জলন্ধর
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে―
দৈত্য বিশেষ।
একবার
ইন্দ্র
কৈলাসে
মহাদেবের
সাথে দেখা করতে যান।
সেখানে এক বিরাট আকৃতির পুরুষ দেখতে পেয়ে,
ইন্দ্র তাঁর কাছে
মহাদেবের
কথা জিজ্ঞাসা করে কোন উত্তর না পেয়ে,
ক্রুদ্ধ হয়ে তাঁর মাথায় বজ্রাঘাত করেন।
এরপর উক্ত পুরুষের মাথা থেকে এক ভীষণ আগুন বের হয়ে
ইন্দ্রকে ভস্ম করতে উদ্যত হয়।
মূলত এই পুরুষই ছিলেন মহাদেব।
ইন্দ্র
বিষয়টি বুঝতে পেরে নানারকম স্তুতিতে
মহাদেবকে সন্তুষ্ট করলে,
মহাদেব
তুষ্ট হয়ে সেই আগুন সমুদ্রে নিক্ষেপ করেন।
এর
ফলে এক বালকমূর্তি আবির্ভুত হয়।
এই বালক অবিরত কাঁদতে থাকলে
ব্রহ্মা
এর কারণ জানার জন্য সমুদ্রতীরে উপস্থিত হন। সমুদ্র এই বালককে নিজ পুত্র বলে দাবী করেন।
এরপর সমুদ্র এই বালককে প্রতিপালনের জন্য
ব্রহ্মার কাছে সমর্পণ করেন।
ব্রহ্মা
বালককে কোলে নিলে,
বালকটি দৃঢ়ভাবে
ব্রহ্মার দাড়ি আকর্ষণ করলে,
ব্রহ্মার চহ্মু দিয়ে জলধারা নির্গত হতে থাকে।
তাই
ব্রহ্মা
এই বালকের নাম রাখেন জলন্ধর।
এরপর ইনি বর দিলেন যে,
মহাদেব
ছাড়া সে সকলেরই অবধ্য হবে।
এরপর
ব্রহ্মা
তাকে তিনি অসুর রাজ্যে পাঠিয়ে দিলেন।
জলন্ধর ব্রহ্মার বরে বলীয়ান হয়ে অত্যাচারী হয়ে উঠেন। ইনি ইন্দ্রকে স্বর্গচ্যুত করলে, ইন্দ্রসহ অন্যান্য দেবতারা মহাদেবের কাছে আশ্রয় নেন। এরপর মহাদেব জলন্ধরের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হন। জলন্ধরের স্ত্রী বৃন্দার (কালনেমির কন্যা) স্বামীর প্রাণরক্ষার জন্য বিষ্ণুর পূজা আরম্ভ করেন। বিষ্ণু জলন্ধরের রূপ ধরে বৃন্দার কাছে উপস্থিত হন। স্বামী অক্ষত দেহে যুদ্ধক্ষেত্র হতে ফিরে এসেছেন ভেবে বৃন্দা পূজা অসমাপ্ত রেখেই পূজাস্থান ত্যাগ করেন। ফলে জলন্ধরের মৃত্যু হয়। বৃন্দা বিষ্ণুর এই কপট ব্যবহারে তাঁকে শাপ দিতে অগ্রসর হলে, বিষ্ণু তাঁকে সহমৃতা হওয়ার পরামর্শ দেন। এবং বর প্রদান করে বলেন যে, বৃন্দার ভস্মে তুলসী, ধাত্রী, পলাশ ও অশ্বত্থ―এই চার প্রকার বৃক্ষ জন্মলাভ করবে।