অরুণ ভৈরব
কাজী নজরুল ইসলামের সৃষ্ট রাগ বিশেষ। উল্লেখ্য ১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বর মাসে, কাজী নজরুল ইসলাম উদাসী ভৈরব  নামক নাটিকাটি বেতারে অভিনয় আকারে পরিবেশনের পরিকল্পনা নেন। এই বিষয়ে জগৎ ঘটক তাঁর স্বরলিপি গ্রন্থ 'নবরাগ' -এ লিখেছেন —
'বহুকাল পূর্বের কথা। উদাসী ভৈরব  নামে একখানি নাটিকা বেতারে অভিনীত হবার জন্যে কবি আমাকে দিয়ে লিখিয়েছিলেন— এবং এর ছয়খানি গান তিনি রচনা ও তাতে সুরারোপ করেন। সুরগুলি রাগ-ধর্মী ও তাঁর সৃষ্ট নবরাগ। বাসন্তী বিদ্যাবীথির প্রয়োজনীয় নাটিকাটি বেতারে সাফল্যের সঙ্গে অভিনীত হয়েছিল। ... গানগুলি অরুণ-ভৈরব, আশা-ভৈরব, শিবানী-ভৈরবী, রুদ্র-ভৈরব, যোগিনী ও উদাসী ভৈরব।'
উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতি অনুসারে একে ভৈরবী ঠাটের অন্তর্গত রাগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর প্রকৃত ভৈরবের মতো। তাই একে ভৈরব অঙ্গের রাগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এর প্রকৃতি গম্ভীর।
আরোহণ : স গ ম, দ প ণ ধ র্স
অবরোহণ: র্স ণ ধ ণ প ম দ প ম গ ঋ স
ঠাট ভৈরব
জাতি: ষাড়ব-সম্পূর্ণ।
বাদীস্বর: ম
সমবাদী স্বর:স অঙ্গ: পূর্বাঙ্গ।
সময়: দিবা প্রথম প্রহর (প্রাতঃকালে গাওয়া হয়)।
পকড় : ধ্ ণ্ স ঋ স, স গ ম দ প ম ণ প ম গ ঋ স।

নজরুল ইসলাম এই রাগে যে গানটি রচনা করেছেন, তা হলো−