অসুর
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা { পৌরাণিক সত্তা | কাল্পনিকসত্তা | কল্পনা | সৃজনশীলতা | দক্ষতা | জ্ঞান | মনস্তাত্ত্বিক বিষয় | বিমূর্তন | বিমূর্ত-সত্ত | সত্তা |}

বেদের প্রাচীন অংশে অসুর দেবতা সমার্থক শব্দ। এই শ্রেণিতে দৈত্য, দানবদের (দনুর পুত্র অর্থে) অন্তর্ভুক্ত করা হয়পারসিক ধর্মগ্রন্থ আবেস্তাতে একে বলা হয় আহুরবেদে ইন্দ্র, অগ্নি এবং বরুণকে অসুর বলা হয়েছে পরবর্তীকালে অসুর শব্দের অর্থ পাল্টে গেছে মহাভারতের মতে- দেবতার সাথে বিরোধ করে এবং সমুদ্র মন্থনকালে যাঁরা অমৃতের ভাগ থেকে বঞ্চিত হয় তাঁরাই অসুর নামে অভিহিত হন ঐতরেয় ও শতপথ ব্রাহ্মণের মতে, প্রজাপতির প্রাণবন্ত নিঃশ্বাস থেকে অসুর সৃষ্টি হয়েছিলবিষ্ণুপুরাণের মতে- ব্রহ্মার জঙ্ঘা থেকে অসুরদের জন্ম হয়েছিলএঁরা যাগযজ্ঞ ধ্বংস করতো এঁরা অন্ধকারের প্রতীক

অসুরদের মধ্যে তিনজনকে প্রধান হিসাবে ধরা হয় এই তিনজন অসুর হলেন- হিরণ্যকশিপু, বলি ও প্রহ্লাদএঁরা অসুরদের ইন্দ্র নামে পরিচিত এছাড়া পুরাণ-খ্যাত অসুরদের মধ্যে ছিলেন- মহিষাসুর, শুম্ভ, নিশুম্ভ, মধু, কৈটভ ইত্যাদি