আহির ভৈরব
উত্তর ভারতীয়
সঙ্গীত পদ্ধতিতে
ভৈরব ঠাটের অন্তর্গত রাগ বিশেষ।
ঋষভ ও নিষাদ কোমল। এর প্রকৃতি গম্ভীর। প্রথাগতভাবে উত্তরভারতীয় রাগসঙ্গীতের দশ ঠাটের ভিতর ফেলা যাব না।
এর প্রকৃতি ভৈরবের মতো বলে, একে ভৈরব ঠাটের রাগ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। ভৈরবের মত এই
রাগে মঋ বা গ, মঋ স্বরসঙ্গতি হয়ে থাকে।
আরোহণ : স ঋ গ ম প ধ ণ র্স
অবরোহণ: র্স ণ ধ ণ ধ প ম গ ঋ স
ঠাট:
ভৈরব
জাতি: সম্পূর্ণ-সম্পূর্ণ
বাদীস্বর: ম
সমবাদী স্বর : স
অঙ্গ: উত্তরাঙ্গ।
সময় : দিবা প্রথম প্রহর (প্রাতঃকালে গাওয়া হয়)
পকড় : স, ধ্ ণ্
ঋ স
১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের পূর্বে এই রাগটি প্রায় লুপ্ত হয়ে গিয়েছিল।
কাজী
নজরুল ইসলাম ও সুরেশ চক্রবর্তীর উদ্যোগে লুপ্ত
রাগের পুনরুদ্ধার এবং প্রচারের জন্য কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে '
হারামণি
'
নামক একটি মাসিক অনুষ্ঠান সম্প্রচারের সূচনা হয়। এই রাগের ব্যাখ্যা করেছিলেন সুরেশ
চক্রবর্তী। এই অনুষ্ঠান নজরুল এই রাগে নিবদ্ধ
স্বরচিত গান পরিবেশিন করেছিলেন। গানটি ছিল- অরুণকান্তি কে গো যোগী ভিখারি [তথ্য]
তথ্যসূত্র:
- নজরুল যখন বেতারে। আসাদুল হক। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী।
মার্চ ১৯৯৯।
- বেতারজগৎ।
১০ম বর্ষ, ১৯শ সংখ্যা। ১লা অক্টোবর ১৯৩৯। পৃষ্ঠা: ৭৫১]
- রাগ-রূপায়ণ। প্রথম খণ্ড। সুরেশচক্রবর্তী জেনারেল প্রিন্টার্স য়্যান্ড
পাব্লিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলিকাতা। পৃষ্ঠা: ৫৬-৫৮।
- The Indiann-Listener. 22 Sepetember
1939/Vol. IV No. 19. Page 1379]