আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি :
ইউনিকোড:  u+09A6
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা {| বর্ণ | বর্ণচিহ্ন | লিখিত প্রতীক | প্রতীক | সঙ্কেতচিহ্ন | যোগাযোগ | বিমূর্তন | বিমূর্ত সত্ত | সত্তা |}
সমার্থকশব্দসমূহ (synonyms):

এই বর্ণের নাম - বাংলা বর্ণমালার ঊনবিংশ (২৯) বর্ণ,
ব্যঞ্জনবর্ণের আঠার সংখ্যক এবং ব্যঞ্জনবর্ণের পাঁচটি বর্গের তৃতীয় বর্গ -এর তৃতীয় বর্ণ

স্বাধীনভাবে উচ্চারণযোগ্য রূপ হলো- দ্ +অ=দ
এটি দন্ত্য (Dental) , ঘোষ, অল্পপ্রাণ ও স্পর্শ বর্ণ
                        শ্রবণ নমুনা

-এর লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা লিপির মতই ব্রাহ্মীলিপি থেকে দ-বর্ণটির উদ্ভূত হয়েছে প্রাচীন শিলাখণ্ডে খোদিত ব্রাহ্মীলিপিতে দ-এর চিহ্ন ছিল, বাম দিকে খোলা একটি অর্ধবৃত্ত এবং এই বৃত্তের উপর নিচে ছিল দুটি ক্ষুদ্র উলম্ব রেখা খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দী থেকে প্রথম শতাব্দী পর্যন্ত এই লিপিটি বিভিন্নভাবে পরিবর্তিত হয়েছে নিচের ছকে ব্রাহ্মীলিপিতে এই ক্রমবিবর্তনের ধারা দেখানো হলো

কুষাণলিপিতে (১০০-৩০০ খ্রিস্টাব্দ) দ-এর বিভিন্ন পরিবর্তন সাধিত হলেও ব্রাহ্মীলিপির রূপটিও প্রচলিত ছিল পরবর্তী সময়ে এই চিহ্নটি গুপ্তলিপিতে (৪০০-৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) গৃহীত হয়েছিলনিচের চিত্রে ব্রাহ্মীলিপি থেকে গুপ্তলিপি পর্যন্ত ক-বর্ণের রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো

খ্রিষ্টীয় ৬ম-৯ম শতাব্দীতে কুটিললিপিতে দ-চিহ্নটি ১০ম শতাব্দী থেকে ১৬শ শতাব্দী পর্যন্ত এর বিভিন্নভাবে পরিবর্তিত হয়েছে আধুনিক দ-এর রূপটি স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল ১৭শ শতাব্দীতে নিচে কুটিললিপি থেকে বর্তমানকাল পর্যন্ত দ-এর ক্রমবিবর্তনের রূপটি দেখানো হলো



ক্রিয়ামূল