নারায়ণী
উত্তর ও দক্ষিণ ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে এই রাগ পাওয়া যায়। উত্তর ভারতীয় পদ্ধতিতে এই রাগের আরোহণে দুর্গা এবং অবরোহণে দেশগোরখ-কল্যাণ রাগের ছায়া পাওয়া যায়। কোনো কোনো জায়গায় মল্লারের সাথে মেলে।
আরোহণ: স, র ম, প, ধ, র্স
অবরোহণ: র্স, ণ ধ প ম, র স
ঠাট খাম্বাজ জাতি: ঔড়ব (গান্ধার, নিষাদ  বর্জিত)- ষাড়ব (অবরোহণে গান্ধার বর্জিত)।
বাদীস্বর: স
সমবাদী স্বর: প
অঙ্গ:  পূর্বাঙ্গ।
সময়: রাত্রি দ্বিতীয় প্রহর।
পকড় : র্স ণধ মপ, ণ ধ প, পমপ র, সর মর ধস।
 
ভারতবর্ষ পত্রিকার 'কার্তিক ১৩৪৬' সংখ্যায় [পৃষ্ঠা: ৭০৩-৭০৪] নারায়ণী রাগে নিবদ্ধ নজরুল সঙ্গীত 'নারয়ণী উমা খেলে হেসে হেসে'-এর স্বরলিপি প্রকাশিত হয়েছিল। স্বরলিপিকার ছিলেন জগৎ ঘটক। এই স্বরলিপির পাদটীকায়- নারায়ণী রাগ সম্পর্কে স্বরলিপিকার লিখেছিলেন-
'এই রাগ আমাদের দেশে অপ্রচলিত কিন্তু কর্ণাটদেশে ইহার চলন বেশ দেখা যায়। নানা কারণে অনেক রাগরাগিণী গায়কমহলে অব্যবহৃত হইয়া আসিতেছে; ইহার ফলে সকল রাগ-রাগিণী বিলুপ্তপ্রায় হইতে চলিয়াছে। এই সকল রাগ-রগিণীর সংখ্যা কম নহে। ইহাদের কতকগুলির লক্ষণ প্রাচীন গ্রন্থে পাওয়া যায়; কতকগুলি বিশিষ্ট গায়ক বা ওস্তাদগণ শুধু আপনরাই গাহিয়া। থাকেন,- (এ সকল রাগ ক্রমে ক্রমে অপ্রচলিত হইয়৷ আসায়, দুষ্প্রাপ্য হইয়া উঠিতেছে দেখিয়া উহাঁদের অনেকেই এ সকল রাগের প্রসার কমাইয়া আপনাদের মধ্যেই গণ্ডীবদ্ধ করিয়া রাখিবার নিমিত্ত অপরকে শিখাইতে অনিচ্ছুক); এবং এই সব অপ্রচলিত রাগের কতকগুলি এখনও কর্ণাটের মত কোন কোন প্রদেশে সমধিক প্রচলিত দেখ! যায়।

    “নারায়ণী”- খাম্বাজ ঠাটের ও ওড়ব-খাড়ব জাতীয়। সকল সময়েই গাওয়া হয়। বাদী-সা; সম্বাদী-পা। -স্বরলিপিকার'।

সূত্র: