অক্রূর (পৌরাণিক, হিন্দু)
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি
মতে—
যদুবংশের শ্বফল্কের ঔরসে কাশীরাজের কন্যা গান্ধিনীর গর্ভে ইনি জন্মগ্রহণ করেন।
এই দিক দিয়ে ইনি ছিলেন
কৃষ্ণ-এর
কাকা। প্রথমাবস্থায়
অক্রুর
কংসের
সাথে রাজ প্রাসাদে বসবাস করতেন।
কৃষ্ণ
ও
বলরামকে হত্যার জন্য
কংস
ধনুর্যজ্ঞের আয়োজন করেন। এই উৎসবে
কৃষ্ণ
ও
বলরামকে
আনার জন্য
কংস
অক্রূরকে বৃন্দাবনে পাঠান।
তিনি অক্রূর বৃন্দাবনে গিয়ে
কৃষ্ণকে
কংসের
গোপন উদ্দেশ্য জানিয়ে দেন।
এরপর কৃষ্ণ-বলরাম উক্ত অনুষ্ঠানে এসে
কংসকে
হত্যা করলে, তিনি কৃষ্ণের সাথে মথুরাতে
থেকে যান।
সেখানে তিনি
উগ্রসেনের কন্যাকে বিবাহ করেছিলেন।
এই স্ত্রীর গর্ভে তাঁর দুটি পুত্র সন্তান জন্মে।
উল্লেখ্য,
কৃষ্ণের
শ্বশুর সত্রাজিৎ-এর (সত্যভামার পিতা) কাছে একটি 'স্যামন্তক' নামক স্বর্ণ
উৎপন্নকারী মণি ছিল।
এই মণির সূত্রেই কৃষ্ণের সাথে
সত্যভামার বিবাহ হয়েছিল।
এই সময়
সত্যভামাকে
বিবাহ করার জন্য অক্রুর কৃতবর্মাসহ অনেকেই আগ্রহী ছিলেন।
কিন্তু সত্রাজিৎ কৃষ্ণের সাথে সত্যভামার বিবাহ দিলে এঁরা সত্রাজিৎকে হত্যা করে মণি
দখলের জন্য শতধন্বাকে উত্তেজিত করেন।
পরে শতধন্বা সত্রাজিৎকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করে এই মণি অধিকার করেন।
সত্যভামার কাছ থেকে কৃষ্ণ এই সংবাদ জানতে পেরে শতধন্বাকে শাস্তি দিতে অগ্রসর হন।
এই সময় শতধন্বা তাঁর কুমন্ত্রণাদাতাদের শরণাপন্ন হন।
কিন্তু কৃষ্ণের ভয়ে কেউই তাঁকে সাহায্য করতে রাজী হলেন না।
শেষে শতধন্বা অক্রুর-এর কাছে এই মণি রেখে পালিয়ে যান।
কৃষ্ণ বলরামকে সাথে নিয়ে শতধন্বাকে হত্যা করেন এবং তাঁর কাছ থেকে জানতে পারেন যে
মণিটি অক্রুর-এর কাছে আছে।
দেখুন :
শতধন্বা
পাণ্ডবদের সম্পর্কে
ধৃতরাষ্ট্রের মনোভাব জানার জন্য-
কৃষ্ণ
তাঁকে হস্তিনাপুরে দূত
হিসাবে পাঠিয়েছিলেন।
যদুবংশের ধ্বংসকালে ইনি মৃত্যুবরণ করেন।