হিড়িম্ব ও হিড়িম্বা
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা
|
কল্পনা
|
সৃজনশীলতা
|
দক্ষতা
|
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক
কাহিনি মতে রাক্ষস ও রাক্ষসী বিশেষ।
জতুগৃহে
পাণ্ডবরা
রক্ষা পাওয়ার পর
বিদুরের
সহায়তায় তাঁরা গঙ্গা নদী পার হয়ে জঙ্গলে
প্রবেশ করেন।
এই সময় ক্লান্ত হয়ে সকলে ঘুমিয়ে পড়লে
ভীম
একা সকলকে পাহাড়া দেওয়ার জন্য জেগে থাকেন।
এই বনেই বাস করতো হিড়িম্ব রাক্ষস। সে এঁদের খাওয়ার উদ্যোগ নিলেও পঞ্চপাণ্ডবের ভয়ে
সরাসরি আক্রমণ থেকে বিরত থাকে।
ভীমকে
কৌশলে সরিয়ে আনার জন্য,
তাঁর বোন হিড়িম্বাকে পাঠায়।
হিড়িম্বা মোহনীয় রূপ ধরে
ভীমের
কাছে আসে।
কিন্তু হিড়িম্বা নিজেই
ভীমের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়
এবং হিড়িম্বের অভিসন্ধির কথা
ভীমকে
জানায়। একই সাথে হিড়িম্বা
ভীমের
কাছে প্রেমে নিবেদন করে।
এদিকে বোনের আসতে বিলম্ব দেখে হিড়িম্ব নিজে হাজির হয়। পরে
ভীমের সাথে
যুদ্ধ হলে হিড়িম্ব নিহত হয়।
ভীম-হিড়ম্বের
যুদ্ধের সময় অন্য
পাণ্ডবরা ঘুম থেকে জেগে উঠেন।
হিড়িম্বকে হত্যা করার পর,
ভীম
হিড়িম্বাকে হত্যা করতে উদ্যত হলে, হিড়িম্বা
কুন্তীর
শরণাপন্ন হয় এবং
সে ভীমের প্রতি যে অনুরক্তা,
সে কথা জানায়।
এরপর
যুধিষ্ঠির
ও
কুন্তীর অনুগ্রহে
হিড়িম্বা ভীমের হাত থেকে রক্ষা পায়।
যুধিষ্ঠির
হিড়ম্বার সাথে শর্ত সাপেক্ষে মিলিত হওয়ার অনুমতি দেন।
শর্তটি ছিল, স্নান-আহ্নিক শেষে ভীম সারাদিন হিড়িম্বার সাথে থাকবেন,
তবে সূর্যাস্তের পূর্বে তিনি আবার পাণ্ডবদের সাথে মিলিত হবেন।
ভীমও প্রতিজ্ঞা করেন যে,
যতদিন না হিড়িম্বার গর্ভে তাঁর পুত্র জন্মাবে ততদিন তিনি হিড়িম্বার সাথে থাকবেন।
পরে ভীমের ঔরসে হিড়িম্বার গর্ভে
ঘটোৎকচ
নামক এক পুত্রের জন্ম হয়।