রামাদাসী-মল্লার (রাগ)

উত্তর ভারতীয় সঙ্গীত পদ্ধতিতে কাফি ঠাটের অন্তর্গত রাগ বিশেষ। এটি একটি মিশ্র-প্রকৃতির রাগ। প্রাচীন গ্রন্থাদিতে এই রাগের উল্লেখ নেই। কথিত আছে সম্রাট আকবরের সময় রামদাস নামক জনৈক বিখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ এবং  গায়ক এই রাগটি তৈরি করেছিলেন। পরে তাঁর নামে রাগটির নামকরণ করা হয়েছিল- রামদাসী মল্লার। যদিও এই রাগটির ভিত্তি নায়েকী কানাড়া। কিন্তু এর সাথে মিয়া কি মল্লার এবং গৌড় মল্লারের সাঙ্গীতিক স্বরগুচ্ছ যুক্ত হওয়ার করার ফলে মল্লার অঙ্গের ভাবটাই প্রাধান্য পায়। এই কারণে একে মল্লার অঙ্গের রাগ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আরোহণ  স র গ ম, প জ্ঞ ম, ণ  প ন র্স
অবরোহণ : র্স ণ, ধ ণ প, ম, জ্ঞ ম র স
ঠাট: কাফি
জাতি: ষাড়ব (ধৈবত বর্জিত)-সম্পূর্ণ (বক্র)।
বাদীস্বর : মধ্যম
সমবাদী স্বর: ষড়্‌জ
অঙ্গ:  পূর্বাঙ্গ।

সময়: রাত্রি দ্বিতীয় প্রহর।
রাজা নওয়াব আলী খানের রচিত 'মারিফুন্নাগমাত' গ্রন্থে বর্ণিত চলন ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের পূর্বে এই রাগটি প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। লুপ্তরাগ পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে  কাজী নজরুল ইসলাম এবং সুরেশ চক্রবর্তী উদ্যোগে কলকাতা বেতার কেন্দ্র থেকে 'হারামণি' নামক একটি ধারাবাহিক অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হতো। এই অনুষ্ঠানের ১১শ আসরে রামদাসী -মল্লার রাগে নিবদ্ধ নজরুল ইসলামের রচিত একটি গান প্রচারিত হয়েছিল। গানটি হলো-


তথ্যসূত্র: