গ
আন্তর্জাতিক ধ্বনিলিপি
:
gɔ
ইউনিকোড:
u+0997
বিশেষ্য
ঊর্ধ্বক্রমবাচকতা
{|
বর্ণ
|
বর্ণচিহ্ন |
লিখিত প্রতীক
|
প্রতীক
|
সঙ্কেতচিহ্ন
|
যোগাযোগ |
বিমূর্তন
|
বিমূর্ত
সত্তা
|
সত্তা
|}
সমার্থকশব্দসমূহ
(synonyms):
গ।
বর্ণ-পরিচিতি :
এই বর্ণের নাম
-গ
।
বাংলা
বর্ণমালার
চতুর্দশ (১৪),
ব্যঞ্জনবর্ণের
তৃতীয়
এবং ক-বর্গের তৃতীয়
বর্ণ।
স্বাধীনভাবে
উচ্চারণযোগ্য
রূপ হলো- গ্ +অ=গ।
গ-এর উচ্চারণ রীতি
এটি
ব্যঞ্জনধ্বনি। উচ্চারণ প্রকৃতির বিচারে
এটি
জিহ্বামূলীয়,
ঘোষ,
অল্পপ্রাণ
ও স্পর্শ বর্ণ।
কণ্ঠমূল থেকে উচ্চারিত হয় বলে- এটি সাধারণভাবে কণ্ঠ বর্ণ নামেও চিহ্নিত হয়ে থাকে।
ধ্বনির বিচারে গ একটি অপরিবর্তনীয় বর্ণ। এই বর্ণ অন্যবর্ণের সাথে যুক্ত হলে ধ্বনিগত পরিবর্তন ঘটে না। এই কারণেই কোনো ধ্বনির সাথে খ-ফলা যুক্ত হলে, তার উচ্চারণ অপরিবর্তিত থাকে। যেমন―
ঙ্ +গ =ঙ্গ (অঙ্গ)
য ফলা, রেফ্ এবং র-ফলা যুক্ত গ, উচ্চারণের সময়
দুইবার উচ্চারিত হয়। যেমন―
বর্গ (বর্গ্.গো)
অগ্র (অগ্. গ্রো)
শব্দে আদিতে র-ফলা যুক্ত গ, দ্বিত্ব ধ্বনি তৈরি করে না। যেমন―
গ্রাম, গ্রহ।
গ-এর লিপি পরিচিতি
অন্যান্য বাংলা লিপির মতই
ব্রাহ্মীলিপি
থেকে গ-বর্ণটি উদ্ভূত হয়েছে।
প্রমিত
ব্রাহ্মীলিপিতে
এই বর্ণটি ছিল
কোণের মতো।
খ্রিষ্ট-পূর্ব ৩০০ অব্দের দিকে
এই কোণের
ফাঁকা অংশটি ছিল ভূমির দিকে
নির্দেশিত।
পরে এর
উপরের দিকের অংশটি গোলাকারে পরিণত হয়।
নিচের ছকে ব্রাহ্মীলিপির গ-বর্ণটির পরিবর্তন দেখানো হলো।
কুষাণলিপিতে (১০০-৩০০ খ্রিষ্টাব্দ) দেখা যায় বৃত্তাকার বামবাহু হ্রস্ব হয়ে গিয়েছিল। গুপ্তলিপিতে (৪০০-৫০০ খ্রিষ্টাব্দ) প্রথম দিকে গ-এর চিহ্ন কুষাণ লিপির মতোই ছিল। শেষের দিকে এই চিহ্নের উপরিভাগ কিছুটা সরলরেখার রূপ লাভ করেছিল। নিচের চিত্রে ব্রাহ্মীলিপি থেকে গুপ্তলিপি পর্যন্ত গ-বর্ণের রূপান্তরের নমুনা দেখানো হলো―
এরপর আমরা পাই খ্রিষ্টীয় ৬ম-৯ম শতাব্দীতে পাই কুটিললিপি। আদি কুটিললিপিতে এই বর্ণটি আধুনিক গ-বর্ণের রূপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। খ্রিষ্টীয় ১০শ ও ১১শ শতাব্দীতে কুটিললিপিতে আধুনিক গ-এর রূপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। নিচের চিত্রে কুটিললিপি থেকে বর্তমান কাল পর্যন্ত খ-এর ক্রমবিবর্তনের রূপটি দেখানো হলো।
আধুনিক বানান রীতি অনুসারে এই বর্ণটির সাথে যে রীতিতে স্বরবর্ণ যুক্ত হয়, তা হলো-
গ্ +আ =গা | গ্ +ই=গু | গ্ +ঈ=গী | গ্ +উ=গু | গ্ +ঊ=গূ |
গ্ +ঋ= গৃ | গ্ +এ =গে | গ্ +ঐ=গৈ | গ্ +ও =গো | গ্ +ঔ=গৌ |
রূপতাত্ত্বিক উপকরণের
বিচারে গ
১. ক।
ক্ষয় অর্থে বাংলাতে ক্রিয়ামূল হিসেবে বিবেচিত হয়।
দেখুন : গ
[ক্রিয়ামূল]
২. প্রত্যয় হিসেবে ক ব্যবহৃত হয়। দেখুন :
গ।
শব্দ
সংস্কৃত
ग
(গ)
>বাংলা
গ।
√গম (গমন করা) + অ (ড), কর্তৃবাচ্য
বিশেষণ।
১. গামী, যায়ী। [অগ্রগ, অঙ্গুলিগ]
২. গত, প্রাপ্ত
৩. পতিত
৪. প্রাপক