নহুষ
বিশেষ্য {|
পৌরাণিক সত্তা
|
কাল্পনিকসত্তা |
কল্পনা |
সৃজনশীলতা |
নৈপূণ্য |
জ্ঞান |
মনস্তাত্ত্বিক বিষয়
|
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত-সত্তা
|
সত্তা
|}
হিন্দু পৌরাণিক কাহিনি মতে—
পুরূরবা'র
ঔরসে
ঊর্বশী গর্ভে ইনি জন্মগ্রহণ করেন।
ইনি অত্যন্ত পূণ্যবান ও বীর্যবান হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন।
ইনি সাধনার দ্বারা আত্মসংযম অভ্যাস করেছিলেন।
এই কারণে ইনি গোবধ করার পরও পাপ থেকে মুক্ত হন।
কথিত আছে অতুল সম্পদের অধিকারী হয়েও ইনি বিলাসী জীবন-যাপন থেকে নিজেকে দূরে রাখতেন।
ইনি তুণ্ড নামক
দৈত্যকে হত্যা করে বীর হিসাবে খ্যাতিমান হন।
একবার
ইন্দ্র
ব্রহ্মহত্যা অভিশাপে সমুদ্রের মধ্যে বসবাস করছিলেন।
এই সময়ে রাজা নহুষকে স্বর্গের রাজা করা হয়।
নহুষ ইন্দ্রের পত্নী শচীকে অধিকার করার চেষ্টা করেন।
শচী
বৃহস্পতির
পরামর্শে নহুষকে বলেন যে,
যদি নহুষ
সপ্তর্ষি পরিচালিত রথে আরোহণ করে তাঁর কাছে আসেন,
তবেই
তিনি তাঁকে (নহুষ) গ্রহণ করবেন।
নহুষ সেই ব্যবস্থামতে রথে আরোহণ করেন।
ওই রথের সাতজন ঋষির মধ্যে,
অগস্ত্যও ছিলেন।
হঠাৎ নহুষের পা অগস্ত্যের দেহ স্পর্শ করলে,
ক্রুদ্ধ অগস্ত্য
রাজাকে সর্প হও অভিশাপ দেন।
অভিশাপগ্রস্থ নহুষ,
অগস্ত্যের কাছে
ক্ষমা প্রার্থনা করলে, অগস্ত্য বলেন,—
যুধিষ্ঠিরের
স্পর্শে সে শাপ মুক্ত হবে।
পরে বিশাখযূপ বনে
যুধিষ্ঠির-এর সংস্পর্শে ইনি অভিশাপ মুক্ত হন।