অ (ক)
সংস্কৃত
কৃৎপ্রত্যয়
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সমগ্র ব্যাকরণ কৌমুদী-তে এই প্রত্যয়টি যে ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে,
প্রচলিত অন্যান্য ব্যাকরণ ও অভিধানগুলোর সাথে তার পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়।
সমগ্র ব্যাকরণ কৌমুদী এই প্রত্যয়কে অঙ্ (ক) হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
পক্ষান্তরে সমগ্র ব্যাকরণ কৌমুদী-তে অ (ক) নামে পৃথক প্রত্যয় বর্ণনা করা হয়েছে।
প্রচলিত ব্যাকরণ ও অভিধাগুলোর ভিতর সেকল গ্রন্থে অ (ক)
হিসাবে গ্রহণ করা হয়েছে সেগুলো হলো‒
ভাষা-প্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ - সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়
বাঙ্গালা ব্যাকরণ - ডক্টর মুহম্মদ শহীদুল্লাহ
বঙ্গীয় শব্দকোষ - হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাণিণীয় শব্দশাস্ত্র : ড. সত্যনারায়ণ চক্রবর্তী
সিদ্ধান্তকৌমুদীর আলোকে কৃৎপ্রত্যয় বিচার : দিলীপ কুমার ভট্টাচার্য্য
সার্বিক বিচারে এই বিশ্বকোষে এই ধাতুকে অ(ক) হিসবে গ্রহণ করা
হয়েছে। এই প্রত্যয় যে সকল ক্রিয়ামূলে যুক্ত হয়ে নতুন শব্দ তৈরি
করে, তাদের বাংলাভাষায় ব্যবহৃত শব্দগুলোর তালিকা নিচে দেওয়া
হলো।
- √কিট্ (নির্গত হওয়া) +অ (ক)=কিট্ট
- √কুল্(মৈত্রীকরণ) + অ (ক)=কুল
- √কূল্ (আবরক)+অ (ক) =কূল
- √কৃপ্(দয়া)+অ (ক)=কৃপ
- √ক্ষুর্ (ছেদন করা) +অ (ক)=ক্ষুর
- √গুধ্ (ক্রীড়া করা) +অ (ক) =গুদ
- বি-√জ্ঞা (জানা) +অ (ক)=বিজ্ঞ
- অংশ +অ (ক)=
অংশল
- অংস
+√ত্রৈ(আবরিত করা) +অ (ক)=
অংসত্র
- ক + √ধা
(ধারণ করা) + অ (ক)= স্কন্ধ
- নি +√ধৃ (ধারণ করা) +অ (ক)=নীধ্র
- √পা (পান করা)+অ (ক)=প
- পি+
√
কৈ(শব্দ) +
অ
(ক)
- √প্রী (তুষ্ট হওয়া) +অ (ক)=প্রিয়।
- বুধ্(জানা) +অ (ক) =বুধ (পণ্ডিত)
- উৎ-√ভিদ্(ভেদ করা)+ অ (ক)=উদ্ভিদ
- জল -√দা(দান করা) +অ (ক)=জলদ
- সৎ (সজ্জন)+√ভা (দীপ্তি)+অ (ক)+
আ (টাপ্)=সভা
- ক (রাজা) +√রা(দান করা) + অ (ক)=কর (রাজস্ব)
- শৄ(গমন করা) + অ (ক)=শিরা
- কর্ম +√সো+ অ (ক)=কল্মষ
- কণ্ঠ +√স্থা+ অ (ক) =কণ্ঠস্থ
- কৃত + √হন্(হত্যা করা) +অ (ক)=কৃতঘ্ন
- √শুভ্ (দীপ্তি) +অ (ক)=শুভ
সূত্র :
-
বঙ্গীয় শব্দকোষ
(প্রথম খণ্ড)। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। সাহিত্য অকাদেমী। ২০০১।
-
বাংলা একাডেমী
ব্যবহারিক বাংলা অভিধান। মার্চ ২০০৫।
-
বাঙ্গালা ভাষার অভিধান
(প্রথম ও দ্বিতীয় খণ্ড)। জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাস। সাহিত্য সংসদ। নভেম্বর ২০০০।
- ভাষাপ্রকাশ বাঙ্গালা ব্যাকরণ।
সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়। রূপম। মে ১৯৮৯।
-
শব্দবোধ অভিধান।
আশুতোষ দেব। দেব সাহিত্য কুটির। মার্চ ২০০০।
-
সমগ্র ব্যাকরণ কৌমুদী।
সাহিত্য সংসদ। ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। ডিসেম্বর ২০০৩।
-
সরল
বাঙ্গালা অভিধান।
সুবলচন্দ্র মিত্র।