নৌরোচ্‌কা/নভরোচিকা
পারশ্য থেকে আহরিত একটি রাগ। এই রাগটি আমির খসরু এই রাগটি ভারতে প্রচলন করেছিলেন। পারশ্যে এই রাগের নাম 'নওরোজ'। ভারতে এই রাগটি প্রথম দিকে নৌরোজকা নামে পরিচিত ছিল। পরে এই নাম পরিবর্তিত হয়ে দাঁড়িয়েছিল নৌরোচ্‌কা। এই নামটি পরে কেউ কেউ উল্লেখ করেছেন নবরচিকা। কাজী নজরুল ইসলাম এই রাগের নামকরণ করেছিলেন নৌরচ্কা। নজরুলের পাণ্ডুলিপি থেকে এই রাগের যে পরিচয় পাওয়া যায়, তা হলো-
 
আরোহণ স র গ,ধ্্,্, বা গ ম প ধ
অবরোহণ : ধ প গ ম বা, ধ প
ঠাট: বিলাবল
জাতি: সম্পূর্ণ-ষাড়ব।
বাদীস্বর: ষড়্‌জ
সমবাদী স্বর: পঞ্চম
প্রকৃতি: শান্ত
নজরুলের বিবরণ অনুসারে জানা যায়, এর অবরোহ নিষাদ বর্জিত। এই রাগ মন্দ্র ও মধ্য সপ্তকে গাওয়া উচিৎ। হেমকল্যাণ রাগের সাথে এর মিল আছে। তবে হেমকল্যাণের আরোহীতে ধৈবত ও নিষাদ বর্জিত।

১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের পূর্বে এই রাগটি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। লুপ্তরাগ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে  কাজী নজরুল ইসলাম এবং সুরেশ চক্রবর্তী উদ্যোগে কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে 'হারামণি' নামক একটি ধারাবাহিক অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হতো। এই অনুষ্ঠানের ১১শ আসরে রামদাসী -মল্লার রাগে নিবদ্ধ নজরুল ইসলামের রচিত একটি গান প্রচারিত হয়েছিল। গানটি হলো-


তথ্যসূত্র: