ভৈরব ঠাট

উত্তর ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশাস্ত্রের ১২টি ঠাটের একটি। নামের উৎস বিচারে ভৈরব শব্দটি এসেছে ভারতীয় পৌরাণিক দেবতা মহাদেবের ভয়ঙ্কর রূপের নাম থেকে। এই বিচারে মহাদেব এবং ভৈরব সমার্থক। হিন্দুস্থানী ভাষায় একে ভৈরোঁ বলা হয়। হিন্দি অনুসরণে বাংলাতে অনেকে ভৈরোঁ বলে থাকেন।

কর্ণাটকী সঙ্গীত পদ্ধতিতে ১৫তম মেলকর্তার নাম মায়ামালবগৌড় । স্বরবিন্যাসের বিচারে উত্তর ভারতীয় শাস্ত্রীয় একে বলা হয় ভৈরব। এর কাঠমো- স ঋ গ ম প দ ন র্স।

রাগের শ্রেণিকরণে চারটি আদি মতামত পাওয়া যায়। এগুলো হলো- ব্রহ্মা, কল্পিনাথ, হনুমন্ত, ভরত মতরাগের শ্রেণিকরণে দেখা যায় আদিতে এই রাগ আরো অধীনে আরও কিছু রাগ ছিল। অধীনস্থ এই রাগগুলো ছিল ভৈরব রাগের স্ত্রী হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল। তাই এই রাগগুলোকে তখন বলা হতো- রাগিণী। উল্লিখিত চারটি মতের বিচারে ভৈরব রাগের অধীনস্ত যে রাগিণীগুলোর নাম পাওয়া যায়, তা হলো- বর্তমানে উল্লিখিত রাগিণীগুলো ভৈরব অধিকর্তার অধীনে পাওয়া যায় না। তাছাড়া এখন এর অধীনস্ত রাগগুলোকে রাগিণী বলা হয় না। বর্তমানে যে সকল রাগ এই ঠাটের অন্তর্গত বলে মান্য করা হয়, সেগুলো হলো-
তথ্যসূত্র: