"যাঁরা সঙ্গীত সম্বন্ধে গবেষণা করেছেন, তাঁরা জানেন কত অপ্রচলিত রাগ রাগিণী ওস্তাদজীদের ঘরোয়ানা পেটিকায় অন্ধকার ভেদ করে দিনের আলোকে দেখা দিতে আরম্ভ করেছে। যাঁরা এই উদ্ধার সাধনে লিপ্ত আছেন, তাঁরা আমাদের বরেণ্য। কবি নজরুল ইসলাম এই শ্রেণীর একজন লুপ্ত রত্নোদ্ধারের কর্ম্মী। তিনি বহু অপ্রচলিত রাগ-রাগিণীকে বাংলা গানের ভিতর দিয়ে রূপায়িত করে তুলেছেন। কবি ও সুরকার, এই দুই জাতীয় প্রতিভার সৃজনী শক্তিকে সেই সঙ্গীতগুলি বাংলার সঙ্গীতকে সমৃদ্ধি দান করেছে। এবার ৮ই অক্টোবর রবিবার সন্ধা ৭-১০ মিনিটে তিনি 'আহীর ভৈরব' রাগের সঙ্গে আমাদের শ্রোতৃবৃন্দের সঙ্গে পরিচয় স্থাপন করাবেন। সঙ্গীততত্ত্বে বিশেষজ্ঞ সুরেশ চক্রবর্তী মহাশয়ের সহযোগিতায় এই 'হারামণি' বহু শ্রোতার চিত্তে স্নিগ্ধ আলোক সম্পাত করবে এই আমাদের বিশ্বাস।"বেতার জগৎ পত্রিকার ১০ম বর্ষ ১৯শ সংখ্যায় [পৃষ্ঠা: ৭৫১] মুদ্রিত অনুষ্ঠান সূচী থেকে প্রাপ্ত তথ্য
Calcutta 1. Transmisission II.
হারামণি-৫:
বেতার জগৎ পত্রিকার ১১শ বর্ষ, ৩য় সংখ্যা। [পৃষ্ঠা: ১৫৬] মুদ্রিত অনুষ্ঠান সূচী থেকে প্রাপ্ত তথ্য
সম্প্রচার কেন্দ্র: কলকাতা বেতার কেন্দ্র
সম্প্রচারের তারিখ ও সময়: বুধবার। ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৪০। ১ ফাল্গুন ১৩৪৬।
সান্ধ্য অধিবেশন। সন্ধ্যা ৭-২৫-৭.৪৪ মিনিট।
বিষয়:
বিরাট ভৈরব।
সংগঠক:
কাজী নজরুল ইসলাম এবং
সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী।
পরিবেশিত নজরুল সঙ্গীত: জাগো বিরাট ভৈরব যোগ সমাধি মগ্ন
[তথ্য]
সূত্র:
'...কবি নজরুল ইস্লাম কতকগুলি অধুনালুপ্ত রাগ-রাগিণীর পরিচয় দিচ্ছেন কিছুদিন থেকে। তিনি এই "হারামণি" পর্যায়ে ভৈরব রাগের বিভিন্ন রূপ যথা- আহীর ভৈরব, সৌরাষ্ট্র ভৈরব প্রভৃতি রাগ সম্বন্ধে আলোচনা করেছেন। এবারে তিনি ১০ই এপ্রিল সন্ধ্যা ৭.-১৫ মিনিটে বাঙাল-ভৈরব রাগের পরিচয় প্রদান করবেন। ভৈরব রাগের এই বিশিষ্ট রূপটিকে নিখুঁৎ করে ফুটিয়ে তোলবার জন্য সুরেশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী সর্ব্বোতোভাবে তাঁর সাহচর্য্য করবেন। আমরা আশা করি, সঙ্গীত-রসপিপাসু শ্রোতৃবৃন্দ এই অপূর্ব্ব-সুন্দর অনুষ্ঠানটির কথা বিস্মৃত হবেন না।'
বেতার জগৎ পত্রিকার ১১শ বর্ষ, ৭ম সংখ্যার অনুষ্ঠানসূচী [পৃষ্ঠা: ৩৭৬] থেকে
এই অনুষ্ঠান সম্প্রচার বিষয়ে যা জানা যায়, হলো-
সম্প্রচার কেন্দ্র: কলকাতা বেতার কেন্দ্র
সম্প্রচারের তারিখ ও সময়: বুধবার, ১০ এপ্রিল ১৯৪০
(২৮ চৈত্র ১৩৪৬)। সান্ধ্য অধিবেশন। ৭.১৫-৭.৩৪ মিনিট।
বিষয়: রাগ
বাঙ্গাল-ভৈরব।
সংগঠক:
কাজী নজরুল ইসলাম এবং
সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী।
পরিবেশিত নজরুল সঙ্গীত:
হারমানি'র অনুষ্ঠান শুরুর দিকে কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে বলা হয়েছিল যে, প্রতি মাস হারামণির একটি করে অধিবেশন হবে। কিন্তু মে মাসে নজরুলের রচিত একাধিক অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছিল। সম্ভবত এই কারণে হারামণি'র নতুন আসর বাদ দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য এই মাসে কলকাতা বেতার থেকে প্রচারিত অনুষ্ঠানগুলো ছিল-
সুগোপন (নাটিকা)। ৩ মে
কবিতা পাঠ (রবীন্দ্রনাথের জন্মদিন উপলক্ষে)। ৮ মে
নবরাগ মালিকা (নজরুল সৃষ্ট রাগ-ভিত্তিক সঙ্গীতানুষ্ঠান)। ১১ মে
জাগো সুন্দর কিশোর (শিশু-কিশোরদের জন্য রচিত সঙ্গীতালেখ্য)। ২৪ মে
বাংলার গ্রাম (লোকসঙ্গীত-ভিত্তিক সঙ্গীতালেখ্য)।
২৫ মে
হারামণি -৮:
বেতার জগৎ পত্রিকার ১১শ বর্ষ, ১২শ সংখ্যার অনুষ্ঠানসূচী [পৃষ্ঠা: ৬৭১] থেকে
এই অনুষ্ঠান সম্প্রচার বিষয়ে যা জানা যায়, হলো-
সম্প্রচার কেন্দ্র: কলকাতা বেতার কেন্দ্র
সম্প্রচারের তারিখ ও সময়: রবিবার, ৩০ জুন ১৯৪০ (১৬ আষাঢ় ১৩৪৭)। সান্ধ্য অধিবেশন।
৮-০০-৮. ১৯ মিনিট।
বিষয়: রাগ
ধানশ্রী। ভৈরবী
ঠাট।
সংগঠক:
কাজী নজরুল ইসলাম এবং
সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী।
পরিবেশিত নজরুল সঙ্গীত:
সন্ধ্যামালতী
যবে ফুল বনে ঝুরে [তথ্য]
সম্প্রচার কেন্দ্র: কলকাতা বেতার কেন্দ্র
সম্প্রচারের তারিখ ও সময়: বৃহস্পতিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৪০ (২২ শ্রাবণ ১৩৪৭)। সান্ধ্য অধিবেশন।
৬-০৫-৬-১৯ মিনিট।
বিষয়: রাগ
রামদাসী মল্লার।
রূপ বিশ্লেষণ ও ব্যাখ্য: কাজী নজরুল ইসলাম এবং সুরেশ চক্রবর্তী।
পরিবেশিত নজরুল সঙ্গীত: কার ঝর ঝর বর্ষণ বাণী ( ঝর ঝর বর্ষণ বাণী) [তথ্য]
সূত্র:'দেশে বহু রাগরাগিনী অপ্রচলিত হ'তে হ'তে প্রায় বিলুপ্ত হ'য়ে এসেছে;-এই সব রাগিনীর পরিচয় দিয়ে থাকেন কবি নজরুল ও সুরেশচন্দ্র চক্রবর্ত্তী। এঁরা বহু লুপ্তপ্রায় রাগ-রাগিনীর পুনরুদ্ধার ক'রে হিন্দুস্তানী সঙ্গীতে বিশেষ আলোকপাত করেছেন। এবারে এঁদের আলোচ্য রাগ-ভিখার। এই অনুষ্ঠানটির অধিবেশন হবে ৩০শে অক্টোবর বুধবার সন্ধ্যা সাতটায়।
হারামণি ২৪: ১৯৪১
খ্রিষ্টাব্দের ২২শে সেপ্টেম্বর (সোমবার ৬ আশ্বিন ১৩৪৮)
সন্ধ্যা ৮.১০টা থেকে ৮.২৯টা
পর্যন্ত কলকাতা ক-এর তৃতীয় অধিবেশনে 'হারামণি'র
২৪তম
অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। এই অধিবেশনে পরিবেশিত হয়েছিল রাগ 'দেওরঞ্জনী'।
এই
অনুষ্ঠানে কোন গানটি পরিবেশিত হয়েছিল তা জানা যায় নি। এই অনুষ্ঠানের বিষয়টি রচনা করেছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম
এবং ব্যাখ্যা করেছিলেন সুরেশচন্দ্র চক্রবর্তী। এই অনুষ্ঠানে কোন গানটি
পরিবেশিত হয়েছিল তা জানা যায় নি।
[সূত্র:
The Indian Listener. 1941. Vol-VI-18. page 59]
হারমাণি ৩০, ৩১ ৩২
(মার্চ, এপ্রিল, মে) সম্পর্কে বিষয়ে কিছু জানা যায় নি।