নীলাম্বরী
উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতির রাগ বিশেষ। প্রাচীন ভারতীয় রাগশাস্ত্র মতে এই রাগট
ষড়্জ
গ্রামের
উত্তরমন্দ্রা
মূর্চ্ছনা থেকে উৎপন্ন
হয়েছিল। অহোবলের সঙ্গীত পারিজাতে উল্লেখ আছে- এর বাদী স্বর
পঞ্চম, তারার ষড়্জ সম্বাদী। ন্যাস স্বর মধ্যম। কোনো কোনো মতে গান্ধার অংশস্বর হয়।
এক্ষেত্রে ন্যাস স্বর হয় ঋষভ। আর যদি অংশ স্বর ষড়্জ হয়, তা হলে ন্যাস
হয় নিষাদ।
এতে ষড়জ থেকে পঞ্চম পর্যন্ত মীড় পাত হয়।
দক্ষিণ ভারতী সঙ্গীতে এই রাগের চলনের সাথে উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতির চলনে
পার্থক্য রয়েছে।
দক্ষিণ ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে এই রাগটি শংকরাভরণ্ (ভিন্ন নাম ধীরশঙ্করাভরণ্) মেলের
অন্তর্গত। এর আরোহণ-অবরোহণ-
আরোহণ: স,
গ ম প
ন, র্স
অবরোহণ: র্স,
ন প
ধ ন প ম গ র ম গ র গ স
উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে এই রাগটি কাফি ঠাটের অন্তর্গত।
রাজা নওয়াব আলী খান রচিত মারিফুন্নাগমাত-এ এই রাগের বিস্তারিত পরিচয় দেওয়া
হয়েছে। এই পরিচয়ের আলোকে এই রাগের কাঠামোগত যে বিবরণ পাওয়া যায়, তা হলো-
আরোহণ:
স,
র জ্ঞ ম প ণ, র্স
অবরোহণ:
র্স,
ণ ধ প ম জ্ঞ র স
ঠাট:
কাফি
জাতি: ষাড়ব- সম্পূর্ণ ।
বাদীস্বর: প
সমবাদী স্বর: র্স
অঙ্গ:
পূর্বাঙ্গ।
সময়:
রাত দ্বিতীয় প্রহর।
পকড় : সর দ্ স, র ণ্
ধ স।
এই রাগের আরোহে ধৈবত বর্জন
করা উচিৎ। এর আরোহে অনেকে তীব্র গান্ধার ব্যবহার করে থাকেন।
সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য এই রাগে গান্ধার ব্যবহার করলে, এই
রাগের রূপ নষ্ট হয় না। মধুমাদ এবং ভীমপলশ্রীর
সাথে এই রাগের মিল পাওয়া যায়।
তথ্যসূত্র:
- সঙ্গীত-পারিজাত। অহোবল।
- মারিফুন্নাগমাত। রাজা নওয়াব আলী খান। অনুবাদ মকসুদুর রহমান।