাগের আরোহণে শুদ্ধ গান্ধারের প্রয়োগ প্রবল হয়ে থাকে। ধ প-ধ সুরশৈলীকে প্রায় অগ্রাহ্য করা হয়।

বিলাবল ঠাটের চাঁদনী কেদারা (কেদার)
সঙ্গীতবিজ্ঞান প্রকাশিকা পত্রিকার ৮ম বর্ষ, ৩য় সংখ্যায় প্রকাশিত ওস্তাদ কাদের বক্স বিলাবল ঠাটের অন্তর্গত এই রাগের বিবরণ দিয়েছিলেন, তা হলো-

আরোহণ:  স গ ম র্স।
অবরোহণ : র্স ন ধ ণ ধ প ম গ র স।
ঠাট বিলাবল
জাতি : ষাড়ব (ঋষভ বর্জিত)- সম্পূর্ণ
বাদীস্বর : মধ্যম।
সমবাদী স্বর : ষড়্‌জ।
অঙ্গ :  পূর্বাঙ্গ।
সময় : রাত্রি প্রথম প্রহর।

কাদের বক্সের মতে, এই রাগে গান্ধার দুর্বল এবং ধৈবত প্রবল। দুই নিষাদ ব্যবহৃত হয়।
[সঙ্গীত-বিজ্ঞান পত্রিকার নমুনা]


সূত্র :