বৃন্দা
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে এই নামে দুটি চরিত্র রয়েছে। যেমন―
অসুররাজ
জলন্ধরের স্ত্রী ও কালনেমির কন্যা।
ইনি অত্যন্ত পতিব্রতা ছিলেন।
দ্বাপরে তিনি রাধার সখী ছিলেন।
কৃষ্ণের লীলাভূমি বৃন্দাবন বৃন্দারই বন ছিল।
জলন্ধর
ব্রহ্মার
বরে বলীয়ান হয়ে অত্যাচারী হয়ে উঠেন।
ইনি
ইন্দ্রকে স্বর্গচ্যুত করলে,
ইন্দ্রসহ
অন্যান্য দেবতারা
মহাদেবের কাছে
আশ্রয় নেন।
এরপর
মহাদেব
জলন্ধরে
বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হন।
জলন্ধরের
স্ত্রী বৃন্দার (কালনেমির কন্যা) স্বামীর প্রাণরক্ষার জন্য
বিষ্ণুর পূজা
আরম্ভ করেন।
বিষ্ণু
জলন্ধরে
রূপ ধরে বৃন্দার কাছে উপস্থিত হন।
স্বামী অক্ষত দেহে যুদ্ধক্ষেত্র হতে ফিরে এসেছেন ভেবে বৃন্দা পূজা অসমাপ্ত রেখেই
পূজাস্থান ত্যাগ করেন।
ফলে
জলন্ধরের
মৃত্যু হয়।
বৃন্দা
বিষ্ণুর এই কপট ব্যবহারে তাঁকে শাপ দিতে অগ্রসর হলে,
বিষ্ণু তাঁকে সহমৃতা
হওয়ার পরামর্শ দেন।
এবং বর প্রদান করে বলেন যে, বৃন্দার ভস্মে তুলসী,
ধাত্রী,
পলাশ ও অশ্বত্থ―এই চার প্রকার বৃক্ষ জন্মলাভ করবে।
বৃন্দা শ্রীরাধার সখী ও দূতী।